ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

২৬ শতাংশ শিক্ষিত নারী ব্যবসায় সম্পৃক্ত

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৪৩, ১৭ অক্টোবর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
২৬ শতাংশ শিক্ষিত নারী ব্যবসায় সম্পৃক্ত

বর্তমানে ব্যবসায় শিক্ষিত নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ছে। ২০০৯ সালে গ্রাজ্যুয়েট পর্যায়ে শিক্ষিত ২০ শতাংশ নারী ব্যবসায় সম্পৃক্ত ছিলেন। ২০১৭ সালে তা বেড়ে ২৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া ২০০৯ সালে ৪২ শতাংশ নারীকে পারিবারিকভাবে ব্যবসায় সম্পৃক্ত হতে নিরুৎসাহিত করা হতো। ২০১৭ সালে তা ৪ শতাংশে নেমে এসেছে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এসএমই ফাউন্ডেশন পরিচালিত ওমেন্স এন্টারপ্রেনার ইন এসএমই বাংলাদেশ পার্সপেক্টিভ ২০১৭ শীর্ষক গবেষণা লব্ধ তথ্য ও পর্যবেক্ষণ অবহিতকরণ অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়।  অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।

অনুষ্ঠানে আরও জানানো হয়, ২০০৯ সালে ব্যবসা করার ক্ষেত্রে ২৮ শতাংশ নারীকে সামাজিক প্রতিবন্ধকতার মোকাবিলা করতে হয়েছে। ২০১৭ সালে এটি ১৪ শতাংশে নেমে এসেছে। ২০০৯ সালে ১০ শতাংশ নারী কর দিতেন, যা ২০১৭ সালে ৫৬ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। পাশাপাশি ২০০৯ সালে ১০ শতাংশ নারী উদ্যোক্তা ব্যবসার জন্য কম্পিউটার ব্যবহার করতেন, যা ২০১৭ সালে বেড়ে ৩৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

অনুষ্ঠানে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক নারী এবং নারীদের বাদ দিয়ে টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। এ বিবেচনায় অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কার্যকর গবেষণার ওপর গুরুত্ব দিয়ে আসছেন। নারী ক্ষমতায়নের লক্ষ্য অর্জনে সরকার অগ্রাধিকারভিত্তিতে নারী উদ্যোক্তাদের সমস্যার সমাধান করছে।

নারীদের নিয়ে এসএমই ফাউন্ডেশনের বড় ধরণের গবেষণা চালালে শিল্প মন্ত্রণালয় এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থাপিত গবেষণাটি সারাদেশের ১৫১০ জন নারী উদ্যোক্তার ওপর গবেষণা পরিচালিতক হয়।  এতে দেখা গেছে, সামাজিকভাবে পিছিয়ে যাওয়া নারীরাও ব্যবসাবান্ধব নীতির কারণে শিল্পায়ন ও ব্যবসায় সম্পৃক্ত হচ্ছেন। তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারেও নারী উদ্যোক্তারা এগিয়ে গেছেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্যবসা করার ক্ষেত্রে ৭৭ শতাংশ নারী এখন আর পরিবার থেকে কোনো বাধা পায় না। ৭ শতাংশ নারী এখনো পরিবার থেকে বাধা পায়। ৫ শতাংশ নারী পরিবার থেকে কোনো অর্থনৈতিক সাহায্য না পাওয়ার কথা জানিয়েছেন। ৪ শতাংশ নারী উদ্যোক্তা জানিয়েছেন, তাদের স্বামী ব্যবসা পছন্দ করেন না। ৪ শতাংশ নারী উদ্যোক্তা হতে শ্বশুর বাড়ি থেকেও বাধা পান।

এতে আরও বলা হয়, ৮৮ শতাংশ নারী উদ্যোক্তা ট্রেড লাইসেন্স পেতে কোনো বিড়ম্বনায় পড়েননি। ৭ শতাংশ নারীকে ট্রেড লাইসেন্স পেতে বাড়তি টাকা দিতে হয়েছে। ৩ শতাংশ নারী জানিয়েছেন ট্রেড লাইসেন্স পেতে লম্বা সময় লাগে।

অনুষ্ঠানে মুক্ত আলোচনায় বক্তারা বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের বিভিন্ন সূচকে ধারাবাহিক অগ্রগতি অব্যাহত রেখে নারী ক্ষমতায়নের লক্ষ্য অর্জন সম্ভব। এ লক্ষ্যে উদ্যোক্তা হবার পেছনে অঞ্চলভিত্তিক সাংস্কৃতিক ও মানসিক প্রতিবন্ধকতাগুলো চিহ্নিত করে তা সমাধানের কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। পাশাপাশি রূপান্তরিত নারীদের (তৃতীয় লিঙ্গ) জন্য ব্যবসা-বাণিজ্যের সুযোগ বাড়িয়ে তাদেরকে সমাজের মূল ধারায় সম্পৃক্ত করতে হবে। এ লক্ষ্যে তারা নারীদের ওপর বড় ধরণের গবেষণা চালিয়ে শিল্পায়ন ও অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণের পেছনে প্রতিবন্ধকতাগুলো চিহ্নিতকরণ এবং এর প্রতিকারে কার্যকর কর্মসূচি গ্রহণের তাগিদ দেন।

 

ঢাকা/হাসান/সাজেদ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়