ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

করোনা মোকাবিলায় সরকারের দায় ও করণীয়

মোস্তফা মোরশেদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৬:১২, ১৫ জুলাই ২০২০   আপডেট: ১০:৩৯, ২৫ আগস্ট ২০২০
করোনা মোকাবিলায় সরকারের দায় ও করণীয়

১৯৩০-এর মহামন্দার সময় একটি দেশের অর্থনীতিতে সরকারের ভূমিকা নিয়ে যে বিতর্ক শুরু হয়েছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর তা নতুন মাত্রা লাভ করে এবং হাল আমল পর্যন্ত সে বিতর্ক চলমান। একটি দেশের অর্থনীতিতে সরকারের ভূমিকা কী তা নিয়ে গবেষকদের আগ্রহ থাকলেও আজ পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যায়নি। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক ও মানবিক বিপর্যয়ের ক্রান্তিকালে সরকারের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করার প্রয়াসেই এই লেখা।

করোনায় আক্রান্ত হয়ে যে কোনো প্রাণ চলে যাবার জন্য সরকারকে দোষারোপ করা যেতেই পারে। কিন্তু বাস্তবতার নিরিখে একটি দেশ ও অর্থনীতিতে সরকারের অবস্থান বিবেচনা করে দায়বদ্ধতার জায়গা ঠিক করতে হবে। এখানে মোট বিবেচ্য বিষয় পাঁচটি। প্রথমত, অর্থনীতির মোট কতটুকু সরকারের নিয়ন্ত্রণে? আমরা জানি, জিডিপি পরিমাপে তিন ধরনের পদ্ধতির মধ্যে বহুল ব্যবহৃত ও অপেক্ষাকৃত সঠিক পদ্ধতি হলো ব্যয়ভিত্তিক পদ্ধতি (expenditure method)। এর চারটি উপাদান রয়েছে; ব্যক্তিপর্যায়ের ভোগ, ব্যক্তিপর্যায়ের বিনিয়োগ, সরকারের খরচ (রাজস্ব ও সরকারি বিনিয়োগ) এবং আমদানি-রপ্তানির পার্থক্য। সরকার মোট জিডিপির ২০ শতাংশের কম সম্পদের অংশীদার আর বাকিগুলোর ব্যবস্থাপনা করে। সার্বিকভাবে, একটি দেশের অর্থনীতিতে সরকার কতটুকু সক্রিয় হয়ে কাজ করতে পারে সেটি রীতিমত গবেষণার বিষয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বাজার ব্যবস্থার দাপটে বিশ্বব্যাপী সরকার ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ে। যদিও ২০০৮ সালের অর্থনৈতিক মন্দা পরবর্তী সময়ে সরকারের গুরুত্ব পুনরায় বিবেচনায় চলে আসে।

পরিসংখ্যান বলছে, স্বল্পোন্নত ও উন্নয়নশীল দেশের জন্য সরকারের খরচ মোট জিডিপি’র ১৫-২০ শতাংশ। উন্নত দেশ বিবেচনায় তা অনেক কম, দুই অংকের নিচে। বলা হয়ে থাকে, সরকারের আকার যত কম হয় সরকার তত দক্ষ ও কার্যকর হয়। তবে সরকারের আকারের সঠিক কোনো মানদণ্ড (standard) নেই। স্বল্পোন্নত ও উন্নয়নশীল দেশের অর্থনীতি বিবেচনায় শুধুমাত্র ১৫-২০ শতাংশের উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠা সরকারের খরচের উপর নির্ভর করে অর্থনীতির চাকা সচল করা সহজ নয়। ব্যক্তিখাতের সম্প্রসারণ ছাড়া সত্যিই কোনো গত্যান্তর নাই। কারণ যে কোনো পর্যায়ের অর্থনীতির জন্য ব্যক্তিখাতের ভোগের পরিমাণ মোট জিডিপির ৭০ শতাংশের কম হতে পারে না। ব্যক্তিখাতে ভোগের মাল্টিপ্লায়ার প্রভাবের উপস্থিতির ফলেই অর্থনীতি সামনে এগিয়ে যায়, যার মূলে রয়েছে প্রান্তিক ভোগ প্রবণতা (Marginal Propensity to Consume, বা এমপিসি)। এমপিসির মান (শূন্যের চেয়ে বেশি কিন্তু একের চেয়ে কম) যত বেশি হবে অর্থনীতির মাল্টিপ্লায়ার প্রভাব তত বেশি হবে। ফলে সামগ্রিক চাহিদা বাড়বে এবং একইসঙ্গে উৎপাদন ও কর্মসংস্থান বাড়বে। কোভিড-১৯ এর এই সময়ে নির্দিষ্ট কিছু খাত ছাড়া ব্যক্তিপর্যায়ের ভোগ বেড়ে যাবার সম্ভাবনা নেই। মানুষের খাদ্যাভ্যাস, জীবনধারণ প্রণালী, সামাজিক রীতিনীতি ও আচার-অনুষ্ঠানের ব্যাপক পরিবর্তনের ফলে কিছু ব্যতিক্রম বাদ দিলে সার্বিক ভোগ ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন এসেছে। ধারণা করা হচ্ছে, এ প্রভাব আগামী দিনেও অব্যাহত থাকবে। উদাহরণস্বরূপ, মানুষের জীবন ধারণের আবশ্যিক চাহিদা থাকায় কৃষি ও কৃষিসম্পর্কিত উৎপাদন অব্যাহত আছে। কিন্তু শিল্পের সঙ্গে জড়িত কাঁচামালের উৎপাদন প্রক্রিয়া প্রায় স্থবির। করোনাভাইরাস সংক্রমণের এ সময়ে বাস্তবিক অর্থে অর্থনীতিতে সরকারের ভূমিকা কম হবার কারণে সরকারকে দায়ী করার সুযোগ কম।

