ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

‘ক্যাসিনোকাণ্ডে দুর্নীতির তদন্তে শিথিলতার সুযোগ নেই’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৬:৪০, ৫ জুন ২০২০   আপডেট: ১০:৩৯, ২৫ আগস্ট ২০২০
‘ক্যাসিনোকাণ্ডে দুর্নীতির তদন্তে শিথিলতার সুযোগ নেই’

করোনাভাইরাসের কারণে ক্যাসিনোকাণ্ড কিংবা স্বাস্থ্যের দুর্নীতির অনুসন্ধান ও তদন্তে শিথিলতার কোনো সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।

শুক্রবার (৫ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বর্তায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

ক্যাসনিোকাণ্ডে দুদকের অনুসন্ধান বা তদন্তে শিথিলতা প্রসঙ্গে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, আমরা গণমাধ্যমে এ জাতীয় সংবাদ দেখছি। তবে আমি দ্ব্যার্থহীন ভাষায় বলতে পারি, কমিশন  ক্যাসিনোকাণ্ডে যেসব অভিযোগ আমলে নিয়েছে সেসব বিষয়ে অনুসন্ধান বা তদন্তে শিথিলতার কোনও সুযোগ নেই।  করোনার কারণে অপরাধীদের প্রতি ন্যূনতম নমনীয় হওয়ার সুযোগও নেই।  প্রতিটি অনুসন্ধান ও তদন্ত চলমান রয়েছে।  করোনার কারণে হয়তো অনুসন্ধান বা তদন্ত সম্পন্ন করতে নির্ধারিত  সময়রে চেয়ে একটু বেশি  সময় লাগতে পারে।  তবে সংশ্লিষ্ট অনুসন্ধানকারী ও তদন্তকারী কর্মকর্তাদের  বাসায় বসেই  কাজ করতে বলা হয়ছে।  তারাও নিরলসভাবে কাজ করছে।  আমরা আশা করছি, তদন্ত সম্পন্ন করেই অপরাধীদের আইন-আমলে নিয়ে আসা যাবে।

এন-৯৫ মাস্ক ও পিপিই কেনাকাটায় দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, করোনা মহামারি শুরুতর এসব সামগ্রী ক্রয়-প্রক্রিয়া শুরু হয়, টেন্ডার হয়। এগুলো খুবই স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।  এসব ক্রয়ে অনিয়ম-দুর্নীতি কিংবা জালিয়াতির ঘটনা ঘটলে দুদক আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে।  এন-৯৫ মাস্ক এবং পিপিই  ক্রয়ের  ক্ষেত্রে বিভিন্ন গণমাধ্যমে অনিয়ম-দুর্নীতি বা প্রতারণার কিছু খবর এসেছে।  কমিশন এ সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রতিবেদন সংরক্ষণ করছে।

ইকবাল মাহমুদ বলেন, কমিশন সার্বিকভাবে এসব কেনাকাটার বিষয়গুলো অনুসরণ করছিল। এ বিষয়ে ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তাদের নিজস্ব প্রক্রিয়ায় তদন্ত সম্পন্ন করেছে বলে আমরা জেনেছি।  আমরা হয়তো তাদের এই প্রতিবেদনটি সংগ্রহ করবো।  এখন বিভিন্ন উৎস হতে তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করা হচ্ছে।  এরপরই পূর্ণাঙ্গ কমিশন বসবো এবং এসব তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।  মাস্ক বা পিপিইর মতো অতীব গুরুত্বপূর্ণ সামগ্রী যা চিকিৎসক, নার্স বা স্বাস্থ্য কর্মীদের জীবনের নিরাপত্তার সাথে সম্পৃক্ত।  তাই এসব অভিযোগ অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া হচ্ছে এবং দ্রুততার সাথে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।

তিনি বলেন, স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় তৃণমূল পর্যায় (উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স) থেকে শুরু করে রাজধানীর বড় বড় হাসপাতালের বিষয়ে আমরা যেসব অভিযোগ পাচ্ছি সেগুলোও যাচাই-বাছাই করা হবে এবং অভিযোগের সারবত্তা থাকলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।  অনুসন্ধানকালে সংশ্লিষ্ট অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালন করেন।  অপরাধীদের গ্রেপ্তার তলব কিংবা বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা এসব বিষয়ে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তাই সিদ্ধান্ত নিবেন।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় অনিয়ম-দুর্নীতি প্রতিরোধে কমিশন কর্তৃক গঠিত প্রাতিষ্ঠানিক টিমও কাজ করেছে। গত বছর কমিশনের প্রাতিষ্ঠানিক টিমের একটি প্রতিবেদন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে। কমিশন মনে করে এ প্রতিবেদনের সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন করা হলে স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতি-অনিয়ম প্রতিরোধ করা সহজ হবে। যন্ত্রপাতি ক্রয়সহ স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে কমিশন নির্মোহভাবে আইনি দায়িত্ব পালন করবে।


এম এ রহমান/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়