ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

উৎপাদনশীলতা বাড়াতে কাজ করবে ঢাকা চেম্বার

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৪৫, ৭ নভেম্বর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
উৎপাদনশীলতা বাড়াতে কাজ করবে ঢাকা চেম্বার

জাতীয় অর্থনীতির বিভিন্ন খাত ও উপখাতে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে যৌথ অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কাজ করতে সম্মত হয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশন (এনপিও) এবং ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)।

বৃহস্পতিবার এ লক্ষ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে দুইপক্ষের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।

শিল্পসচিব মো. আবদুল হালিমের উপস্থিতিতে সমঝোতা স্মারকে এনপিওর পক্ষে প্রতিষ্ঠানের পরিচালক মোহাম্মদ সালাউদ্দিন এবং ডিসিসিআইয়ের পক্ষে সংগঠনের সভাপতি ওসামা তাসীর স্বাক্ষর করেন। অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং ডিসিসিআইয়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী, উৎপাদনশীলতা উন্নয়নে সরকারি প্রতিষ্ঠান এনপিও এর সাথে বেসরকারি সংগঠন ঢাকা চেম্বার সেতুবন্ধন জোরদারে কাজ করবে।

বিভিন্ন শিল্প খাত ও উপখাতে উৎপাদনীলতা বাড়াতে এনপিও এবং ডিসিসিআইয়ের যৌথ উদ্যোগে প্রতি বছর কমপক্ষে ৪টি প্রশিক্ষণ কর্মশালা আয়োজন করা হবে। এনপিও এসব কর্মশালায় রিসোর্স পারসন প্রেরণ করবে।  অন্যদিকে ডিসিসিআই এসব প্রশিক্ষণের ব্যয়ভার বহন করবে। পাশাপাশি ডিসিসিআই কেন্দ্রীয়ভাবে প্রতি বছর উৎপাদন শীলতার উন্নয়নের লক্ষ্যে ২টি সেমিনার বা কর্মশালা আয়োজন করবে। এনপিও এসব কর্মসূচি বাস্তবায়নে কারিগরি সহায়তা দেবে।

এছাড়া ডিসিসিআই প্রতি বছর ২ অক্টোবর জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস উদযাপনে এনপিওকে সহায়তা করবে। এর অংশ হিসেবে জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবসের বিভিন্ন কর্মসূচিতে ডিসিসিআইয়ের প্রধান কার্যালয় এবং সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলো প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবে।

সমঝোতা স্মারকে উল্লেখ করা হয়, এনপিও প্রতি বছর ‘ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি অ্যান্ড কোয়ালিটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড’ প্রদানের বিজ্ঞপ্তি যথা সময়ে ডিসিসিআইয়ের কার্যালয়ে প্রেরণ করবে। সে অনুযায়ী ডিসিসিআই সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে অবহিত এবং আবেদনে উদ্বুদ্ধ করবে।  উভয় প্রতিষ্ঠান এশিয়ান প্রোডাক্টিভিটি অর্গানাইজেশন (এপিও) প্রদত্ত টেকনিক্যাল এক্সপার্ট সার্ভিস কর্মসূচি বাস্তবায়নে পারস্পরিক সহায়তার ভিত্তিতে কাজ করবে বলেও সমঝোতায় উল্লেখ করা হয়।

শিল্পসচিব মো. আবদুল হালিম এ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের উদ্যোগকে দেশের শিল্প খাতের উন্নয়নে একটি মাইলফলক হিসেবে উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, ষোল কোটি জনসংখ্যার বাংলাদেশ দ্রুত অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির মহাসড়ক ধরে এগিয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে শিল্প খাতসহ সকল সেক্টরে ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে এবং বিশ্ব সম্প্রদায় বাংলাদেশের এ গুণগত পরিবর্তনের প্রশংসা করছে। সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের ফলে দেশের বিভিন্ন শিল্প খাত ও উপখাতে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির প্রয়াস জোরদার হবে। এ দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে অন্যান্য চেম্বার ও ট্রেড বডি উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এ ধরনের উদ্যোগে সামিল হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

এর আগে শিল্প সচিবের সভাপতিত্বে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় উৎপাদনশীলতা কার্যনির্বাহী কমিটির অষ্টাদশ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নুৎফুন নাহার বেগম, বিএসইসির পরিচালক নারায়ণ চন্দ্র দেবনাথ, বিএসএফআইসির পরিচালক মীর জহুরুল ইসলাম, বিসিক পরিচালক মো. আবদুল মান্নান, বিসিআইসির পরিচালক মো. শাহীন কামাল, এনপিওর পরিচালক মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, নাসিব সভাপতি মির্জা নুরুল গণি শোভনসহ কমিটি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান ও ট্রেডবডির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় শিল্পসচিব এনপিওর কার্যক্রম জোরদারের নির্দেশনা দেন।  তিনি ‘ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি অ্যান্ড কোয়ালিটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড’ এর জন্য আবেদনকারীর সংখ্যা বাড়াতে তৃণমূল পর্যায়ের উদ্যোক্তার মধ্যে এ বিষয়ক সচেতনতা বাড়ানোর তাগিদ দেন।  এ লক্ষ্যে তিনি জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে কর্মশালা ও অবহিতকরণ সভা আয়োজনের জন্য এনপিওকে পরামর্শ দেন।

 

ঢাকা/হাসান/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়