ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

বিনোদনপ্রেমীদের ঠিকানা লালবাগ কেল্লা

মাকসুদুর রহমান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:১৬, ১৩ আগস্ট ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বিনোদনপ্রেমীদের ঠিকানা লালবাগ কেল্লা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : পুরনো ঢাকার লালবাগ কেল্লা বিনোদনপ্রেমীদের কাছে অতি পরিচিত। ঈদের দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার দর্শনীয় এ স্থানে ঘুরতে আসেন অনেকেই। পুরনো সব নিদর্শন দেখে অভিভূত হয়েছেন তারা।

মঙ্গলবার দুপুরে লালবাগে গিয়ে দেখা যায়, কেল্লার বাইরে লম্বা লাইন দিয়ে ২০ টাকার টিকিট কিনছেন বিনোদনপ্রেমীরা। বন্ধু, প্রেমিক-প্রেমিকা কিংবা পুরো পরিবার নিয়ে তারা এসেছেন কেল্লা দেখতে। কেল্লার সামনে রয়েছে বিভিন্ন হোটেল। হোটেলগুলোতে পুরনো সব জনপ্রিয় খাবারের পসরা সাজানো রয়েছে।

কেল্লার ভেতরে মুঘল আমলের নানা স্থাপনা দেখছিলেন দর্শনার্থীরা। অনেকে ফুলের বাগানের মাঝে পরিবার নিয়ে বসে ছিলেন। কেউ কেউ ব্যস্ত ছিলেন মোবাইলে ছবি তোলা নিয়ে।

কথা হয় ইসলামপুর থেকে আসা হৃদয় আলীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘প্রতি ঈদেই এখানে আসি পরিবার নিয়ে। পুরো কেল্লা ঘুরে মুঘলদের সব স্থাপনা দেখতে খুব ভালো লাগে।’

ধানমন্ডি থেকে আসা রাহেলা বেগম বলেন, ‘আধুনিক সবকিছুর আড়ালে পুরনো নির্দশনগুলো যেন দেখাই হয় না। এ কারণে এখানে এসেছি। কেল্লার সবকিছু দেখতে আমার মতো সন্তানদেরও ভাল লাগে। ঈদে সময় পেয়েছি। এ কারণে একটু ঘুরতে আসলাম।’

সম্রাট আওরঙ্গজেবের তৃতীয় ছেলে মুঘল রাজপুত্র আজম শাহ বাংলার সুবেদার থাকাকালীন ১৬৭৮ সালে লালবাগ কেল্লার নির্মাণকাজ শুরু করেন। তিনি বাংলায় ১৫ মাস ছিলেন। দুর্গের নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার আগেই মারাঠা বিদ্রোহ দমনের জন্য সম্রাট আওরঙ্গজেব তাকে দিল্লিতে ডেকে পাঠান। এ সময় একটি মসজিদ ও দরবার হল নির্মাণের পর দুর্গ নির্মাণের কাজ থেমে যায়। সুবেদার শায়েস্তা খাঁ ১৬৮০ সালে পুনরায় বাংলার সুবেদার হিসেবে ঢাকায় এসে দুর্গের নির্মাণকাজ পুনরায় শুরু করেন। ১৬৮৪ সালে এখানে শায়েস্তা খাঁর কন্যা ইরান দুখত রাহমাত বানুর (পরী বিবি) মৃত্যু হয়। কন্যার মৃত্যুর পর শায়েস্তা খাঁ এ দুর্গটিকে অপয়া মনে করেন। ১৬৮৪ খ্রিস্টাব্দে অসমাপ্ত অবস্থায় এর নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেন তিনি। লালবাগের কেল্লার তিনটি প্রধান স্থাপনার একটি হল পরী বিবির সমাধি। শায়েস্তা খাঁ ঢাকা ত্যাগ করার পর এটি জনপ্রিয়তা হারায়। ঢাকা থেকে মুর্শিদাবাদে রাজধানী স্থানান্তর করা হয়েছিল, এটিই ছিল প্রধান কারণ। মুঘল আমল সমাপ্ত হওয়ার পর দুর্গটি পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়ে যায়। ১৮৪৪ সালে এলাকাটি ‘আওরঙ্গবাদ’ নাম বদলে ‘লালবাগ’ নাম পায় এবং দুর্গটি পরিণত হয় লালবাগ দুর্গে। লালবাগের কেল্লার নকশা করেন শাহ আজম।

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৩ আগস্ট ২০১৯/মাকসুদ/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়