ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

দেশের ফুটবলকে আরো এগিয়ে নেয়ার প্রত্যাশা প্রধানমন্ত্রীর

নিউজ ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:০৪, ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
দেশের ফুটবলকে আরো এগিয়ে নেয়ার প্রত্যাশা প্রধানমন্ত্রীর

ফুটবলকে দেশের অন্যতম জনপ্রিয় খেলা আখ্যায়িত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তাঁর সরকার দেশের ফুটবলকে আরো এগিয়ে নিয়ে যেতে চায়।

প্রধানমন্ত্রী একইসঙ্গে খেলাধূলা ও সংস্কৃতি চর্চায় শিশুদের অধিকহারে যুক্ত রাখার মাধ্যমে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদক এবং দুর্নীতির থেকে দূরে রেখে তাঁদের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার তাঁর অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

তিনি বলেন, ‘আমাদের শিশু-কিশোররা অত্যন্ত মেধাবী এবং আমরা এই মেধা বিকাশের সুযোগই করে দিতে চাই। সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদক এবং দুর্নীতি থেকে তাঁদের দূরে রেখে উপযুক্ত নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।’

শনিবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ছেলে ও মেয়েদের বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা অনুর্ধ্ব-১৭ ফুটবলের ফাইনাল খেলায় বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণকালে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

ছেলেদের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গোল্ডকাপ ফুটবল অনুর্ধ্ব-১৭ প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বরিশাল বিভাগ। তারা অতিরিক্ত সময়ে চট্টগ্রাম বিভাগকে ২-১ গোলে হারিয়ে দেয়।

মেয়েদের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব গোল্ডকাপ অনুর্ধ্ব-১৭ ফুটবলে খুলনা বিভাগ টাইব্রেকারে ঢাকা বিভাগকে ৪-৩ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়। নির্ধারিত সময়ে খেলা ২-২ গোলে অমীমাংসিত ছিল।

লেখাপড়ার পাশাপাশি ক্রীড়া এবং সংস্কৃতি চর্চা অপরিহার্য্য উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শিশু-কিশোর এবং তরুণদের প্রতিভা বিকাশের সুযোগ পায়, তাঁরা সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে পারে এবং মনও যথেষ্ট উদার হয়। সবচেয়ে বড় কথা হলো দেশের জন্য গৌরব বয়ে নিয়ে আসতে পারে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজকে ক্রীড়াক্ষেত্রে আমরা যথেষ্ট অগ্রগতি লাভ করেছি। এই অগ্রগতিকে আমাদের ধরে রাখতে হবে।’

মেয়েদের খেলার মানোন্নয়নের প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আগেও খেলা দেখেছি। কিন্তু এবারের খেলায় আমি দেখলাম আমাদের মেয়েরা অত্যন্ত চমৎকার খেলেছে। এতে আমি সত্যিই খুব আনন্দিত। কাজেই ফুটবলের আরো উন্নতি হোক।’

স্বাধীনতার পর পরই জাতির পিতা এই ক্রীড়াক্ষেত্রকে আরো প্রসারিত করার উদ্যোগ নেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাঁর বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, দাদা শেখ লুৎফর রহমান এবং ভাই শেখ কামাল ও শেখ জামাল খেলাধূলার সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন।

শেখ কামাল আবাহনী ক্লাব প্রতিষ্ঠা করে দেশের ক্লাব ফুটবলকে আধুনিক পর্যায়ে উন্নীত করেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘কাজেই আমিও একজন স্পোটর্স ফ্যামিলির সদস্য।’

শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকার দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি খেলাধূলার জন্য বিভিন্ন সুযোগ সৃষ্টি করে দিচ্ছে।

প্রাথমিক থেকে অনুর্ধ্ব ১৭ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু এবং বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজনের উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগামীতে আন্তঃকলেজ এবং আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় প্রতিযোগিতারও আয়োজন করবো। তাতে সুবিধা হবে, ছোট থেকেই যারা খেলছে তারা আরো সুযোগ লাভ করবে এবং খেলাধূলার মধ্যদিয়েই চরিত্র গঠন, সুস্বাস্থ্যের অধিকারী এবং মেধা বিকাশের সুযোগ ঘটবে।

তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ‘আজকের ছেলে-মেয়েরাই আগামীতে বিশ্ব আসরে তাঁদের নিজস্ব আসন করে নিতে পারবে বলেই আামি বিশ্বাস করি।’

প্রধানমন্ত্রী চ্যাম্পিয়ন এবং রানার্স আপ দলকে ট্রফি এবং প্রাইজ মানিসহ খেলোযাড়দের হাতে ব্যক্তিগত পুরস্কারও তুলে দেন।

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী স্টেডিয়ামে আসেন এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা গোন্ডকাপ ফুটবলের ফাইনাল খেরা ভিআইপি গ্যালারিতে বসে উপভোগ করেন।

তথ্যসূত্র : বাসস


ঢাকা/এনএ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়