রবিউল-ইমরানের পর খুলনাকে টানছেন ইমরুল
তানভীর হায়দার ও সরোওয়ার্দী শুভর ফিফটিতে ভর করে প্রথম ইনিংসে দুইশ ছাড়ায় রংপুর বিভাগের সংগ্রহ। জবাবে প্রথম ইনিংসে খুলনা বিভাগের শুরুটা ছিল দুর্দান্ত। উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান রবিউল ইসলাম রবি ও ইমরানউজ্জামানের ফিফটির পর খুলনাকে টানছেন ইমরুল কায়েস ও সৌম্য সরকার।
খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করে প্রথম ইনিংস শেষে আজ ২২৭ রানে অলআউট হয় রংপুর। জবাবে ব্যাট করতে নেমে তৃতীয় দিন শেষে খুলনার সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৯২। চতুর্থ দিনে মাঠে নামার আগে রংপুরের চেয়ে ৩৫ রানে পিছিয়ে খুলনা বিভাগ।
৫ উইকেটে ১৬৯ রান নিয়ে আজ তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করে রংপুর। ৪০ রান নিয়ে ব্যাট করতে নামা তানভীর হায়দার আজ ফিফটির দেখা পেয়েছেন। তার সঙ্গে ৩১ রান নিয়ে তৃতীয় দিনে ব্যাটিং শুরু করা সোহরাওয়ার্দী শুভও ফিফটি করে লড়াইয়ের আভাস দিয়েছিলেন। ১৬২ বলে ৫ চার ও ১ ছক্কায় দলীয় সর্বোচ্চ ৬৪ রানের ইনিংসটি খেলেন তানভীর হায়দার। এছাড়া ১৪১ বলে ৫০ রানের পর রুবেলের বলে আলামিন হোসেনের হাতে ধরা পড়েন সোহরাওয়ার্দী শুভ। তৃতীয় দিনে দল তাদের দিকে তাকিয়ে থাকলেও ফিফটির পর খুব বেশি যেতে পারেননি তারা। এই দুই তারকা সাজঘরে যাওয়ার পর রংপুরের হয়ে আর কেউ দাঁড়াতে পারেননি। ফলে ২২৭ রানে থামে দলীয় ইনিংস।
প্রথম ইনিংসে খুলনার হয়ে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট নেন আবদুর রাজ্জাক। এছাড়া আলামিন হোসেন ও রুবেল হোসেন পান দুটি করে উইকেট।
জবাবে ব্যাট রতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতেই ১৩৬ রান করে খুলনাকে পথ দেখান রবিউল ও ইমরানউজ্জামান। তানভীর হায়দারের বলে ব্যক্তিগত ৭১ রানে ইমরানউজ্জামান ফিরলে এ জুটি ভাঙে। সাজঘরে ফেরার আগে ১২৭ বলে ১১ চারে এ ইনিংসটি খেলেন তিনি।
এরপর দলীয় ১৭৬ রানে পৌঁছতেই ইমরানের পথ ধরেন আরেক ওপেনার রবিউল ইসলাম রবি। রবিউল হকের হাতে ধরা পড়ার আগে দিনের সেরা ইনিংসটি খেলে যান তিনিই। ১৬১ বলে ৮টি চারে ৭৬ রান করেন রবিউল ইসলাম। এরপর ওয়ানডাউনে নেমে ইমরুল কায়েস দলের হাল ধরলেও বেশিদূর যেতে পারেননি তুষার ইমরান। ব্যক্তিগত ২ রানে মাহমুদুলের শিকার হয়েছেন তুষার। তৃতীয় দিন শেষে ইমরুল ২৯ ও সৌম্য সরকার ৮ রানে অপরাজিত রয়েছেন।
ঢাকা/শামীম
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন