ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

বঙ্গবন্ধু আমাদের ঐতিহ্য ও ভবিষ্যৎ

মোনায়েম সরকার || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:৪৬, ১০ জানুয়ারি ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বঙ্গবন্ধু আমাদের ঐতিহ্য ও ভবিষ্যৎ

বঙ্গবন্ধুর নাম আমাদের স্মৃতি থেকে বিলোপ করার জন্য, আমাদের মন থেকে মুছে ফেলার জন্য এখনো এক গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। প্রতিক্রিয়াশীলদের এ চক্রান্ত যদি সফল হয়, তবে জাতি হিসেবে বাংলাদেশের জনগণ কোনোদিন মাথা তুলে দাঁড়াতে তো পারবেই না, এমন কি ইতিহাসের অঙ্গন থেকে তাদের নাম নিশানা হয়তো মুছে যাবে। এ কথা আমাদের আজ বিশেষভাবে বুঝতে হবে যে, বঙ্গবন্ধু আমাদের ঐতিহ্য শুধু নন, বঙ্গবন্ধু আমাদের ভবিষ্যৎও বটে।

বঙ্গবন্ধু আমাদের জাতির জীবনে কত বড় সম্পদ এ কথা দেশবাসীর কাছে পৌঁছে দেয়ার দায়িত্ব ছিল আমাদের বুদ্ধিজীবী শ্রেণির। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আমাদের দেশের বুদ্ধিজীবীদের বৃহত্তম অংশ সম্পূর্ণ বিপরীত কাজে নিয়োজিত রয়েছেন। বুদ্ধিজীবীরা আমাদের ঐতিহ্য সন্ধানে সর্বদাই নিমগ্ন থাকেন। কিন্তু আমাদের এত কাছের বঙ্গবন্ধু যে আমাদের এক মহান ও জ্বলন্ত ঐতিহ্য সেকথা তারা এখন পর্যন্ত অনুধাবন করতে পারেননি- এটা বড় দুঃখের বিষয়।

আমাদের দেশের প্রতিক্রিয়াশীল সুবিধাভোগী শ্রেণি ১৯৭১-এর পর থেকে প্রথমে বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে নানা প্রকার অপপ্রচার শুরু করেছিল। বঙ্গবন্ধু আজীবন এদেশের মানুষের কল্যাণের জন্য সংগ্রাম করে এসেছেন। বঙ্গবন্ধু যখন এ দেশের মানুষের স্বার্থ রক্ষার জন্য পাকিস্তানি শোষকদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন, তখন দেশি ও বিদেশি প্রতিক্রিয়াশীল চক্র মনে মনে ভেবেছে, বঙ্গবন্ধু বুঝি আর দশজন জাতীয়তাবাদী নেতার মতোই নিজের ব্যক্তিগত স্বার্থবুদ্ধি দ্বারা পরিচালিত হবেন। কিন্তু পাকিস্তানি শাসকদের শত অত্যাচারেও দেখা গেল বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের মানুষের কল্যাণ কামনা থেকে এতটুকুও সরে আসার পাত্র নন। বঙ্গবন্ধুর অবিচল দাবির ফলশ্রুতিতে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের জনগণের স্বায়ত্তশাসনের দাবি পর্যবসিত হলো আত্মনিয়ন্ত্রণের তথা স্বাধীনতার দাবিতে। ১৯৭১ সালে সুদীর্ঘ নয় মাসের রক্তাক্ত লড়াই ও বাংলাদেশের জনগণের অপূর্ব বীরত্বের মধ্য দিয়ে অর্জিত হল স্বাধীনতা। স্বাধীন বাংলাদেশের অবিসংবাদী নেতা রূপে উদিত হলেন বঙ্গবন্ধু।

