বিবর্ণ ঈদ
এবারের ঈদ হতে পারত আগের সব ঈদের মতোই। হতে পারত স্বাভাবিক, ছন্দময়। সেটাই প্রত্যাশিত ছিলো। কিন্তু করোনা সব ওলট-পালট করে দিয়েছে।
এদিকে গত ১৪ মে বরেণ্য শিক্ষাবিদ ও জাতীয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান মারা যান। গত ২৮ এপ্রিল প্রকৌশলী ও বিজ্ঞানী জামিলুর রেজা চৌধুরী মারা যান। দুই নক্ষত্রের বিদায়ে তাদের পরিবারে আনন্দ নেই, সান্ত্বনাও নেই৷ এবারের ঈদ তাদের কষ্ট ও বেদনার।
অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের ছেলে আনন্দ জামান রাইজিংবিডিকে বলেন, এবার তো আসলে ঈদ বলে কিছু এসেছে আমাদের মনে হচ্ছে না। ব্যক্তিগতভাবে আমি আসলে পড়ে আছি ১৪ তারিখে। সেদিন বিকেলে আব্বার মৃত্যু এবং পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহের কারণে একের পর এক কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। আমি ঠিকমতো শোক করারও সুযোগ পাচ্ছি না। তাছাড়া বহু মানুষ ফোনে আমাদের খোঁজখবর নিচ্ছেন। কখনো তারা সান্ত্বনা দিচ্ছেন। কখনো কখনো তাদেরকে আমার সান্ত্বনা দিতে হচ্ছে।
আনন্দ জামান বলেন, প্রতি ঈদের দিন সকালে আব্বা-আম্মাকে সালাম করে আমি আমার পরিবার নিয়ে বাইরে যেতাম। তার আগে অবশ্য সপরিবারে, আব্বা-আম্মাসহ, একটা ছবি তুলতাম। এসব কিছুই এবার হচ্ছে না। তবে আব্বা বেঁচে থাকলেও বিশ্ব পরিস্থিতি, দেশের অবস্থা, সবমিলিয়ে আসলে ঈদ পালন এমনিতেই কঠিন হতো।
জামিলুর রেজা চৌধুরীর স্ত্রী সেলিনা নওরোজ চৌধুরী রাইজিংবিডিকে বলেন, তাকে হারিয়ে আমরা ঈদের কথাই ভুলে গেছি। কার্যত সবকিছুতেই শূন্যতা বিরাজ করছে।
জামিলুর রেজা চৌধুরীর ছেলে প্রকৌশলী কাশিফ রেজা চৌধুরী রাইজিংবিডিকে বলেন, বাবাকে হারিয়ে কেমন লাগছে বলে বুঝাতে পারছি না। আপনারা সবাই বাবার জন্য দোয়া করবেন।
ইয়ামিন/সাইফ
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন