ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের পিপিই দেবে বিজিএমইএ

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:৪৫, ৩০ মার্চ ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের পিপিই দেবে বিজিএমইএ

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) ডাক্তার, নার্স ও হাসপাতাল কর্মীসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদেরকে পারসোনাল প্রোটেকটিভ ইক্যুইপমেন্ট (পিপিই) দেবে।

সোমবার (৩০ মার্চ) দুপুরে  বিজিএমইএ'র গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বিজিএমইএ প্রাথমিক পর্যায়ে ২০ হাজার পিপিই পোশাক তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে। এগুলো প্রথম স্তরের পিপিই (লেভেল-১) এর পরিপূরক হিসেবে প্রস্তুত করা হচ্ছে। তবে করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় নিয়োজিত ডাক্তার ও কর্মীদের প্রয়োজন লেভেল ৩/৪ পিপিই।

ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীরা জানিয়েছেন, তারা শুধুমাত্র করোনা উপসর্গধারী রোগীদের চিকিৎসা চলাকালে পিপিই ব্যবহার হবে তা নয়। বরং তারা পেশাগত সকল কর্মকাণ্ডে পিপিই ব্যবহার করতে চান। সেই লক্ষ্যে তৈরি করা হচ্ছে লেভেল ১ পিপিই।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, বিজিএমইএ পিপিই এর ফেব্রিক ও আনুষঙ্গিক বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা এর মহাপরিচালক (ডিজিএইচএস) এর কাছ থেকে অনুমোদন নিয়েছে। বর্তমানে বিজিএমইএ এর অনেক সদস্য প্রতিষ্ঠান ফেব্রিক দানে এগিয়ে এসেছে। এছাড়াও আরও অনেক প্রতিষ্ঠান তাদের নিজেদের কারখানায় বিনামূল্যে পিপিই তৈরি করার বিষয়ে বিজিএমইএ’কে প্রস্তাবনাও দিয়েছে। বিজিএমইএ এই পিপিইগুলো ডিজিএইচএসসহ অন্যান্য সরকারি ও আধা সরকারি  প্রতিষ্ঠানে সরবরাহ করবে।

সাধারণত এদেশের পোশাক উদ্যোক্তাগণ পিপিই প্রস্তুত করেন না। পিপিই প্রস্তুত করতে যে ফেব্রিক ব্যবহার করা হয়, তার মেডিক্যাল গ্রেড থাকে এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্ধারিত মান বজায় রেখে তা প্রস্তুত করতে হয়। এই ফেব্রিক মূলত চীন থেকে আমদানি করতে হয়। আবার, পিপিই পোশাক তৈরির জন্য কারখানাগুলোকে বিশেষ ধরনের মেশিনারিজ ব্যবহার করতে হবে। কারখানায় জীবাণুমুক্ত পরিবেশে উৎপাদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। এসবের জন্য প্রশিক্ষণও দরকার। সব মিলিয়ে বাংলাদেশি কারখানায় পিপিই তৈরি করার জন্য কমপক্ষে ছয় মাস অথবা এর বেশি সময় লাগবে।

এ ব্যাপারে আমরা আইএলও, ডব্লিউএইচও, ডব্লিউএফপি এবং ইউনিসেফসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেছি। আমাদের সামর্থ্যকে কাজে লাগিয়ে কীভাবে পিপিই তৈরি করতে পারি, সে ব্যাপারে তাদের সহযোগিতা চেয়েছি। সংস্থাগুলোও সহযোগিতা প্রদানসহ কারিগরি জ্ঞান বিনিময়ে আমাদেরকে সাহায্য করবে বলে জানিয়েছে।


ঢাকা/হাসিবুল/জেনিস

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়