ঢাকা     শুক্রবার   ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  আশ্বিন ১২ ১৪৩১

‘টিসিবি কার্ড দিয়ে সিন্ডিকেটের কারসাজি রোধ করেছেন প্রধানমন্ত্রী’ 

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:৫৮, ১০ জানুয়ারি ২০২৪  
‘টিসিবি কার্ড দিয়ে সিন্ডিকেটের কারসাজি রোধ করেছেন প্রধানমন্ত্রী’ 

নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে ১ কোটি মানুষকে টিসিবির ফ্যামিলি কার্ড দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিন্ডিকেটের কারসাজি রোধ করেছেন এবং নতুন সরকার গঠনের পর কারসাজির সঙ্গে জড়িতদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

বুধবার (১০ জানুয়ারি) নগরীর কাপ্তান বাজার এলাকায় ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সিন্ডিকেট মাথাচাড়া  দিয়ে ওঠে। কারসাজি করে কোনো সময় পেঁয়াজ, কখনো আলু, কখনো ডিমের মতো নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির মূল্য বৃদ্ধি করার চেষ্টা করে। শেখ হাসিনা টিসিবির মাধ্যমে এক কোটি মানুষকে ফ্যামিলি কার্ড দিয়ে ন্যায্যমূল্যে খাবার বিতরণ করে সিন্ডিকেটের এ কারসাজিকে প্রতিরোধ করে চলেছেন।

শেখ হাসিনা যতদিন আছেন ততদিন মুনাফাখোরেরা কারসাজি করে পার পাবে না উল্লেখ করে মেয়র বলেন, এক সময় টিসিবি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য সে সময় আকাশচুম্বী  হয়ে গিয়েছিল। শেখ হাসিনা সরকার গঠনের পর মানুষের দোরগোড়ায় যাতে করে দ্রব্যমূল্য সহনশীল পর্যায়ে থাকে সেজন্য একেকটি অভিনব পন্থা বের করেন। যখনই দেখা যায় ডিমের দাম বাড়ছে তখনই তিনি সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেন। কর মওকুফ  করে দেন। যাতে করে ডিম আমদানি করে নিয়ে আসা যায় এবং আবার ডিমের দাম কমে যায়। যখনই দেখা যায় চিনির দাম বেড়ে গেছে, তিনি তখনই ব্যবস্থা নিয়ে আবারও চিনির দাম কমানোর ব্যবস্থা নেন। মুনাফাখোর ব্যবসায়ীরা বিভিন্নভাবে এ সকল কারসাজি করে আসছে। কিন্তু শেখ হাসিনা যতদিন আছেন ততদিন তারা এসব করে পার পাবে না।

নতুন সরকার গঠন হওয়ার পর সিন্ডিকেটের কারসাজি রোধে আরও কঠোরতা দেখানো হবে জানিয়ে শেখ তাপস বলেন, এবার সরকার গঠন করার পরে আমরা এ ব্যাপারে আরও কঠোর হবো। যারা কারসাজি করে, তদন্ত করে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে এসে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। একমাত্র শেখ হাসিনাই এ সব সিন্ডিকেটের মাথা ভেঙে দিয়ে তাদের নির্মূল করতে পারবেন। যেমনি তিনি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছেন তেমনি এসব সিন্ডিকেটকে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসলে দ্রব্যমূল্যের দাম সকলের জন্য সহনশীল পর্যায়ে চলে আসবে।

৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী, করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান প্রমুখ।

আসাদ/এনএইচ


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়