বাংলাদেশের স্বল্প বিকশিত ধনিকশ্রেণি ও অন্যান্য সুবিধাভোগী শ্রেণি এতদিন ভেবেছিল যে, বঙ্গবন্ধু বুঝি তাদেরই লোক। ভেবেছিল স্বাধীন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুকে সামনে রেখে এদেশের জনগণকে লুণ্ঠন করে নিজেরা মুনাফার পাহাড় গড়ে তুলবেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে তারা ভুল বুঝেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর মনে আপামর জনগণের কল্যাণ কামনা ছাড়া আর কোনো চিন্তা কখনও স্থান পায়নি। এ কথা ঠিক যে ১৯৫০-এর দশকে অথবা ১৯৬০-এর দশকের মধ্যভাগ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু হয়তো এ ধারণা পোষণ করতেন যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রভৃতি পুঁজিবাদী শক্তির সহায়তায় বাংলাদেশকে পাকিস্তানি অধীনতার নাগপাশ থেকে মুক্ত করা যাবে। এ কারণে হয়তো তখনকার দিনের বামপন্থীরা বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে অনেক ভুল ধারণা পোষণ করতেন। কিন্তু বাস্তব ক্ষেত্রে দেখা গেল অনেক তথাকথিত বামপন্থী ও উগ্র বামপন্থী দল এবং ব্যক্তিই বরং বিপ্লবের নাম করে বাংলাদেশের জনগণের প্রচেষ্টা নস্যাৎ করার চেষ্টা করলেন। আর বঙ্গবন্ধুই বরং জনগণের কল্যাণ কামনা দ্বারা পরিচালিত হয়ে প্রগতির পথে এগিয়ে গেলেন।

বঙ্গবন্ধু যখন বুঝতে পারলেন, বাংলাদেশের প্রগতির পক্ষে পাশ্চাত্যের পুঁজিবাদী রাষ্ট্রগুলো এবং বাংলাদেশের ধনিকগোষ্ঠী কোনোভাবেই সহায়ক হবে না এবং পুঁজিবাদী পথে উন্নতির দিকে এগিয়ে যাওয়াও সম্ভব হবে না, তখনই তিনি গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্রের পথে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করলেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর এ পদক্ষেপে আমাদের দেশের ব্যাপকসংখ্যক সাংবাদিক-বুদ্ধিজীবী ও বামপন্থী দলগুলো খুশি হলেন না। কেন যে খুশি হলেন না তা নিশ্চিত করে বলা মুশকিল। এতে তাঁদের একচেটিয়া অধিকার ক্ষুণ্ন হলো কিনা কে জানে! কিন্তু বাস্তবে যা দেখা গেল তা হচ্ছে, কুড়ি বাইশ বছরের যে তরুণ ষাটের দশকে দু’একটা সমাজতন্ত্রের পুস্তিকা পাঠ করেছেন, তিনিও বললেন, বঙ্গবন্ধুর সমাজতন্ত্রটা আসলে সমাজতন্ত্র না। যে বয়স্ক বুদ্ধিজীবীরা পরিণত বয়সে বিলাতের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচ.ডি, বা অন্য কোনো ডিগ্রি আনার ফাঁকে ফাঁকে সেখানে সমাজতন্ত্রের নাম আবছাভাবে শুনেছেন, তারাও রায় দিলেন যে বঙ্গবন্ধুর সমাজতন্ত্র খাঁটি না, বঙ্গবন্ধু আসলে শোষকশ্রেণিরই প্রতিনিধি। আর যে সব মসিজীবী জীবনে কখনও সমাজতন্ত্রের ত্রিসীমানায় পা দেননি তাঁরাও কথায় কথায় সমাজতন্ত্রের বুলি কীর্তন করে বঙ্গবন্ধুর প্রগতিশীল পদক্ষেপগুলোর বিরোধিতা শুরু করলেন।

