ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

জাতীয় কবির জন্মবার্ষিকী উদযাপিত

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:৩২, ২৫ মে ২০২০   আপডেট: ১০:৩৯, ২৫ আগস্ট ২০২০
জাতীয় কবির জন্মবার্ষিকী উদযাপিত

দেশব্যাপী যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২১তম জন্মবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে। জাতীয় পর্যায়ে কাজী নজরুল ইসলামের জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে প্রতিবছর ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হতো। কিন্তু এ বছর করোনাভাইরাসের কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পর্যায়ে কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসূচির মধ্যে ছিল সকালে কবির সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান। পরে কবির বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ ও দোয়া করা হয়।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূইয়া এবং প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী উপস্থিত ছিলেন।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান কবির স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন অসাম্প্রদায়িক চেতনা, সম্প্রীতি, সাম্য ও মানবতার কবি। তিনি সবসময় অন্যায়-অত্যাচার ও অসাম্যের বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে প্রতিবাদী ছিলেন।

তি‌নি বলেন, কবির অসাম্প্রদায়িক ও মানবিক মূল্যবোধে সবাই উজ্জীবিত হয়ে ধৈর্য ও সাহসিকতার সঙ্গে করোনাভাইরাস উদ্ভূত দুর্যোগ মোকাবিলা করতে সক্ষম হবে।

এ উপলক্ষে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় নির্মিত ‘জাগো অমৃত পিয়াসী’ শীর্ষক আনুমানিক ৫০ মিনিটের একটি বিশেষ অনুষ্ঠান রোববার বিটিভিসহ বিভিন্ন বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে একযোগে সম্প্রচারিত হয়। এছাড়াও বিভিন্ন বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে নজরুলের ওপর নির্মিত অনুষ্ঠান প্রচার করছে এবং করবে।

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বাংলা ১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ জ্যৈষ্ঠ বর্ধমান জেলার আসানসোলের জামুরিয়া থানার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মেছিলেন। তার ডাক নাম ‘দুখু মিয়া’। বাবার নাম কাজী ফকির আহমেদ ও মাতা জাহেদা খাতুন।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর পরই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামকে সপরিবারে সদ্যস্বাধীন বাংলাদেশে নিয়ে আসেন। রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বাংলাদেশে তার বসবাসের ব্যবস্থা করেন। ধানমন্ডিতে কবির জন্য একটি বাড়ি প্রদান করেন।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের শোকাবহ ঘটনার এক বছর পর ১২ই ভাদ্র ১৯৭৬ সালের শোকের মাসেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (সাবেক পিজি হাসপাতাল) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন নজরুল।

কবিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হয়। এখানেই তিনি চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন।

 

পারভেজ/এসএম

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়