ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

লাইসেন্স ছাড়া ডে কেয়ার চালালে জরিমানা ৫০ হাজার

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:২০, ২৭ জানুয়ারি ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
লাইসেন্স ছাড়া ডে কেয়ার চালালে জরিমানা ৫০ হাজার

ফাইল ফটো

লাইসেন্স ছাড়া শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র (ডে কেয়ার সেন্টার) চালালে গুণতে হবে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা। সনদ প্রদর্শন না করা পর্যন্ত প্রতিদিন পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা দিতে হবে। কেন্দ্র পরিদর্শনে বাধা দিলে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আর শিশুর নিরাপত্তা ঘাটতি থাকলে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা দিতে হবে।

এমন সব বিধান রেখে শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র আইন-২০২০’এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে এটি অনুমোদন দেয়া হয়।

বৈঠক শেষে দুপুরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘আইন অনুযায়ী নিবন্ধন না করে শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র চালালে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে। আইনে সংক্রামক রোগের তথ্য গোপন করলে ছয় মাসের কারাদণ্ড বা এক লাখ টাকা জরিমানা। মিথ্যা বা ভুল তথ্য দিলে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা বা দুই মাসের কারাদণ্ড দেয়ার বিধান রাখা হয়েছে।’

সচিব বলেন, ‘নিবন্ধন পরিদপ্তর থেকে শিশু দিবা যত্ন কেন্দ্র পরিচালনার জন্য নিবন্ধন তথা লাইসেন্স নিতে হবে। তিন বছরের জন্য নিবন্ধন দেয়া হবে।’

প্রস্তাবিত আইনে চার ধরনের শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্রে রাখার বিধান রাখা হয়েছে। সরকারি ভর্তুকিপ্রাপ্ত, সরকার অথবা সরকারি কোনো দপ্তর, অধিদপ্তর, পরিদপ্তর, সংবিধিবদ্ধ সংস্থা অথবা কোনো স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার বিনামূ্ল্যে পরিচালিত; ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে পরিচালিত এবং ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, বেসরকারি সংস্থা বা সংঘ বা সমিতি বা করপোরেট সেক্টর বা শিল্পখাতের অলাভজনক উদ্দেশ্যে পরিচালিত শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র- উল্লেখ করেন সচিব।

তিনি বলেন, ‘‘শিশুদের পরিচর্যার জন্য বিশ্বস্ত সহায়ক ডে কেয়ার সেন্টারের অভাব দেখা দেওয়ায় এই আইন প্রণয়ন করা হচ্ছে। যেহেতু এখন যৌথ পরিবার প্রথা কমে আসছে এবং নারীরা বেশি বেশি করে কাজে সম্পৃক্ত হয়ে যাচ্ছে। সেজন্য তাদের ছোট বাচ্চাদের দেখাশোনা করার জন্য শিশু ডে কেয়ার সেন্টার প্রতিষ্ঠার জন্য আইন প্রণয়ন করা হচ্ছে।

‘আইন অনুযায়ী শিশু ডে কেয়ার সেন্টারে সেবার গুণগত মান, পুষ্টি, স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা, চিকিৎসা, সুরক্ষা, বিনোদন, শিক্ষা, পরিবেশ ব্যবস্থাপনা বা অনুরূপ বিষয়গুলো বিধি দিয়ে নির্ধারিত মান নিশ্চিত করা হবে।”

তিনি বলেন, ‘আইন প্রণয়ন হলে নারীর ক্ষমতায়নের সুযোগ বৃদ্ধির পাশাপাশি শিশুর পরিচর্যা ও সুরক্ষা নিশ্চিত হবে। বিধি দিয়ে লাইসেন্স ফি নির্ধারণ করা হবে।’


ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সনি

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়