দ্বিতীয়ত, বলতে দ্বিধা নেই; সরকারের চেয়ে আপনার গরিব প্রতিবেশীর খবর আপনিই বেশি জানেন। তাই সরকারের দায়িত্বশীল আচরণের চেয়ে আমার-আপনার মানবিক আচরণ এ সময়ে অধিক গুরুত্ব বহন করে। যে মানুষটি আত্মমর্যাদা কিংবা আত্মসম্মানের কারণে কারও কাছে হাত পাততে শিখেননি তার পাশে দাঁড়ানোর নৈতিক শিক্ষা আমাদের খুবই প্রয়োজন। যদিও এ সব শিক্ষায় আমাদের দীর্ঘমেয়াদে কোনো বিনিয়োগ নেই!

তৃতীয়ত, উন্নয়নের সাথে মানুষের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির গভীর সম্পর্ক রয়েছে। একটি উদাহরণ দেই। সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী নির্দিষ্ট প্রকারের কিছু দোকান ছাড়া সব চারটায় বন্ধ হবার কথা। চারটা মানে কিন্তু সাড়ে চারটা নয়। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, দোকানিরা চারটায় দোকান বন্ধ করার প্রক্রিয়া শুরু করছেন এবং সাড়ে চারটা কিংবা পাঁচটায় বন্ধ করছেন। কিন্তু বন্ধ করার এ প্রক্রিয়া অন্তত সাড়ে তিনটায় শুরু করা প্রয়োজন ছিল। যারা এ বিষয়গুলো মনিটর করছেন তারাও স্বাভাবিক বলেই ধরে নিয়েছেন। এটি আমাদের সংস্কৃতি, এতে কাউকে দোষ দেবার সুযোগ কি আছে? কেউই বিষয়টিকে অস্বাভাবিক হিসেবে দেখছেন না। চারটা মানে যে সাড়ে চারটা নয়- এ ধারণা পরিবর্তন হতে অন্তত দু-প্রজন্ম লাগবে।

চতুর্থত, বর্তমান সমাজ ব্যবস্থায় একা একা এগিয়ে চলার মানসিকতা রয়েছে। বিগত সময়ে আমাদের আয় ও আয়-বহির্ভূত বৈষম্য বাড়ার যে অপ্রত্যাশিত প্রবণতা রয়েছে তা কোনভাবেই আমাদের উন্নয়নকে গতিশীল করতে পারে না, করবে না। একা একা অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবার বিষয়টি কোনো বিবেচনাতেই গ্রহণযোগ্য নয়। মার্ক্সিয়ান ধারণায় দেখা যায়, পুঁজিবাদকে টিকিয়ে রাখতে হলেও সমাজের অন্যান্য স্বল্প আয়ের মানুষের পকেটে টাকা পৌঁছাতে হয় যাতে পুঁজিবাদী শ্রেণির উৎপাদিত পণ্য বিক্রি হয়। নিজে অধিক লাভবান হবার নীতির কারণে ত্রাণ ব্যবস্থাপনায়ও জটিলতা দেখা যায়। যারা পেয়েছেন তারা আরও অধিক চান। আর এ সব অব্যবস্থাপনা দূর করে দুর্নীতি প্রতিরোধ করতে একটি সমাজে সরকারের ভূমিকা অপরিসীম হলেও সমাজের অন্যান্য প্রতিষ্ঠান সমান গুরুত্ব বহন করে। অর্থনৈতিক ও সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় সরকারের কার্যকর উপস্থিতি অনস্বীকার্য। মার্কিন রাষ্ট্রনায়ক ও দার্শনিক James Madison, “If Men were angels, no government would be necessary”। তবু এ ধরনের বিপর্যয়ে রাষ্ট্র যন্ত্রের পাশাপাশি সমাজের সকল প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসতে হবে।

