ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা

কূটনৈতিক প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৫৯, ৪ মার্চ ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা

বাংলাদেশ ও মিয়ানমারে বসবাসরত রোহিঙ্গাদের জীবনমান উন্নয়নসহ বিভিন্ন সমস‌্যা সমাধানে যুক্তরাষ্ট্র মঙ্গলবার জেনেভায় ২০২০ সালের যৌথ কর্মপরিকল্পনা তহবিল ঘোষণা করে।

এ সময় রোহিঙ্গা শরণার্থী, তাদের আশ্রয় দেওয়া বাংলাদেশের স্থানীয় জনগোষ্ঠী এবং মিয়ানমারে অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা ও ক্ষতিগ্রস্ত অন্যান্য জনগোষ্ঠীর জন্য অতিরিক্ত মানবিক সহায়তা হিসেবে ৫ কোটি ৯০ লাখ ডলারের বেশি সহায়তার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

বুধবার ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার দূতাবাসে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান।

তিনি বলেন, মিয়ানমার ও বাংলাদেশের এই সংকটে মানবিক সহায়তায় সাড়া দেওয়ার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র এখনো শীর্ষ স্থানে রয়েছে। ২০১৭ সালের আগস্টে সহিংসতার সূত্রপাতের পর থেকে প্রতি বছরই আমরা এ অবস্থানে রয়েছি। এই নতুন তহবিল ঘোষণার মাধ্যমে রোহিঙ্গা সংকটে যুক্তরাষ্ট্রের মোট মানবিক সহায়তা প্রায় ৮২ কোটি ডলারে দাঁড়ালো। এর মধ্যে প্রায় ৬৯ কোটি ৩০ লাখ ডলারই দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বিভিন্ন কর্মসূচির জন্য।

তিনি বলেন, গতকালের ঘোষণাসহ যুক্তরাষ্ট্রের যোগানো তহবিল বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ৯ লাখের বেশি শরণার্থীর জরুরি প্রয়োজনের পাশাপাশি চলমান সংকটে ক্ষতিগ্রস্ত কক্সবাজারের স্থানীয় অধিবাসীদের প্রয়োজন মেটাতে সহায়তা করে। উদারভাবে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়া স্থানীয় বাংলাদেশিদের কাছে যাতে মানবিক ও উন্নয়ন সহায়তা পৌঁছানো অব্যাহত থাকে, যুক্তরাষ্ট্র সরকার তা নিশ্চিত করায় অঙ্গীকারবদ্ধ। ২০২০ সালের ‘জয়েন্ট রেসপন্স প্ল্যান’—এ তাদের চ্যালেঞ্জগুলোর প্রতি বাড়তি নীতিগত মনোযোগ প্রতিফলিত হওয়ায় আমরা আনন্দিত।

রাষ্ট্রদূত বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এই সংকটের বিশালমাত্রার প্রয়োজন একা পূরণ করতে পারবে না। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে অনেক দাতা দেশ যে অবদান রেখেছে তাদের আমরা স্বাগত জানাই। অন্যান্য দেশকেও এ বিষয়ে অবদান রাখার আহ্বান জানিয়ে যাচ্ছি আমরা। আমরা এ সংকট মোকাবিলায় সাড়া দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের উদারতা এবং রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি উভয় ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর কাছে সহায়তা পৌঁছানো নিশ্চিত করার জন্য তাদের অব্যাহত প্রচেষ্টার প্রশংসা করি।

মিলার বলেন, আমরা জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের সচেতন সম্মতির ভিত্তিতে স্বেচ্ছামূলক, নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ এবং টেকসই প্রত্যাবর্তনের পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানানো অব্যাহত রাখছি। আরও একটি জরুরি বিষয়, সহায়তার প্রয়োজন এমন মানুষদের মধ্যে নির্বিঘ্ন এবং স্থিতিশীলভাবে মানবিক সাহায্য পৌঁছানো নিশ্চিত করারও আহ্বান জানাই।

 

ঢাকা/হাসান/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়