‘অবৈধভাবে বিদেশে পাঠানোর প্রস্তাব পেলে প্রশাসনকে জানান’

কেউ যদি অবৈধভাবে বিদেশে পাঠানোর প্রস্তাব দেয় তবে স্থানীয় প্রশাসনকে জানানোর পরামর্শ দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

শুক্রবার (২৬ জুন) যুক্তরাষ্ট্রের মানবপাচার রিপোর্ট বিষয়ে এক ভিডিও বার্তায় প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে তিনি এ পরামর্শ দেন।

বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) রাতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এবং প্রেসিডেন্ট ডোলান্ড ট্রাম্পের উপদেষ্টা ইভাঙ্কা ট্রাম্প মানবপাচার সংক্রান্ত রিপোর্টটি উদ্বোধন করেন।  এতে বাংলাদেশ দ্বিতীয় স্তরে উন্নীত হয়েছে।  বিষয়টিকে ড. মোমেন বড় অর্জন হিসাবে অভিহিত করেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এখানে থেমে গেলে চলবে না। কয়েকদিন পরপরই মানবপাচারের ঘটনা ঘটছে। সম্প্রতি লিবিয়ায় ২৬ জন বাংলাদেশি মারা গেছেন, যা অত্যন্ত দুঃখজনক।

তিনি বলেন, পাচারকারীদের চিহ্নিত করে সামাজিকভাবে বয়কট করা দরকার। অবৈধভাবে যারা যায় তাদের মা-বাবা, আত্নীয়-স্বজনও দায়বদ্ধতার বাইরে নয়। আপনারা জেনেশুনে অবৈধভাবে বিদেশে পাঠাবেন না। কেউ যদি অবৈধভাবে বিদেশে পাঠানোর প্রস্তাব দেয় তবে স্থানীয় প্রশাসনকে জানান।

যুক্তরাষ্ট্র মানবপাচার রিপোর্টে চারটি ক্যাটাগরিতে দেশগুলোকে ভাগ করা হয়।  এগুলো হলো- প্রথম স্তর, দ্বিতীয় স্তর, দ্বিতীয় স্তর নজরদারি (ওয়াচলিস্ট) ও তৃতীয় স্তর।

দেশের অভ্যন্তরে ও বিদেশে বিভিন্ন মানবপাচারের ঘটনার সঙ্গে বাংলাদেশিদের জড়িত থাকার কারণে এবং দেশের ভেতরে এ ধরনের অপরাধের বিচারে অপর্যাপ্ত ব্যবস্থার কারণে গত তিন বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রের মানবপাচার রিপোর্টে দ্বিতীয় স্থরের নজরদারি তালিকায় ছিল বাংলাদেশ। এ বছর পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় নজরদারির তালিকা থেকে উন্নীত হয়ে বাংলাদেশ দ্বিতীয় স্থরে উঠে এসেছে।


ঢাকা/হাসান/জেডআর