ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

‘করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে চসিক নির্বাচন নয়’

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:৫২, ৫ জুলাই ২০২০   আপডেট: ১০:৩৯, ২৫ আগস্ট ২০২০
‘করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে চসিক নির্বাচন নয়’

দেশে মহামারি করোনাভাইরাস পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচন করা সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আলগমীর।

রোববার (০৫ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

মো. আলগমীর বলেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের জন্য ৫ আগস্ট পর্যন্ত সময় আছে।  এরপরও ৯০ দিন সময় নেওয়া যাবে।  তাই করোনা মহামারি কমার আগে এ নির্বাচন করার কোনো পরিকল্পনা নেই।  পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ভোট করা হবে।

তিনি বলেন, শুধু চট্টগ্রাম সিটি নয়, স্থানীয় সরকারের অন্যান্য নির্বাচনও করোনা মহামারি কেটে গেলে ভোট করা হবে।

২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করেছিল ইসি।  এ সিটির মেয়াদ শেষ হবে ২০২০ সালের ৫ আগস্ট।

নির্বাচনি আইন অনুযায়ী, ৫ আগস্টের আগের ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচনের বিধান রয়েছে।

এর আগে গত ২৯ মার্চ চট্টগ্রাম সিটির ভোটগ্রহণ হওয়ার কথা ছিল।  করোনার কারণে ২১ মার্চ ভোট স্থগিত করে ইসি।

ভোটে বৈধ ছয় প্রার্থী হলেন- আওয়ামী লীগের এম রেজাউল করিম চৌধুরী, বিএনপির শাহাদাত হোসেন, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের এমএ মতিন, পিপলস পার্টির আবুল মনজুর, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মুহাম্মদ ওয়াহেদ মুরাদ ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. জান্নাতুল ইসলাম।

এছাড়া কাউন্সিলর পদে ২ শতাধিক প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রয়েছেন।  যখনই নির্বাচন হবে, এই প্রার্থীরাই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

যশোর-৬ ও বগুড়া-১ আসনে ভোট করার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে ইসি সচিব বলেন, এই দুটি আসনে ভোট করার মেয়াদ শেষ হবে যথাক্রমে ১৮ জুলাই ও ১৫ জুলাই।  সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণেই ১৪ জুলাই এ নির্বাচন করতে হচ্ছে।

ইসি সচিব আরও বলেন, করোনার মধ্যে ভোটগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় স্বাস্থ্যবিধি নিয়েও আমরা ভাবছি। এক্ষেত্রে কোনোভাবেই যাতে সংক্রমণ ভোটের কারণে না বাড়ে সেসব ব্যবস্থা নেওয়া হবে।তিনি বলেন, সংসদে আরও কয়েকটি উপ-নির্বাচন আছে।  যেগুলোর মেয়াদ শিগগিরই শেষ হবে।  তবে আমরা যশোর-৬ ও বগুড়া-১ আসনের ভোট পর্যবেক্ষণ করবো।  যদি দেখা যায়, এই দুই উপ-নির্বাচনে সংক্রমণ বাড়ে তাহলে অন্য উপ-নির্বাচনগুলো আর করবো না।  সেক্ষেত্রে আইনি ব্যাখ্যা অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।


ঢাকা/হাসিবুল/জেডআর

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়