ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

শ্রমিকদের আনতে বাস চাওয়ার ব্যাখ্যা দিল বিজিএমইএ

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:০৬, ১৭ এপ্রিল ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
শ্রমিকদের আনতে বাস চাওয়ার ব্যাখ্যা দিল বিজিএমইএ

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের কাছে পোশাক কারখানা শ্রমিকদের কাজে যোগদানের জন্য বিশেষ বাস বরাদ্দের আহ্বান জানিয়ে যে চিঠি দেওয়া হয়েছিল এর ব্যাখ্যা দিয়েছে বিজিএমইএ।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) রাতে তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) গণমাধ্যমকে জানায়, পরিবহনের অভাবে শ্রমিকদের ফিরতে যেন অসুবিধে না হয়- তাই আগে থেকেই ভালোভাবে প্রস্তুত থাকার জন্য এটা করা হয়েছিল। মূল উদ্দেশ্য ছিল বিজিএমএর শ্রমিকদের জন্য নিরাপদ পরিবহনের ব্যবস্থা করা। সঠিকভাবে পরিকল্পনা করা- যাতে শ্রমিকদের ক্ষতি না হয়।

প্রসঙ্গত, বুধবার বিজিএমইএর সভাপতি রুবানা হক স্বাক্ষরিত একটি চিঠি প্রকাশ পায়। চিঠিতে পোশাক কারখানা শ্রমিকদের কাজে যোগদানে বিশেষ বাস বরাদ্দের অনুরোধ করা হয় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের কাছে।

চিঠিতে বলা হয়, ‘‘ইতিমধ্যে সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে আলোচনার প্রেক্ষিতে ২৬ এপ্রিল থেকে কারখানা চালুর সম্মতি রয়েছে।’

‘শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করে রপ্তানি কার্যাদেশ থাকা কারখানাগুলো চালু করা হবে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের সহযোগিতা প্রয়োজন।

‘কারখানাগুলো মার্চ মাসের বেতন ভাতা পরিশোধ করেছে। অধিকাংশ শ্রমিক ঢাকা বাইরে অবস্থান করার কারণে বেতন ভাতা সংগ্রহ করতে পারছে না। কারখানা পরিচালনা এবং বেতন ভাতা প্রদানের উদ্দেশ্যে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ২০ এপ্রিল এর পর শ্রমিক ভাই বোনদের গাজীপুর, সাভার, আশুলিয়া ও ঢাকায় আনার লক্ষ্যে আপনার সার্বিক সহযোগিতা কামনা করি।”

এ চিঠিটি বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের কাছে ১৫ এপ্রিল দেওয়া হয়েছিল জানিয়ে বিজিএমইএর পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘‘চিঠিটি ১৫ এপ্রিল বিজিএমএ থেকে পাঠানো হয়েছিল। যাতে আমরা সময় মতো ভালভাবে প্রস্তুত থাকি। কিন্তু পরিস্থিতি সম্পূর্ণরূপে পরিবর্তিত হয়েছিল, যখন ১৬ এপ্রিল বিকালে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় পুরো দেশকে মহামারির ঝুঁকিতে ঘোষণা করেছিল তখন।

‘বিজিমইএ তখনই চিঠিটি বাতিল করার পদক্ষেপ নিয়েছিল এবং সে অনুযায়ী বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনে জানানো হয়েছে। যদি সার্বিকভাবে মহামারি করোনা পরিস্থিতির উন্নয়ন হয়, সে সময়ে কর্মীদের জন্য নিরাপদে প্রত্যাবর্তনের জন্য বিজিএমএ প্রয়োজনীয় স্টেকহোল্ডারদের সাথে আবার আলোচনা করবে।

‘এটা নিয়ে যেন কোনো বিভ্রান্তি না ঘটে। এ মুহূর্তে আমাদের প্রথম ও একমাত্র অগ্রাধিকার হচ্ছে আমাদের শ্রমিক ভাইবোনদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিত রাখা।”


ঢাকা/হাসিবুল/সনি

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়