বঙ্গবন্ধুর মত একজন স্থিতপ্রজ্ঞ, অটল সংগ্রামী, জাতীয়তাবাদী জননেতা তাঁর সুদীর্ঘ সংগ্রামপূর্ণ রাজনৈতিক জীবনের বাস্তব অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে বুর্জোয়া জাতীয়তাবাদী অবস্থান থেকে অগ্রসর হয়ে গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্রকে গ্রহণ করেছেন এটা যে পৃথিবীর ইতিহাসে কত বড় একটা মহৎ ও বিস্ময়কর ঘটনা, সে কথা বোঝার মতো বামপন্থী বুদ্ধিজীবী এ দেশে একজনও পাওয়া গেল না, এটা আমাদের জাতীয় জীবনের এক চিরস্থায়ী কলঙ্ক। যে গুটিকয়েক বামপন্থী দল বা ব্যক্তি তখন বঙ্গবন্ধুর প্রতি সমর্থন জ্ঞাপন করেছিলেন, তাঁদের আখ্যায়িত করা হয়েছিল ‘বি টিম’ হিসাবে। এভাবে এদেশের সুবিধাভোগী শ্রেণি ও বিদেশি প্রতিক্রিয়াশীলরা এদেশের সাংবাদিক-বুদ্ধিজীবীদের সহযোগিতায় বঙ্গবন্ধুর প্রগতিশীল নীতি ও কর্মধারার বিরুদ্ধে এক প্রতিক্রিয়াশীল প্রতিরোধ গড়ে তুলল। যে শিক্ষিত বুদ্ধিজীবীদের কর্তব্য ছিল দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রগতিশীল নীতি ও পদক্ষেপসমূহকে জনগণের কাছে ব্যাখ্যা করে পৌঁছে দেয়া, তাঁরা ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ পর্যন্ত তার সম্পূর্ণ বিপরীত কাজটি করলেন। পাকিস্তান সরকার যখন সগর্বে পুঁজিবাদী লক্ষ্য অর্জনের সঙ্কল্প ঘোষণ করত, তখন যে-সকল বুদ্ধিজীবী নীরব ভূমিকা পালন করতেন বা বিশুদ্ধ বিমূর্ত, সংস্কৃতি চর্চায় নিমগ্ন থাকতেন, তাঁরাই আবার বঙ্গবন্ধুর আমলে, বঙ্গবন্ধু যখন গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্রের পদক্ষেপ গ্রহণ করলেন, তখন প্রতিবাদে মুখর হয়ে উঠলেন বললেন, বঙ্গবন্ধুর সমাজতন্ত্র আসলে সমাজতন্ত্র না, ইংরেজিতে ব্যঙ্গ করে বললেন তারা এটাকে সমাজতন্ত্র বলে চালাতে চায়- দে কল ইট সোশ্যালিজ্ম’।

১৯৭১-এর পর এদেশের ধনিক ও সুবিধাভোগী শ্রেণি বঙ্গবন্ধুকে বিনা বাধায় দেশ গঠনমূলক কাজ চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ তো দেয়ইনি বরং ধ্বংসাত্মক কাজ চালিয়ে, পাটের গুদামে আগুন লাগিয়ে, দেশি-বিদেশি প্রতিক্রিয়াশীলদের সহায়তায় কৃত্রিমভাবে দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি করে ও অন্যান্য নানাভাবে বঙ্গবন্ধুর গঠনমূলক কাজকে সহস্রগুণ কঠিন করে তুলেছে। একই সাথে প্রতিক্রিয়াশীলরা দেশিয় ও আন্তর্জাতিক বুদ্ধিজীবী ও মসিজীবীদের সহায়তায় বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ কাল্পনিক ও মিথ্যা অপপ্রচারে ধূম্রজাল সৃষ্টি করেছে। এই ধূম্রজাল সৃষ্টির উদ্দেশ্য হলো জনগণের মনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা যে বঙ্গবন্ধু তাঁর জনপ্রিয়তা হারিয়ে ফেলেছেন। এ কথা যে কত বড় মিথ্যা তা দেশবাসী তাঁদের অন্তর দিয়েই জানেন। কিন্তু যে মুষ্টিমেয় প্রতিক্রিয়াশীল ও চক্রান্তকারী ষড়যন্ত্রমূলকভাবে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করল, তারা এ বলে সাফাই গাইবার চেষ্টা করছে যে, বঙ্গবন্ধু তাঁর জনপ্রিয়তা হারিয়ে ফেলেছিলেন। বঙ্গবন্ধু চক্রান্তকারীদের হাতে নিহত হওয়ার পর বামপন্থী নামধারী এক শ্রেণির বুদ্ধিজীবী ও মসিজীবী নানা ধূয়া তুলে এ কথাই বলতে লাগলেন যে, বঙ্গবন্ধু জনপ্রিয়তা হারানোর কারণেই নিহত হয়েছিলেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের একদিন আগেও যে বঙ্গবন্ধু ছিলেন বাংলাদেশের সর্বকালের ইতিহাসে সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যক্তি, যে বঙ্গবন্ধু ছিলেন বাংলাদেশের সর্বকালের ইতিহাসে জনসাধারণের সবচেয়ে কাছের মানুষ, ঘরের মানুষ, গণমুখী মানুষ, গণতন্ত্রী মানুষ, সেই বঙ্গবন্ধু দেশি-বিদেশি চক্রান্তকারীদের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে নিহত হওয়ামাত্র রাতারাতি হয়ে পড়লেন জনগণের অপ্রিয় এমন অদ্ভুত, ভিত্তিহীন দাবি করার পরেও কোনো ব্যক্তি যে বুদ্ধিজীবী বলে পরিগণিত হওয়ার আশা রাখেন সেটা শুধু বাংলাদেশেই সম্ভব। বাংলাদেশ শুধু বৈষয়িক সম্পদের দিক দিয়েই দরিদ্র নয়, মানস সম্পদ ও জ্ঞানচর্চার দিক থেকেও দরিদ্র। এ সর্বাত্মক দারিদ্র্য দূর করার প্রচেষ্টা নিয়েছিলেন বলেই সম্ভবত বঙ্গবন্ধু কায়েমি স্বার্থবাদী সুবিধাভোগী শ্রেণি ও বুদ্ধিজীবীদের বিরাগভাজন হয়েছিলেন।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু নিহত হওয়ার পর দেশি-বিদেশি প্রতিক্রিয়াশীলরা অন্য এক দিক দিয়ে বিপদগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। যতই দিন যাচ্ছে ততই এ কথা স্পষ্ট হয়ে উঠছে যে, ১৯৭২ সালের যাত্রা শুরু করে মাত্র তিন বছরের মধ্যেই বঙ্গবন্ধু যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে একটা দৃঢ় অর্থনৈতিক ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত করার পথে অনেক দূর অগ্রসর হয়েছিলেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর প্রতিক্রিয়াশীলরা দেশকে ক্রমিক অবনতির পথে এগিয়ে নিয়ে গেছে। দেশপ্রেমিক জনগণ এখন জানতে চাইছে কী ছিল বঙ্গবন্ধুর মনে, কী ছিল তাঁর চিন্তাধারা, কী ছিল তাঁর কর্মনীতি ও কর্মপদ্ধতি। কারণ দেশপ্রেমিক জনগণ এখন বুঝতে পেরেছেন, বঙ্গবন্ধুই আমাদের একমাত্র দিশারী, বঙ্গবন্ধুকে অনুসরণ করেই আমরা সৎ হতে পারি, সচেতন হতে পারি, দক্ষ কর্মী হতে পারি, দেশপ্রেমিক হতে পারি, দেশকে গড়ে তুলতে পারি। এ কথা এখন স্পষ্ট হয়ে গেছে যে, বঙ্গবন্ধুই আমাদের ঐতিহ্য, বঙ্গবন্ধুই আমাদের ভবিষ্যৎ।

