ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

মাহমুদউল্লাহ-শহিদুলের ফিফটি, রেজাউরের ৪ উইকেট

ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:০৮, ১৭ অক্টোবর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
মাহমুদউল্লাহ-শহিদুলের ফিফটি, রেজাউরের ৪ উইকেট

মাহমুদউল্লাহ সম্ভবত ‘৬৩’ সংখ্যার মায়ায় পড়েছেন!

জাতীয় লিগের প্রথম ম্যাচে হাত ঘুরিয়ে ৬ উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি ব্যাটিংয়ে এক ইনিংস সুযোগ পেয়ে করেছিলেন ৬৩ রান। আজ দ্বিতীয় ম্যাচেও ঠিক ৬৩ রানেই আউট হয়েছেন জাতীয় দলের অলরাউন্ডার।

ঢাকা মেট্রোর হয়ে ফিফটি করেছেন শহিদুল ইসলামও। তবে প্রথম ইনিংসে বড় সংগ্রহ পায়নি মেট্রো। দারুণ বোলিংয়ে তাদের আড়াইশর আগে গুটিয়ে দিয়েছেন রেজাউর রহমান।

ওয়ালটন ২১তম জাতীয় ক্রিকেট লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডে প্রথম দিন ঢাকা মেট্রো অলআউট হয়েছে ২৪৬ রানে। জবাবে সিলেটের শুরুটাও ভালো হয়নি। দিন শেষ করেছে ১ উইকেটে ৫ রান নিয়ে। এনামুল হক জুনিয়র ৪ ও জাকির হাসান শূন্য রানে অপরাজিত আছেন।

দ্বিতীয় স্তরের এই ম্যাচে বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার টস হেরে ব্যাট করতে নেমেছিল মেট্রো। প্রথম ঘণ্টা নিরাপদেই পার করেছিলেন দুই ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম ও রাকিন আহমেদ। পানি পানের বিরতির পর প্রথম ওভারেই রাকিনকে (১৭) ফিরিয়ে ৩৮ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন পেসার রেজাউর।

তিন নম্বরে নামা শামসুর রহমান ফিরেছেন মুখোমুখি দ্বিতীয় বলেই, স্পিনার এনামুলের বলে আবু জায়েদ রাহীকে ক্যাচ দিয়ে। রেজাউর নিজের পরের ওভারে ফেরান নাঈমকেও (২৩)। পরপর তিন ওভারে তিন ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে মেট্রোর সংগ্রহ তখন ৩ উইকেটে ৪৩!

লাঞ্চের আগে আর কোনো বিপদ হতে দেননি আল আমিন ও মাহমুদউল্লাহ। ১১ রানে পৌঁছে মাহমুদউল্লাহ প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৬ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন। বিরতির পর আল আমিনের (২০) বিদায়ে ভাঙে ৪৩ রানের চতুর্থ উইকেট জুটি।

প্রথম ম্যাচে ফিফটি করা জাবিদ হোসেন এবার থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি (১২)। টেকেননি আমিনুল ইসলাম বিপ্লব (৩)। মাহমুদউল্লাহ একপ্রান্ত আগলে রেখে তুলে নেন ফিফটি, ৯৩ বলে। রেজাউরের বলে উইকেটকিপারকে ক্যাচ দেওয়ার আগে ১০৮ বলে ৮ চারে ৬৩ রানের ইনিংসটি সাজান ডানহাতি ব্যাটসম্যান।

১৫১ রানে ৭ উইকেট হারানোর পর অষ্টম উইকেট জুটিতে শহিদুল ও আবু হায়দার রনি যোগ করেন ৪৭ রান। রনি ২৫ রানে ফিরলে ভাঙে জুটি। শেষ উইকেট জুটিতে মানিক খানকে সঙ্গে নিয়ে আরও ৩০ রান যোগ করার পথে শহিদুল তুলে নেন টানা দ্বিতীয় ফিফটি। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়ার আগে ৯২ বলে ৫ চার ও এক ছক্কায় ৫৪ রান করেন তিনি।

আগের ম্যাচে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেকে এক ইনিংস বোলিং করে ৩ উইকেট নিয়েছিলেন রেজাউর। তরুণ পেসার এবার ১৯ ওভারে ৭৫ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। এনামুল ও অলক কাপালি নেন ২টি করে উইকেট।

শেষ বিকেলে ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের তৃতীয় বলেই ইমতিয়াজ হোসেনকে হারায় সিলেট। আবু হায়দারের বলে এলবিডব্লিউ হন তিনি। এরপর ‘রিটায়ার্ড হার্ট’ হয়ে ফেরেন আরেক ওপেনার তৌফিক খান। বাকি সময়টা কাটিয়ে দেন জাকির ও এনামুল।


ঢাকা/পরাগ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়