ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে ১ উইকেটে জিতল খুলনা

ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:০৪, ৫ নভেম্বর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে ১ উইকেটে জিতল খুলনা

ওয়ালটন জাতীয় ক্রিকেট লিগের চতুর্থ রাউন্ডের পরতে পরতে বেশ নাটকীয়তা দেখিয়েছে খুলনা বিভাগ। আজ মঙ্গলবার দুপুরে চূড়ান্ত নাটকীয়তা শেষে ১ উইকেটে জয় পেয়েছে তারা।

সংক্ষিপ্ত স্কোর :

রংপুর বিভাগ : ২২৪/১০ ও ২২১/১০

খুলনা বিভাগ : ২৩৩/১০ ও ২০৩/৯

ফল : খুলনা ১ উইকেটে জয়ী

ম্যাচসেরা : মেহেদী হাসান

পয়েন্ট : খুলনা ৯.৫ ও রংপুর ১.৫।

হোম অব ক্রিকেট খ্যাত মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রংপুর বিভাগের বিপক্ষে চতুর্থ রাউন্ডের প্রথম দিনেই আব্দুর রাজ্জাক ছুঁলেন ৬০০ উইকেট শিকারের অনন্য মাইলফলক। রংপুর বিভাগকে তারা অলআউট করল ২২৪ রানে। এরপর ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় দিন সকালে ৮০ রান তুলতেই ৮ উইকেট হারিয়ে বসে খুলনা বিভাগ। সেখান থেকে দলের হাল ধরেন মেহেদী হাসান ও রুবেল হোসেন। তারা ‍দুজন ১৩৩ রানের জুটি গড়েন নবম উইকেটে। ২১৩ রানের মাথায় আউট হন মেহেদী হাসান। ১৫০ বল খেলে ১৫টি চার ও ১ ছক্কায় করেন ১১৯ রান। রুবেল হোসেন অপরাজিত থাকেন ৩৬ রানে। তাতে ২৩৩ রান সংগ্রহ করে ৯ রানে লিড নেয় খুলনা। রাজশাহীর রবিউল হক ৫টি উইকেট নেন।

এরপর আবার বল হাতে ভেল্কি দেখান আব্দুর রাজ্জাক। প্রথম ইনিংসে ৭ উইকেট নেওয়ার পর এই ইনিংসে নেন ৫ উইকেট। তার সঙ্গে ৩ উইকেট নেন মেহেদী হাসান। তাতে দ্বিতীয় ইনিংসে ২১১ রানেই গুটিয়ে যায় রংপুর বিভাগ। ব্যাট হাতে রংপুরের নাসির হোসেন সর্বোচ্চ ৭৬ রান করেন। আরিফুল হক করেন ৫৮ রান।

তাতে খুলনার সামনে জয়ের লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় ২০৩ রান। এই রান তাড়া করতে নেমে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৩০ রান তুলে তৃতীয় দিন শেষ করে খুলনা। ক্রিজে ছিলেন মেহেদী হাসান ৩০ রান নিয়ে ও জিয়াউর রহমান ৩০ রান নিয়ে। আজ মঙ্গলবার চতুর্থ দিনে তারা দুজনেই হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন। মেহেদী দলীয় ১৭৭ রানের মাথায় ৫৬ রানে আউট হন। আর জিয়াউর ১৮৪ রানের মাথায় ৫৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন। এরপর ১৮৭ রানে অষ্টম ও নবম উইকেট হারায় খুলনা। জয় থেকে তখনও তারা ১৬ রান দূরে। এক সময় জয়টা হাতের নাগালেই মনে হলেও সেটা দূরের বাতিঘর মনে হতে শুরু করে তখন।

হাতে সম্বল মাত্র ১ উইকেট। রান প্রয়োজন ১৬টি। ক্রিজে আছেন খুলনার ব্যাটিং লাইন-আপের লেজের একেবারে শেষ ভাগ- মঈনুল ইসলাম ও আব্দুল হালিম। বোলিংয়ে তাদের প্রতিপক্ষ সোহরাওয়ার্দী শুভর মতো অভিজ্ঞ বোলার। এ যেন অসম লড়াই। এখান থেকে খুলনা জিতবে সেটার পক্ষে বাজি ধরার লোক ছিল না বললেই চলে। শেষ পর্যন্ত কিনা তারাই জিতে গেল!

অসম্ভবের যে শেষ প্রান্ত সেখান থেকে মঈনুল ও হালিম প্রায় ৮ ওভার ব্যাট করে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। মঈনুল ৩২ বল খেলে ২ চারে ১৬ রানে অপরাজিত থাকেন। ২০ বল খেলে ২ রান করে তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন হালিম। তাতে খুলনা পায় রোমাঞ্চকর এক জয়। রংপুরের শুভ নেন ৬টি উইকেট। ২টি নেন মাহমুদুল হাসান।

এই জয়ের ফলে ৪ ম্যাচের ২টি জিতে ও ২টিতে ড্র করে ২৬.৪৬ পয়েন্ট নিয়ে প্রথম স্তরের শীর্ষে অবস্থান নিয়েছে খুলনা। অন্যদিকে রংপুর বিভাগ চার ম্যাচের ২টিতে হেরে ও ২টিতে ড্র করে মাত্র ৮.২২ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে অবস্থান করছে।

প্রথম ইনিংসে ১১৯ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৫৬ রান করে ম্যাচসেরা হন মেহেদী হাসান। পেছনে ফেলেন ১২ উইকেট শিকার করে ম্যাচসেরার দাবিদার হয়ে ওঠা আব্দুর রাজ্জাককে। অবশ্য এই ম্যাচে রাজ্জাক যা অর্জন করেছেন (একমাত্র বাংলাদেশি হিসেবে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৬০০ উইকেট), সেটার চেয়ে তো ম্যাচসেরার পুরস্কার বড় হতে পারে না।

 

ঢাকা/আমিনুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়