ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

একটি মহল মিল্কভিটা নিয়ে মিথ্যাচার করছে

আসাদ আল মাহমুদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:৫৮, ২০ আগস্ট ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
একটি মহল মিল্কভিটা নিয়ে মিথ্যাচার করছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: একটি কুচক্রী মহল নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য মিল্কভিটাসহ তরল দুধের গুনগত মান নিয়ে বিভিন্ন সময়ে সম্পূর্ণ মিথ্যা তথ্য প্রচার করে সুনাম নষ্ট করছে।

মঙ্গলবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সরকারি প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির পঞ্চম বৈঠকে এ তথ্য জানানো হয়।

বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় ইউনিয়ন লিমিটেড এর ছয়জন শীর্ষ কর্মকর্তা স্বাক্ষরিত এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উপস্থাপন করা হয়। বৈঠকে কমিটির সদস্যরা দেশীয় দুগ্ধশিল্প রক্ষায় সব ধরনের ষড়যন্ত্র বন্ধের দাবি জানিযে এ শিল্পে কোনো ঘাটতি থাকলে তা পূরনের সুপারিশ করে।

কমিটির সভাপতি আ, স, ম ফিরোজের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান, ওমর ফারুক চৌধুরী, ইসমাত আরা সাদেক, নারায়ন চন্দ্র চন্দ, মোঃ মাহবুব উল আলম হানিফ, মির্জা আজম, মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম এবং মোঃ জিল্লূল হাকিম অংশ নেন।

বৈঠকে বলা হয়, তরল দুধ নিয়ে মিথ্যার কারণে মিল্কভিটার বিক্রি কমে গেছে। অন্যদিকে বিগত চার বছর ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশে দুগ্ধখাতে সরকারি ভর্তুকি দেয়ায় সেখানে দুধ উৎপাদন, বিশেষ করে গুড়ো দুধের উৎপাদন অস্বাভাবিক মাত্রায় বৃদ্ধি পায়। অন্যদিকে দেশে গুনগতমান সম্পন্ন গুড়োদুধ বাজারের চাহিদার সাথে সামঞ্জ্য রেখে উৎপাদন করা হলেও বিদেশি গুড়োদুধের আমদানি শুল্ক কম থাকায় মিল্ক ইউনিয়নের গুড়োদুধ আশানুরূপ বিক্রি হচ্ছে না।

বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় ইউনিয়ন লিঃ (মিল্কভিটা) এর সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।

দুধের গুনগত মান নিশ্চিত করতে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিয়ে প্রয়োজনীয় জনশক্তি নিয়োগের মাধ্যমে মিল্কভিটার সুনাম অক্ষুন্ন রাখতে সুপারিশ করে কমিটি। মিল্কভিটাতে কোন অনিয়ম, দুর্নীতি থাকলে তা প্রতিকারের জন্য কঠোর নীতি প্রণয়নের সুপারিশ করে কমিটি।

কমিটি সিরাজগঞ্জের শাহাজাদপুর উপজেলার বাঘাবাড়িতে দুগ্ধ কারখানা পরিদর্শনের সিদ্ধান্ত নেয়। এছাড়াও বৈঠকে ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে মোট দুগ্ধজাত পণ্য বিক্রয়ের পরিমান ৩২৩ কোটি ৫৭ লাখ টাকা বলে জানানো হয়।

বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি আ, স, ম ফিরোজ সাংবাদিকের বলেন, দেশিয় দুগ্ধ শিল্পের সঙ্গে হাজার হাজার খামারী জড়িত। কিন্তু এই বিকাশমান শিল্প নিয়ে নানা ধরনের মন্তব্য পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু এগুলোর তেমন কোনো ভিত্তি নেই। এটি দেশীয় শিল্প ধ্বংসের পায়তারা কিনা তা খতিয়ে দেখার জন্য সুপারিশ করেছে কমিটি ।

বৈঠকে পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব, মিল্কভিটা লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


রাই‌জিং‌বি‌ডি/ঢাকা/২০আগস্ট২০১৯/আসাদ/সাজেদ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়