সামাজিক দূরত্ব মানছেন না অনেকে
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সামাজিক দূরত্ব বাজায় রাখা নিশ্চিত করতে চাইছে সরকার। এজন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ সেওয়া হয়েছে।
চলছে এখন সাধারণ ছুটি। পাশাপাশি কাঁচাবাজার ও সুপারশপগুলো প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত খোলা রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন পাড়া ও মহল্লায় অবস্থিত নিত্যপণ্যের দোকানগুলো প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।
বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল) ঢাকার রায়েরবাজার কাঁচাবাজার গিয়ে দেখা যায়, ক্রেতাদের ভিড়। করোনার কারণে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়ম অনুযায়ী অন্তত ৩ মিটার দূরত্ব বজায় রেখে চলাচল করার কথা, তাও করছেন না কেউ। গায়ে ঘেঁষাঘেঁষি করে চলাচল করছেন।
কথা হয় ক্রেতা মোহাম্মদ ইফতির সঙ্গে। তিনি বলেন, করোনার কারণে সারাক্ষণ বাসায় থাকি। বাসায় বাজার সব শেষ হয়ে যাওয়ায় বাজারে আসলাম। এসে দেখি অনেক লোক।
সামাজিক দূরত্ব মানা হচ্ছে না কেন—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কাঁচাবাজারে আসলে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা অসম্ভব। কারণ এখানে নানা ধরনের লোক আসে বাজার করতে। তবে সবাই যদি মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস পরে আসে তাহলে কিছুটা ঝুঁকি কম থাকে।
জিগাতলা কাঁচাবাজার ঘুরেও একই দৃশ্য দেখা গেছে। সেখানেও প্রচুরসংখ্যক ক্রেতারা কেনাকাটা করতে ব্যস্ত। কয়েকজন বিক্রেতা বলেন, যারা বাজার করতে আসে, আমরা সবাইকে বলি যেন তারা একটু ফাঁকা হয়ে দাঁড়ায়। জনগণ যদি এই দূরত্ব না মেনে চলে তাহলে আমরা কি করতে পারি।
এদিকে রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকার অধিকাংশ ব্যাংকে ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। সাধারণ ছুটির সময় গ্রাহকের লেনদেনের সুবিধার্থে ব্যাংকগুলো সীমিত খোলা থাকছে। লেনদেন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত চলছে। আর ব্যাংক খোলা থাকছে বিকেল ৩টা পর্যন্ত। সে কারণে অনেক ব্যাংকগুলোতে লেনদেন করতে গ্রাহকদের ভিড় দেখা গেছে।
কিন্তু এই ব্যাংকগুলোতেও অনেকে সামাজিক দূরত্ব মানছেন না। অল্প সময় ব্যাংক খোলা থাকার কারণে গ্রাহকরা ব্যাংকে এসেই তাড়াহুড়া করছেন টাকা উত্তোলন বা জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে।
ধানমন্ডির রুপালি ব্যাংকের কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন বলেন, গ্রাহকরা ব্যাংকে আসার সঙ্গে সঙ্গে তাদের আমাদের নিরাপত্তা কর্মীরা বলে দিচ্ছেন অন্তত দুই থেকে তিন মিটার দূরত্ব বজায় রেখে বসতে। এছাড়া আমরা মানুষকে সচেতন করার জন্য।বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছি।
এছাড়া ত্রাণ নেওয়া, টিসিবি থেকে পণ্য কেনা ও ১০ টাকা কেজির চাল বিক্রিতে মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরত্ব। রীতিমতো ঘেঁষাঘেঁষি করে দাঁড়িয়ে কার আগে কে চাল নেবে সেই চেষ্টা। সংশ্লিষ্টরা বারবার বলার পরেও ব্যর্থ হচ্ছে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার চেষ্টা।
হাসিবুল/সাইফ
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন