ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

ডেঙ্গু প্রতিরোধে ফের শুরু হচ্ছে চিরুনি অভিযান

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:৫২, ৫ জুন ২০২০   আপডেট: ১০:৩৯, ২৫ আগস্ট ২০২০
ডেঙ্গু প্রতিরোধে ফের শুরু হচ্ছে চিরুনি অভিযান

এডিস মশা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে নগরবাসীকে ডেঙ্গু থেকে সুরক্ষা দিতে শনিবার (০৬ জুন) থেকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) সব ওয়ার্ডে (৫৪টি) একযোগে বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযান (চিরুনি অভিযান) শুরু হবে।

১০ দিনব্যাপী এ অভিযান শুক্রবার ছাড়া প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত পরিচালিত হবে।

শুক্রবার (০৫ জুন) বিকেলে ডিএনসিসি’র জনসংযোগ কর্মকর্তা এ এস এম মামুন এ তথ্য জানিয়েছেন।  তিনি জানান, চিরুনি অভিযান পরিচালনার উদ্দেশে প্রতিটি ওয়ার্ডকে ১০টি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছে। আবার প্রতিটি সেক্টরকে ১০টি সাবসেক্টরে ভাগ করা হয়।  প্রতিদিন প্রতিটি ওয়ার্ডের ১টি সেক্টরে অর্থ্যাৎ ১০টি সাবসেক্টরে চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা হবে।

এভাবে আগামী ১০ দিনে পুরো ডিএনসিসিতে চিরুনি অভিযান সম্পন্ন করা হবে।  প্রতিটি সাবসেক্টরে ডিএনসিসির ৪ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও ১ জন মশক নিধনকর্মী, অর্থাৎ প্রতিটি ওয়ার্ডে প্রতিদিন ৪০ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও ১০ জন মশককর্মী ডিএনসিসির আওতাধীন বিভিন্ন বাড়ি, স্থাপনা ও প্রতিষ্ঠানে গিয়ে কোথাও এডিস মশার লার্ভা আছে কিনা, কিংবা কোথাও তিন দিনের বেশি পানি জমে আছে কিনা, কিংবা ময়লা-আবর্জনা আছে কিনা, যা এডিস মশার বংশবিস্তারে সহায়ক, তা পরীক্ষা করবেন।

চিরুনি অভিযান চলার সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে ৯ জন কীটতত্ত্ববিদ, ডিএনসিসির ৩ জন কীটতত্ত্ববিদ, স্বাস্থ্য বিভাগ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ডিএনসিসির চিরুনি অভিযানসহ এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতা করবে।

চিরুনি অভিযানে যেসব বাড়ি অথবা স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা কিংবা এডিস মশা বংশবিস্তার উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যাবে, তার ছবি, ঠিকানা, মোবাইল নম্বরসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে একটি অ্যাপে সংরক্ষণ করা হবে। এর ফলে চিরুনি অভিযান শেষে ডিএনসিসির কোন কোন এলাকায় এডিস মশা বংশবিস্তার করে তার একটি ডাটাবেজ তৈরি হবে।  সে অনুযায়ী পরেও তাদেরকে মনিটর করা সহজ হবে। অ্যাপটি তৈরি করেন ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমিরুল ইসলাম।

গত ১৬ মে থেকে শুরু করে ঈদুল ফিতরের আগ পর্যন্ত ডিএনসিসি’র ৫টি ওয়ার্ডে চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছিল।  ওয়ার্ডগুলো হলো- ১, ৬, ১২, ১৮ ও ৩২।  সে সময় ৯ হাজার ৪৬৩টি বাড়ি/স্থাপনা পরিদর্শন করে ১৮৭টিতে এডিস মশার লার্ভার সন্ধান পাওয়া যায়।

চিরুনি অভিযানের সঙ্গে সঙ্গে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে ডিএনসিসির আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে মোবাইল কোর্টও পরিচালিত হবে।  এর আগে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে ডিএনসিসিতে ১০ মে থেকে মোবাইল কোর্ট শুরু হয়।  বিভিন্ন বাড়ি, স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে এ পর্যন্ত মোট ৪ লাখ ২৬ হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

 

ঢাকা/নূর/জেডআর

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়