পঞ্চমত, মন্দা উত্তরণের কার্যকর কৌশল হিসেবে দুটি প্রথা বা রীতি রয়েছে। এক: সরকারি ব্যয় বাড়িয়ে সবাইকে রক্ষা করে অর্থনীতি পুনরুদ্ধার। এখানে অনেক ক্ষেত্রেই যাদের আয় ও বিনিয়োগ বেশি তাদের ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণের জন্য আর্থিক, প্রশাসনিক বা কৌশলগত সাহায্য করা হয়। অর্থনীতির ভাষায় এ কৌশলকে রাজস্ব উদ্দীপক (fiscal stimulus) বলে। দুই: সরকারের ব্যয় কমিয়ে মিতব্যয়িতার মাধ্যমে অর্থনীতির পুনর্বহাল; যাকে austerity বলা হয়ে থাকে। এ দুটির মধ্যে কোনটি অপেক্ষাকৃত বেশি কার্যকর তা এখনো অমীমাংসিত। ইতিহাস সাক্ষী দেয়, বারবারই রাজস্ব উদ্দীপক বা সম্প্রসারণমূলক রাজস্ব নীতির ধারণা ত্রাতা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। তবে এ ধারণা বাস্তবায়ন করতে দুর্নীতির বিষয় মাথায় নিয়ে সরকারি ব্যয়ের বিষয়টি গভীরভাবে বিবেচনার অবকাশ রাখে। সরকারের ব্যয় কমিয়ে বিপদ মোকাবেলা করতে হলে রাষ্ট্র ও সরকার ব্যবস্থাপনায় অনেক শক্ত ভিত্তির প্রয়োজন হয় যা পৃথিবীর অনেক দেশের জন্য অসম্ভব। এমনকি উচ্চ আয়ের দেশেও ব্যয় কমিয়ে মন্দা উত্তরণের কৌশল বাস্তবায়ন কঠিন হয়ে যায়। শুধু কর্মসংস্থানের বিষয়টি বিবেচনা করেই রাজস্ব উদ্দীপক ধারণাকে যৌক্তিক মনে করা হয় এবং একই সাথে সরকারের ব্যয় কমিয়ে মন্দা মোকাবেলার বিষয়টি অগ্রাহ্য করা হয়।

বাজার ব্যবস্থা ভেঙে (market failure) পড়ার পর শুধু কর্মসংস্থান টিকিয়ে রাখার জন্য সরকারকে বিভিন্ন ব্যবসা, আর্থিক ও উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকে প্রণোদনা দিতে হয়। ২০০৮ এর গ্লোবাল ফাইনান্সিয়াল ক্রাইসিসের পর বা অন্যান্য মন্দা পরবর্তী ইতিহাসে এরকম অসংখ্য নজির রয়েছে। মন্দার কারণে যদি সরকারের দিকে হাত পাততে হয় তাহলে আগেই কেন সরকারের কোষাগারে টাকা জমা দিবেন না? প্রশ্ন হচ্ছে যদি রাজস্ব উদ্দীপকের মাধ্যমে সরকারকে সমাধান করতে হয় তাহলে সুদিনে ট্যাক্স দিতে এত সমস্যা কেন? খুব স্পষ্ট করে বললে, কেন ট্যাক্স না দেবার বা এড়িয়ে যাবার প্রবণতা থাকবে? বাজার ব্যবস্থার ব্যর্থতার কারণে যদি সরকারকেই দায়িত্ব নিতে হয় তবে সরকারকে বাজার ব্যবস্থার সুসময়ে অধিক হস্থক্ষেপ করার সুযোগ করে দেয়া হবে না? সরকার কেন বাজার ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার আগেই দায়িত্ব নেবে না?

