ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

ওয়ারী লকডাউন: দ্বিতীয় দিনে ঢিলেঢালা, সোমবার থেকে কড়া নজরদারি

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:১৪, ৫ জুলাই ২০২০   আপডেট: ১০:৩৯, ২৫ আগস্ট ২০২০
ওয়ারী লকডাউন: দ্বিতীয় দিনে ঢিলেঢালা, সোমবার থেকে কড়া নজরদারি

ওয়ারীতে লকডাউনের দ্বিতীয় দিন চলছে।  এইদিনে অনেকেই বাইরে বের হওয়ার চেষ্টা করেন।  তবে প্রথমদিনের তুলনায় আজ কিছুটা  কমেছে এ প্রবণতা। ধীরে ধীরে সবাই লকডাউন মেনে চলবেন বলে আশা প্রকাশ করেন স্বেচ্ছাসেবকরা। তারা বলছেন, দ্বিতীয় দিন ঢিলেঢালা হলেও সোমবার থেকে কঠোর নজরদারি চলবে।

রোববার (৫ জুলাই) লকডাউন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, প্রত্যেকটি প্রবেশপথ বন্ধ রয়েছে। জরুরি চলাচলের জন্য হট কেক গলি এবং ওয়ারী থানার পাশে র‌্যানকিন স্ট্রিট খুলে রাখা হয়েছে।  এই দুই গেট দিয়ে মানুষ ভেতরে প্রবেশ করছে এবং বাইরে বের হচ্ছে।  ওষুধের দোকান, সুপার শপ, হাসপাতাল খোলা রয়েছে।  সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্ন কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ময়লা-আবর্জনা সংগ্রহ করছেন। 

ওই এলাকায় তিনটি হাসপাতালের রোগীসহ স্বজনরা গেট দিয়ে প্রবেশ করছেন।  তবে রোগীর সঙ্গে দুজনের বেশি কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।  অনেক গৃহকর্মী বাইরে থেকে এসে বাসায় কাজ করেন।  তাদের অনেককে দেখা গেছে বাসায় কাজ করার জন্য তারা গেটের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন।  স্বেচ্ছাসেবকদের কাছে অনুমতি চাইছেন। 

গৃহকর্মী হামিদা বেগম বলেন, স্বামীর একার আয়ে সংসার চলে না।  বাধ্য হয়েই বিভিন্ন বাসায় বাসায় কাজ করি।  কাজ না করলে বেতন দেবে না।  বেতন না দিলে খাবো কী। মালিক আসার ব্যাপারে কিছু বলেছে কী না জানতে চাইলে বলেন, তারা কিছু বলেনি।

বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির কর্মকর্তা মো. সাঈদ বলেন, আমরা মাইকিং করে এলাকার বাসিন্দাদের অনুরোধ করছি, অপ্রয়োজনে বাসার বাইরে বের না হতে। গতকালের তুলনায় আজ বাইরে যাওয়ার প্রবণতা কিছুটা কমেছে।  গতকাল অনেকে বের হলেও আজ দেখেছি ১৫/২০ জনের মতো বের হয়েছেন।  যারা বের হন তাদের অনেকে ব্যবসা বা চাকরি করেন।  তাদের অনুরোধ করেছি বের না হতে।

স্বেচ্ছাসেবক সাঈদ বলেন, গতকাল থেকেই কোনও গৃহকর্মীকে ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। আজ কিছুটা ছাড় দেওয়া হলেও আগামীকাল থেকে আমরা আরও কঠোর হবো। 

স্বেচ্ছাসেবক মো. সিয়াম বলেন, ভেতরে শিশু হাসপাতালসহ তিনটি হাসপাতাল রয়েছে।  যেখানে রোগী আসা যাওয়া করছে।  হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নতুন রোগী ভর্তি না করার অনুরোধ করা হয়েছে।  যারা ভর্তি আছেন তারা আস্তে আস্তে চলে যাচ্ছেন। ভেতরে প্যাসিফিক, লাজফার্মাসহ বিভিন্ন ফার্মেসি রয়েছে।  সেখান কর্মচারীদের খাতায় নাম লিখে ভেতরে প্রবেশ ও বের হতে দেওয়া হচ্ছে।  এলাকার লোকজনের খাবারের বিষয়টি খেয়াল রেখে, মীনা বাজার, ফুড পান্ডা আর স্বপ্ন এর কর্মচারীদের ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে।

উল্লেখ্য, ওয়ারীর টিপু সুলতান রোড, যোগীনগর রোড ওজয়কালী মন্দির থেকে বলধা গার্ডেন (আউটার রোড) এবং লারমিনি স্ট্রিট, হেয়ার স্ট্রিট, ওয়্যার স্ট্রিট, র‌্যাংকিং স্ট্রিট ও নবাব স্ট্রিট (ইনার রোড) লকডাউনের আওতায় রয়েছে।

প্রসঙ্গত, ৪ জুলাই থেকে ২১ দিনের লকডাউন শুরু হয়েছে ওয়ারীতে।


মামুন/নূর/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়