এ কারণে এখন প্রতিক্রিয়াশীলরা নতুন কর্মপন্থা অবলম্বন করেছে। তা হলো : নীরবতা দিয়ে, নৈঃশব্দ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুর নাম গণমানুষের স্মৃতি থেকে মুছে দেয়া। এ অপপ্রয়াসকে যেকোনো মূল্যেই হোক প্রতিরোধ করতে হবে। এ হীন ষড়যন্ত্রকে সর্বস্ব পণ করে হলেও ব্যাহত করতে হবে। বঙ্গবন্ধু আমাদের মঙ্গলের জন্যই, দেশের কল্যাণের জন্যই জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু প্রদর্শিত পথে অগ্রসর হয়ে যদি আমরা এ দেশে প্রকৃত গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে পারি, যদি এ দেশের নিপীড়িত জনগণের জন্য অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক মুক্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারি তবেই শুধু বঙ্গবন্ধুর আত্মদান সার্থক হবে। আর এ কার্যসাধনে বঙ্গবন্ধুর অমলিন স্মৃতিই হবে আমাদের পথপ্রদর্শক। মৃত্যুর পরেও তিনি দেশের মঙ্গলের জন্য, নিপীড়িত জনগণের জন্য কাজ করে চলেছেন আমাদেরই মাধ্যমে। আসলে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে আমরা কাজ করে চলেছি বলেই শুধু আমরা যথার্থভাবে এ কথা বলতে পারি যে, বঙ্গবন্ধু আমাদের মাধ্যমে কাজ করে চলেছেন। আজ যদি আমরা বঙ্গবন্ধুকে ভুলে যাই, তাঁর আদর্শ বিস্মৃত হই, তবে যে জাতি হিসেবে আমাদের ভবিষ্যৎ বিপন্ন হয়ে পড়বে শুধু তাই নয়, পৃথিবীর জন্যও তা এক মহা ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। কারণ বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের শোষিত ও নিপীড়িত জনগণের জন্য প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে যে সকল বাস্তব পদক্ষেপ নিয়েছিলেন তা পৃথিবীর মানুষের পক্ষে শিক্ষণীয় ও অনুকরণীয় বিষয়।

লেখক: প্রাবন্ধিক


ঢাকা/তারা/নাসিম

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়