ঢাকা     মঙ্গলবার   ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৩ ১৪৩১

শেখ হাসিনা মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় আইনের খসড়া অনুমোদন

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:২৬, ১৩ জুলাই ২০২০   আপডেট: ১০:৩৯, ২৫ আগস্ট ২০২০
শেখ হাসিনা মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় আইনের খসড়া অনুমোদন

শেখ হাসিনা মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় আইনের খসড়া অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা।

সোমবার (১৩ জুলাই) প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ খসড়া অনুমোদন করা হয়।

গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী এবং সচিবালয় থেকে মন্ত্রিসভার সদস্যরা অনলাইনের মাধ‌্যমে বৈঠকে অংশ নেন।

সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, খসড়া আইনটি রাজশাহী, চট্টগ্রাম ও সিলেট মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য প্রণীত আইনগুলোর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্রণয়ন করা হয়েছে। এ আইনে মোট ৫৫টি ধারা আছে। এ আইনের উদ্দেশ্য পূরণে বিধিমালা, প্রবিধানমালা ও সংবিধি প্রণয়ন করা যাবে।

আইনে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, এখতিয়ার এবং ক্ষমতার বিষয়ে বর্ণনা ছাড়াও পরিদর্শন ও আর্থিক বিষয়ে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) ভূমিকার কথা উল্লেখ রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রোভিসি, ট্রেজারার, রেজিস্ট্রার, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও অন্যান্য কর্মচারীদের নিয়োগ প্রক্রিয়া, ক্ষমতা ও দায়িত্ব বণ্টন করা আছে আইনে। আইনে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট, একাডেমিক কাউন্সিল, অনুষদ, বিভাগ, প্রয়োজনীয় কমিটি ও শৃঙ্খলা বোর্ড গঠন এবং তাদের ক্ষমতা ও দায়িত্বের বর্ণনাও আছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটে রাষ্ট্রপতি ও স্পিকারের মনোনীত প্রতিনিধিকে সদস্য হিসেবে অন্তুর্ভুক্ত করার বিধান রয়েছে। এছাড়া, বিভিন্ন অংশীজন ও পেশাজীবী সংগঠনের প্রতিনিধির সমন্বয়ে একটি ভারসাম্যপূর্ণ সিন্ডিকেট গঠনের বিধান রাখা হয়েছে। সিন্ডিকেটে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগের প্রতিনিধিদের সদস্য হিসেবে অন্তুর্ভুক্ত করা হয়েছে।

খুলনা বিভাগের আওতাধীন সব সরকারি ও বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ, ডেন্টাল কলেজ, নার্সিং কলেজ ও ইনস্টিটিউট এবং চিকিৎসা শিক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মেডিক্যাল প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

তিনি বলেন, খসড়া আইনের মাধ্যমে চিকিৎসা শাস্ত্রে উচ্চ শিক্ষা, গবেষণা, সেবার মান এবং সুযোগ-সুবিধার সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন ঘটবে। এ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে খুলনা বিভাগে উন্নত চিকিৎসাসেবা সম্প্রসারিত হবে।

দেশের চিকিৎসা ক্ষেত্রে উচ্চ শিক্ষা, গবেষণা, সেবার মানোন্নয়ন এবং সুযোগ-সুবিধা সম্প্রসারণে যুগোপযোগী পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। ২০১৮ সালের নির্বোচনী ইশতেহারে ‘সব বিভাগীয় শহরে মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হবে’ মর্মে সরকারের লক্ষ্য ও পরিকল্পনা গৃহীত হয়েছে। সরকারের চলমান কার্যক্রমের অংশ হিসেবে খুলনা জেলায় ‘শেখ হাসিনা মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়’ স্থাপনে প্রধানমন্ত্রী সম্মতি দিয়েছেন বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

চিকিৎসা শিক্ষায় উচ্চ শিক্ষিত বিশেষজ্ঞ ও গবেষক তৈরির লক্ষ্যে স্নাতকোত্তর পর্যায়ের চিকিৎসা শিক্ষা, গবেষণা এবং স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনায় মেডিক্যাল কলেজগুলোর শিক্ষার মান সংরক্ষণ ও উন্নয়নই প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মুখ্য উদ্দেশ্য।

মন্ত্রিসভার বৈঠকে গত জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত তিন মাসে মন্ত্রিসভায় গৃহিত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের প্রতিবেদন উত্থাপন ও অনুমোদন করা হয়।

 

 

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়