পানির দাম বাড়ায় ক্ষুব্ধ নগরবাসী
ছয় মাসের ব্যবধানে ওয়াসার পানির দাম আবার বৃদ্ধিতে ক্ষোভ জানিয়েছেন নগরবাসী। তারা বলছেন, যেখানে ওয়াসা ঠিকমতো সেবা দিতে পারছে না, সেখানে দাম বাড়ানো অযৌক্তিক।
সম্প্রতি ওয়াসা থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা ওয়াসার পানির উৎপাদন ও বিতরণ ব্যয়ের সঙ্গে বিক্রয়মূল্যেরে সামঞ্জস্য এবং বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়ার কারণে ব্যয় সমন্বয় করতে আবাসিকে প্রতি এক হাজার লিটার পনির মূল্য ১৪ দশমিক ৪৬ টাকা এবং বাণিজ্যিকে প্রতি হাজার লিটার পানির ৪০ টাকা নির্ধারন করা হলো। এ মূল্য আগামী ১ এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে।
এর আগে গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর এক হাজার লিটার পানির মূল্য আবাসিকে ১১ দশমিক ২ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১১ দশমিক ৫৭ টাকা এবং বাণিজ্যিক ৩৫ দশমিক ২৮ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩৭ দশমিক ৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
দেখা গেছে, আবাসিকে প্রতি হাজার লিটার পানিতে ২ দশমিক ৮৯ টাকা এবং বাণিজ্যিকে প্রতি হাজার লিটার পানিতে ২ দশমিক ৯৬ টাকা বাড়ানো হয়েছে।
রাজধানীর ধানমন্ডির বাসিন্দা ফরহাদুজ্জামান বলেন, ‘ওয়াসার পানি এমনিতেই দূষিত। পানির সঙ্গে ময়লা আসে। তারপরও গোসল, কাপড় ধোয়া, হাড়ি-পাতিল ধোয়ার কাজে ব্যবহার করা যায়। কিন্তু খাবারের পানি সব সময় কিনে খেতে হয়। এমনিতেই দূষিত পানি ব্যবহার করে বাড়তি টাকা দিচ্ছি, আবারও মূল্য বাড়ালে বাড়ি মালিক-ভাড়াটিয়ারা বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হবে।’
গেন্ডারিয়া এলাকার রাহাত সাইফুল বলেন, ‘আগে ওয়াসার সেবার মান বাড়ানো উচিত। তারপর যদি পানির দাম বাড়ায়, সেটা দেখা যাবে। কিন্তু যে পানিতে ময়লা-আবর্জনা আসে, খাওয়া যায়না, সে পানির দাম বাড়ানো অযৌক্তিক।
কাফরুল এলাকার বাড়িওয়ালা জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘মাত্র ছয় মাস আগে পানির দাম বাড়ানো হয়েছিল। এই দামের সঙ্গেই অ্যাডজাস্ট হতে পারলাম না। আবারো দাম বাড়ানোর কোনো প্রয়োজন ছিল না। বরং ওয়াসার পানির মান বাড়ানোর বিষয়ে মনযোগ দেওয়া উচিত।’
ভাড়াটিয়া পরিষদের সভাপতি বাহরানে সুলতান বাহার বলেন, যেখানে পানির উৎপাদন দিন দিন বাড়ছে, সেখানে দাম বাড়ানো অযৌক্তিক। আবাসিক এলাকার লোকজনের ওপর এর দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব পড়বে, আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের সামঞ্জস্য হবে না।
ঢাকা/নূর/সাজেদ
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন