ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

রেলমন্ত্রীর বিয়ে : বর-কনের ফিরিস্তি

মহিউদ্দিন মোল্লা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:৪৭, ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
রেলমন্ত্রীর বিয়ে : বর-কনের ফিরিস্তি

রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক মুজিব

মহিউদ্দিন মোল্লা, কুমিল্লা : রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক মুজিবের হবু শ্বশুরবাড়ি কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার মীরাখোলা গ্রামে।

কনের চাচাতো ভাই ও ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. আবদুল মবিন মুন্সী জানান, কনে হনুফা আক্তার রিক্তা মীরাখোলা গ্রামের সম্ভ্রান্ত মুন্সীবাড়ির মেয়ে। বাবা মৃত আবদুল হামিদ উল্লাহ্ মুন্সী। দুই ভাই ও পাঁচ বোনের মধ্যে রিক্তা সবার ছোট। তিনি ২০০০ সালে এসএসসি ও ২০০২ সালে এইচএসসি পাস করেন। পরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেন। একই সঙ্গে তিনি এলএলবি সম্পন্ন করেন।

কনের বড় ভাই নাছির উদ্দিন মুন্সী দুবাই-প্রবাসী। ছোট ভাই আলাউদ্দিন মুন্সী সম্প্রতি মালদ্বীপ থেকে দেশে এসেছেন। বড় বোন শাহানারা আক্তার গৃহিণী, বিয়ে হয়েছে চান্দিনার গল্লাই মুন্সীবাড়িতে। তার স্বামী পুলিশে চাকরি করেন। মেজো বোন হাজেরা আক্তার গৃহিণী, বিয়ে হয়েছে একই গ্রাম মীরাখোলায়। তার স্বামী সম্ভ্রান্ত গৃহস্থ। সেজো বোন শিরিন আক্তার। বিয়ে হয়েছে বুড়িচং উপজেলার কাবিলা গ্রামের এক প্রবাসীর সঙ্গে। চতুর্থ বোন মুক্তা আক্তারের বিয়ে হয় পার্শ্ববর্তী নবাবপুর গ্রামের এক প্রবাসীর সঙ্গে।

কনের ভাই আলাউদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

স্থানীয় অপর একটি সূত্র জানায়, প্রায় তিন বছর আগে হনুফা আক্তার রিক্তা মীরাখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সাইফুল ইসলামের সঙ্গে চাকরির বিষয়ে সুপারিশের জন্য রেলমন্ত্রী (তৎকালীন হুইপ) মুজিবুল হকের কাছে যান। তখন থেকেই মুজিবুল হকের সঙ্গে রিক্তার পরিচয় হয়।

রেলমন্ত্রীর গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বশুয়ারা গ্রামে। ১৯৪৭ সালে ৩১ মে চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বশুয়ারার এক ধর্মপ্রাণ বংশে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। পিতা মৃত রজ্জব আলী একজন কৃষক ও পরহেজগার মানুষ ছিলেন। তার মা মৃত সোনাবান বিবিও ছিলেন ধর্মপ্রাণ। আট ভাই ও এক বোনের মধ্যে মুজিবুল হক সবার ছোট।

মুজিবুল হক কাশিনগর বিএম উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন ১৯৬৬ সালে। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে তিনি ১৯৬৮ সালে এইচএসসি এবং ১৯৭০ সালে বিকম পাস করে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে গড়া ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন।

ছাত্রজীবনেই ১৯৬৯ সালের গণ-অভ্যুত্থানে এবং ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে মুজিব বাহিনীর (বিএলএফ) সদস্য হিসেবে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। পরে তিনি যুবলীগের কুমিল্লা জেলা সভাপতি, কেন্দ্রীয় যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক ও প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেন। যুবলীগের রাজনীতির পর মুজিবুল হক দীর্ঘদিন কুমিল্লা জেলার আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক, প্রচার সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন দীর্ঘদিন। বর্তমানে তিনি যুগ্ম আহ্বায়ক।

রেলমন্ত্রীর বিয়ের সিদ্ধান্তের খবরে তার গ্রামের বাড়ি চৌদ্দগ্রামে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানা গেছে। এক পক্ষের বক্তব্য, বিয়ের পর পরিবার নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়লে তিনি এলাকার মানুষের কাছ থেকে দূরে সরে যাবেন। অন্য পক্ষের কথা, এলাকাবাসীকে সহযোগিতার জন্য একজন সদস্য বাড়ছে।

চৌদ্দগ্রাম উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রাশেদা আখতার বলেন, রেলমন্ত্রীর বিয়ের সিদ্ধান্তে দলীয় নেতা-কর্মীসহ সবার মাঝে খুশির আমেজ বিরাজ করছে। কারণ তাদের দেখভাল করার জন্য রেলমন্ত্রীর পরিবারে একজন নতুন সদস্য যোগ হচ্ছেন।

 

রাইজিংবিডি/কুমিল্লা/৩ আগস্ট ২০১৪/কমল কর্মকার

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়