ঢাকা     বুধবার   ১৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৪ ১৪৩১

‘জাতিসংঘের পুরস্কার শুধু ভূমি মন্ত্রণালয় নয়, দেশ-জাতির প্রাপ‌্য’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:২০, ১০ জুন ২০২০   আপডেট: ১০:৩৯, ২৫ আগস্ট ২০২০
‘জাতিসংঘের পুরস্কার শুধু ভূমি মন্ত্রণালয় নয়, দেশ-জাতির প্রাপ‌্য’

জাতিসংঘের পাবলিক সার্ভিস অ‌্যাওয়ার্ড পাওয়ার প্রতিক্রিয়ায় ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, ‘পুরস্কারটি ভূমি মন্ত্রণালয়ের নামে দিয়েছে। কিন্তু শুধু ভূমি মন্ত্রণালয় বললে হবে না, এটা দেশ ও জাতির প্রাপ্য।’

বুধবার (১০ জুন) দুপু‌রে অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে তি‌নি এসব কথা বলেন।

বাংলাদে‌শে ই-মিউটেশন (ই-নামজারি) চালু করা খুব চ্যালেঞ্জিং ছিল, জা‌নি‌য়ে ভূমিমন্ত্রী ব‌লে‌ছেন, ‘মানুষ মিউটেশনের জন্য অনেক বেশি ভোগান্তিতে ছিল। আমরা এখন শতভাগ সফল হয়ে‌ছি, তা বলব না। জা‌তিসং‌ঘের অ্যাওয়ার্ড প্রা‌প্তি মা‌নে এই নয়, বাংলাদেশে নামজারি শতভাগ ওয়েলডান। এটা ইন্সপাইরেশন, একটা অ্যাওয়ার্ড।’

প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জা‌নি‌য়ে ভূমিমন্ত্রী বলেছেন, ‘কাজ করতে হবে এই মন-মানসিকতা নিয়ে যে, কীভাবে প্রধানমন্ত্রীর (ওপর) আস্থা রাখতে পারি, জাতিকে কী সেবা দিতে পারি, দেশের জন্য কী করতে পারি।’

ডি‌জিটাল ভূ‌মি ব‌্যবস্থাপনায় সবাই‌কে নিষ্ঠার স‌ঙ্গে কাজ করার আহ্বান জা‌নি‌য়ে সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘আমরা যা-ই করি তা সাসটেইনেবল হতে হবে। ‌সেবা জনগ‌ণের দোর‌গোড়ায় পৌঁছা‌তে হ‌বে। আমরা যেখানে এসেছি সেখান থেকে ফিরে যাওয়ার সুযোগ নেই। এখান থেকে আরো অনেক উন্নতি করতে হবে। এই লক্ষ্য নিয়েই আমরা সাম‌নের দি‌কে এ‌গি‌য়ে যে‌তে চাই।’

তিনি বলেন, ‘২০০৯ সালে গৃহীত ডিজিটাল বাংলাদেশের মহাপরিকল্পনার ধারাবাহিকতায় ২০১৬ সাল থেকে ই-নামজারি পাইলটিং শুরু হয়। ২০১৯ সালের ১ জুলাই থেকে তিনটি পার্বত্য জেলা বাদে সারা দেশে একযোগে শতভাগ ই-নামজারি বাস্তবায়ন শুরু হয়। জাতিসংঘ পুরস্কার প্রাপ্তির পর আমাদের ওপর দায়িত্ব আরো বেড়েছে। এ স্বীকৃতি ধরে রাখতে সর্বাত্মক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।’

‘ভূমি অফিসে ই-নামজারি চালু হওয়ায় সেবা পেতে কম সময় ও কম খরচ হচ্ছে। এর ফলে নাগরিক সন্তুষ্টি বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং দালালদের দৌরাত্ম্য ও মাঠ পর্যায়ে দুর্নীতির সুযোগ কমছে,’ বলেন ভূমিমন্ত্রী। ই-নামজারি সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।

ভূমি রে‌জিস্ট্রেশ‌নের কাজ প্রস‌ঙ্গে ভূমিমন্ত্রী বলেন, ‘ভূমি রেজিস্ট্রেশনের কাজ আইন মন্ত্রণালয়ের অধী‌নে হয়। আমি আইনমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের বলেছি, আমরা যদি একই ফেইজে কাজ করতে না পারি তবে কিন্তু ভেরি ডিফিকাল্ট। সাসটেইনেবল করতে হলে আমাদের একই ফেইজে আসতে হবে।’

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বিশেষ অতিথি হিসেবে অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ মূলত একটি পরিবর্তনের গল্প। শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ অন্যান্য সেক্টরের মতো ভূমি সেক্টরেও আমরা সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য অর্থাৎ হাতের মুঠোয় ভূমি সেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছি।’

এর আগে ই-নামজারি প্রকল্পের ওপর একটি সচিত্র প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন এটুআই’র প্রকল্প পরিচালক ড. মো. আবদুল মান্নান।

সংবাদ সম্মেলনে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব শেখ ইউসুফ হারুন, ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. ইয়াকুব আলী পাটোয়ারী এবং ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার মো. মোস্তাফিজুর রহমান।

উপস্থিত ছিলেন ভূমি আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান বেগম উম্মুল হাছনা, এটুআই’র পলিসি অ্যাডভাইজর আনির চৌধুরী, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. তসলীমুল ইসলামসহ সব বিভাগীয় কমিশনার।

সংবাদ সম্মেলনে কয়েকজন জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাঠ পর্যায়ে তাদের কাজ করার অভিজ্ঞতার কথা বলেন।

ভূমিমন্ত্রী অনলাইনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।

ই-নামজারি কার্যক্রমের জন্য ‘স্বচ্ছ ও জবাবদিহি সরকারি প্রতিষ্ঠানের বিকাশ' শ্রেণিতে 'ইউনাইটেড নেশনস পাবলিক সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড-২০২০' পেয়েছে বাংলাদেশের ভূমি মন্ত্রণালয়।


ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়