ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

মুসলিমবান্ধব পর্যটনে বাংলাদেশ হতে পারে প্রিয় গন্তব্য

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:১০, ১৫ অক্টোবর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
মুসলিমবান্ধব পর্যটনে বাংলাদেশ হতে পারে প্রিয় গন্তব্য

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেছেন, মুসলিমবান্ধব পর্যটনে বাংলাদেশ হতে পারে অন্যতম জনপ্রিয় গন্তব্য। মুসলিমবান্ধব পর্যটনের প্রয়োজনীয় সব উপাদানই বাংলাদেশে আছে।

মঙ্গলবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে এক সেমিনার উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।

মুসলিমবান্ধব পর্যটনের ওপর আন্তর্জাতিক এ সেমিনারের আয়োজন করে অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনের (ওআইসি) অঙ্গ সংস্থা স্ট্যাটিস্টিকাল, ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল রিসার্চ ট্রেনিং সেন্টার ফর ইসলামিক কান্ট্রিজ।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সব সময়ই মুসলিম কমিউনিটির মধ্যে যোগাযোগ এবং চমৎকার সম্পর্ক রাখার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন। জাতির পিতার উদ্যোগেই বাংলাদেশ অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনের সদস্য পদ লাভ করে। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন গঠন করেন। তারই ধারাবাহিকতায় জাতির পিতার কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে ২০১০ সালে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড গঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে অত্যন্ত আন্তরিক।

মাহবুব আলী বলেন, বর্তমান বিশ্বে মুসলিমবান্ধব পর্যটন দ্রুত বর্ধনশীল। শুধু মুসলিম দেশেই নয়, অস্ট্রেলিয়া, তাইওয়ান, কোরিয়া, জাপান ও নিউজিল্যান্ডের মতো নন-মুসলিম দেশগুলোও এ পর্যটনের গুরুত্ব অনুধাবন করে মুসলিমবান্ধব পর্যটন পণ্য এবং সেবার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছে। সারা বিশ্বের মুসলিম পর্যটকদের আকর্ষণ করার জন্য মুসলিমবান্ধব পর্যটনের বিকাশে তারা কাজ করছে। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ হিসেবে বাংলাদেশের মুসলিমবান্ধব পর্যটনের বিকাশে অনুকূল পরিবেশ রয়েছে। আমাদের সারা দেশে নান্দনিক স্থাপত্যের মসজিদ, ইসলামিক প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান, মাজার এবং বিভিন্ন ইসলামিক স্মারক ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। আমাদের রয়েছে সমৃদ্ধ ইতিহাস ও সংস্কৃতি। তার সবই মুসলিমবান্ধব পর্যটন বিকাশে অনুকূল ভূমিকা রাখবে। আমি আশা করব, আমাদের বেসরকারি উদ্যোক্তাগণ পর্যটনের এই নতুন ধারণা বিকাশে কাজ করবেন।

পর্যটন সচিব মো. মহিবুল হক বলেন, পর্যটন শুধু একটি দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিই নিশ্চিত করে না, তা একই সঙ্গে বিভিন্ন দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক বন্ধন তৈরি করে। একটি দেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতিকে জানার সুযোগ করে দেয়। আমাদের সমৃদ্ধ ইতিহাস ও সংস্কৃতি নিয়ে আমরা সকল পর্যটককে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত রয়েছি।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন স্ট্যাটিস্টিকাল, ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল রিসার্চ ট্রেনিং সেন্টার ফর ইসলামিক কান্ট্রিজের মহাপরিচালক নেবিল দাবুর ও বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ভুবন চন্দ্র বিশ্বাস।



ঢাকা/আসাদ/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়