ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

‘এক তৃতীয়াংশের বেশি মানুষ সহায়তার আওতায়’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:০৭, ২৬ এপ্রিল ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘এক তৃতীয়াংশের বেশি মানুষ সহায়তার আওতায়’

করোনাভাইরাসের বর্তমান পরিস্থিতে দেশের এক তৃতীয়াংশের বেশি মানুষ সরকারের নানাবিধ সহায়তার আওতায় রয়েছেন বলে এক অনলাইন ব্রিফিংয়ে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

রোববার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ কার্যালয় থেকে এক ভিডিও বার্তায় তিনি একথা বলেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। সরকারের নানাবিধ কর্মসূচির মাধ্যমে দেশের এক তৃতীয়াংশের বেশি মানুষ সহায়তা পাচ্ছে। করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছে। যাতে এ বিশেষ পরিস্থিতিতে জনগণের কোনো প্রকার অসুবিধা না হয়।’

মন্ত্রী বলেন, ‘সরকারের বাইরে বিত্তশালী-সমাজসেবী, বিভিন্ন সংগঠন এগিয়ে এসেছে। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা সহায়তা করছেন। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমাদের করোনা পরিস্থিতি মোকিবেলা করতে হবে। সরকারের মূল লক্ষ্য দেশের একজন মানুষও যেন না খেয়ে না থাকে। সেই লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাস যাতে বেশি না ছড়ায় সেজন্য সরকার অনেকগুলো পদক্ষেপ নিয়েছে। কিন্তু তারপরও করোনা বাংলাদেশে অনেক ছড়িয়েছে। এরইমধ্যে ৫ হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। অনেক মানুষ দুঃখজনকভাবে মৃত্যুবরণ করেছেন।

তিনি বলেন, মরণঘাতী এই ভাইরাস যাতে বেশি না ছড়ায় সেজন্য আমাদের সবার স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা প্রয়োজন। সরকার এ কারণে ছুটি ঘোষণা করেছে। ছুটির সময়ে দেশের সব কর্মকাণ্ড বন্ধ থাকায় অনেকেই কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। এ কারণে অনেক খেটে খাওয়া মানুষ আজকে অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে পড়েছেন। যারা দিনে এনে আর্থিক উপার্জনের মধ্যে নির্ভরশীল ছিলেন তারা কাজ করতে না পেরে আরও বেশি সমস্যায় পড়েছেন। এজন্য সরকার বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে তাদের সহায়তা দিচ্ছেন।

হাছান মাহমুদ বলেন,  বাংলাদেশের এক তৃতীয়াংশের বেশি মানুষ সরকারের  বিভিন্ন সহায়তা কর্মসূচির আওতার মধ্যে আছেন। সরকার ভিজিডির মাধ্যমে দশ লাখ চল্লিশ হাজার পরিবারকে সহায়তা দিচ্ছে। খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির মাধ্যমে ৫০ লাখ পরিবারকে ১০টাকা মূল্যের চাল বিতরণ করছে। সাড়ে ১২ লাখ পরিবার ওএমএস এর মাধ্যমে সহায়তা পাচ্ছে। মৎস‌্য ভিজিএফ এর মাধ্যমে ৩ লাখ পরিবার সহায়তা পাচ্ছে। এর বাইরে জেলা প্রশাসন বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি, দুধ কিনে জনগণের মধ্যে বিতরণ করছে। 

এর বাইরে আজকের বিশেষ পরিস্থিতির কারণে এক লাখ চার হাজার ২৬৭ মেট্রিক টন চাল গ্রামের জনগণের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। ৪৪ কোটি ১১ লাখ ৭২ হাজার টাকা জনগণের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। শিশু খাদ্যের জন্য বিশেষ নগদ অর্থ ৯ কোটি ৫৪ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। বয়স্ক ভাতা, স্বামী পরিত্যক্ত ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতাসহ বিভিন্ন ভাতার মাধ্যমে দেশের আরও প্রায় ১ কোটির বেশি মানুষ বিভিন্ন ধরনের সহায়তা পাচ্ছেন ।

তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের ভয়াল থাবা থেকে দেশবাসীকে মুক্ত রাখতে, এই ভাইরাস যাতে জনগণের কাছে বেশি না ছড়ুায়, জনগণের সুরক্ষায় ২৬ মার্চ থেকে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত কয়েক দফায় সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। পরে সেই ছুটি বৃদ্ধি করে ৫ মে পর্যন্ত করা হয়েছে। ছুটির সময়ে তথ্যমন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দপ্তর খোলা রাখা হয়। যেহেতু জরুরি সেবা আমাদের দিতে হয় সেজন্য আমাদের চালু ছিলো। পিআইডি, মাস কমিউনিকশন, রেডিও টেলিভিশন চালু ছিলো, সেজন্য আমাদের কর্মকর্তাদের সীমিত আকারে অফিস করতে হয়েছে।

সম্প্রতি সরকার বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও অফিস যেগুলো জরুরি সেবার সঙ্গে যুক্ত সেগুলো খোলা রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। আজকে এখানে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অনেকেই এসেছেন। আজকে আমরা এখানে (সচিবালয়ে) বৈঠক করেছি- জানান মন্ত্রী।



ঢাকা/নঈমুদ্দীন/ইভা

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়