একথা অনস্বীকার্য, শুধু সরকারের উপর সওয়ার হয়ে বিপর্যয় জয় করার যে মানসিকতা তা থেকে বের হয়ে এসে রাজস্ব উদ্দীপক ও সরকারি ব্যয়ের মিতব্যয়িতার মাঝে একটি দীর্ঘমেয়াদী ভারমাস্য অনেক বেশি ফলপ্রসূ হবে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে সম্প্রসারণমূলক রাজস্ব নীতির উপর নির্ভর করে রাজস্ব উদ্দীপক ধারণায় মন্দা মোকাবিলার বিকল্প নেই। এর দুটি কারণ রয়েছে। এক: এখনও রাজস্ব নীতির উপর ভিত্তি করেই দেশের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পোঁছানোর অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। দুই: রাজস্ব ব্যবস্থার মাধ্যমে উন্নয়নকে এগিয়ে নেবার অনেক সুযোগ আমাদের রয়েছে যাকে অর্থনীতির ভাষায় fiscal space বলে। কারণ, এখনও অনেক রাস্তা মেরামত করা দরকার, অনেক মানুষকে মেডিক্যাল সুবিধা দেওয়া যেতে পারে, স্যানিটেশন নিয়ে কাজ করা যায়, মানুষের দক্ষতা বাড়ানো জন্য বিনিয়োগ করা যেতে পারে ইত্যাদি। ফলে রাজস্ব উদ্দীপক ধারণা অনুযায়ী সরকারের ব্যয় বাড়িয়ে কর্মসংস্থান সৃজন করে কোভিড-১৯ পরবর্তী সম্ভাব্য মন্দা মোকাবিলা করা যেতে পারে যা ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটের অন্যতম কৌশল হিসেবেও প্রাধান্য পেয়েছে।

এত চ্যালেঞ্জের মাঝে সরকারের করণীয় কী? বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা বিবেচনায় কয়েকটি সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব করতে চাই। প্রথমত, নৈতিক শিক্ষা ও ইতিবাচক মানবিক মূল্যবোধ বিনির্মাণে অনেক বেশি বিনিয়োগ করতে হবে যাতে আমরা মানুষের পাশে দাঁড়ানোর মতো শক্তি অর্জন করতে পারে। পুঁজিবাদী সমাজ ব্যবস্থার অনিবার্য উপস্থিতির কারণে মানুষের মানবিক মূল্যবোধের পরিপূর্ণ বিকাশে দীর্ঘমেয়াদে লাভবান হতে এ খাতে বিনিয়োগের বিকল্প নেই। দ্বিতীয়ত, সেবা বিকেন্দ্রীকরণ নিয়ে ভাবতে হবে। ২০১৮ সালে ঘোষিত বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারে শহরের সেবাসমূহ গ্রামের মানুষের কাছে পৌঁছে দেবার যে প্রত্যয় বর্ণনা করা হয়েছে তা সেবা বিকেন্দ্রীকরণই বহিঃপ্রকাশ। কোভিড-১৯ থেকে প্রাপ্ত এ শিক্ষা সরকার ঘোষিত “আমার গ্রাম, আমার শহরঃ প্রতিটি গ্রামে আধুনিক নগর সুবিধা সম্প্রসারণ” ধারণাকে প্রস্তাব ও প্রতিষ্ঠা করে। তৃতীয়ত, ত্রাণ বিতরণে একটি অগ্রাধিকার তালিকা প্রয়োজন। ৫ কেজি চাল বিতরণের সক্ষমতা থাকলে তা উপযুক্তভাবে অভাবগ্রস্থদের মাঝে বিতরণ করতে হবে। আর তা নিশ্চিত করার জন্য একটি পরিপূর্ণ ডেটাবেজ দরকার হবে। চতুর্থত, ত্রাণ ব্যবস্থাপনা ও কর আদায়ে দেশের প্রত্যেক নাগরিকের জন্য ‘একক হিসাব (single account)’ আবশ্যক। এতে আর্থিক অব্যবস্থাপনা দূর করে সম্পদ গ্রহণ ও স্থানান্তরের প্রক্রিয়ায় অধিক স্বচ্ছতা আনা সম্ভব হবে।

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বলা যায়, কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হবার প্রথম থেকেই সরকার অনেক আন্তরিক ছিল। দেশের প্রায় সকল পেশাজীবী ও সব ধরনের আয়ের মানুষের জন্য বিভিন্ন সাহায্য কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে এবং অনেক কর্মসূচি ও প্রণোদনা চলমান রয়েছে যা ভবিষ্যতেও অব্যাহত রাখতে সরকার বদ্ধ পরিকর।

লেখক: উন্নয়ন অর্থনীতি গবেষক

 

 

ঢাকা/তারা

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়