রাস্তাঘাটে মানুষকে হয়রানি নয়: তথ্যমন্ত্রী
সাধারণ মানুষ প্রয়োজনে রাস্তায় বের হলে অকারণে হয়রানি সঠিক নয় উল্লেখ করে মাঠ পর্যায়ের পুলিশকে হয়রানি না করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার (২৭ মার্চ) দুপুরে তথ্যমন্ত্রী ঢাকায় মিন্টু রোডে সরকারি বাসভবন থেকে ফেসবুক লাইভে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। রাস্তায় পুলিশের লাঠিচার্জ সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘রাস্তায় অহেতুক ঘোরাফেরা না করার জন্য সরকার ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। রাস্তায় যে কেউ প্রয়োজনে যেতেই পারেন এবং গেলেই হয়রানির শিকার হওয়া অত্যন্ত দুঃখজনক। এটি করার জন্য পুলিশকে বলা হয়নি।’
‘গতকালও পুলিশ সদর দফতর থেকে বলা হয়েছে, মানুষ প্রয়োজনে অবশ্যই রাস্তায় বের হতে পারে, কিন্তু অপ্রয়োজনে নয়’ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, যদি কেউ অপ্রয়োজনে বের হয় তাহলে তাদের বুঝিয়ে ঘরে পাঠিয়ে দেওয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, লাঠিচার্জ বা হয়রানি নয়।’
‘বিএনপির জমায়েত দায়িত্বহীনতার পরিচয়’
খালেদা জিয়ার মুক্তির সময় জমায়েতের সমালোচনা করে ড. হাছান বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অতীতে ১৫ আগস্টে বেগম জিয়ার মিথ্যা জন্মদিনের কেককাটা, কোকোর মৃত্যুতে সমবেদনা জানাতে গেলে বাসার দরজা না খোলা, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা -সমস্ত কিছু ভুলে গিয়ে যখন বেগম জিয়ার মুক্তির ব্যবস্থা করলেন, সমস্ত দেশের মানুষ যখন করোনার বৈশ্বিক দুর্যোগ মোকাবিলায় ঘরের মধ্যে অবস্থান করছেন এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছেন, তখন আমরা দেখতে পেলাম বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিলাভের সময় বঙ্গবন্ধু মেডিক্যালের সামনে, পথে ও গুলশানের বাড়িতে বহু মানুষের জমায়েত।
‘করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে যেখানে স্বাধীনতা দিবসের সমস্ত অনুষ্ঠানমালা এমনকি জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দেওয়া পর্যন্ত বাতিল করা হয়েছে, সেখানে বিএনপির পক্ষ থেকে এই ধরনের জমায়েত করা চরম দায়িত্বহীনতার পরিচয়’ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা আশা করব বিএনপি এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলসহ আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে জনগণের পাশে থাকব। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই দুর্যোগ মোকাবিলায় সমর্থ হবো।
‘প্রধানমন্ত্রীর আহবানে দেশবাসীর সাড়া স্বতঃস্ফূর্ত’
তথ্যমন্ত্রী তার বক্তব্যের শুরুতে বলেন, গত পরশু (২৫ মার্চ) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির উদ্দেশে ভাষণে বৈশ্বিক দুর্যোগ করোনাভাইরাস মোকাবিলায় দেশবাসীকে ঘরে থাকার আহ্বান জানিয়েছিলেন। একই সঙ্গে সরকারের পক্ষ থেকে ১০ দিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে দেশবাসী কার্যত ঘরেই অবস্থান করছেন এবং সরকার ও ডাক্তারদের পরামর্শ অনুযায়ী করোনাভাইরাস মোকাবিলায় যেসব ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন সেগুলোতে ব্যাপকভাবে সাড়া দিয়েছেন।
এই দুর্যোগের কারণে অর্থনীতির যে পরিস্থিতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে, সে বিষয়ে সরকারের প্রস্তুতির কথা প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে উল্লেখ করেছেন এবং ৫ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা ঘোষণা করেছেন জানিয়ে এ সময় করোনা মোকাবিলায় নিম্নবিত্তের মানুষের জন্য কেজি প্রতি ১০ টাকা হারে চাল বিক্রয়ের বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্তের কথাও জানান ড. হাছান মাহমুদ।
নইমুদ্দীন/সাইফ/
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন