ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

মনিরামপুরে বিএনপির ২ হাজার নেতা-কর্মীর পদত্যাগ

বিএম ফারুক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৭:১৪, ১০ ডিসেম্বর ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
মনিরামপুরে বিএনপির ২ হাজার নেতা-কর্মীর পদত্যাগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর : জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের (একাংশ) সভাপতি মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাসকে একাদশ সংসদ নির্বাচনে যশোর-৫ মনিরামপুর আসনে ২০ দলীয় জোটের প্রার্থী করায় স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীরা ফুঁসে উঠেছে।

মুফতি ওয়াক্কাসকে প্রার্থী করার প্রতিবাদে বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের উপজেলা, পৌর ও ইউনিয়নগুলোতে নেতা-কর্মীদের মধ্যে পদত্যাগের হিড়িক পড়েছে।

রোববার প্রায় দুই হাজার নেতা-কর্মী উপজেলা বিএনপির সভাপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পৌর বিএনপির সভাপতি খাইরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল হাই।

উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এস এম মশিউর রহমান জানান, বিগত নবম ও দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২০ দলীয় জোট থেকে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাসকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। যদিও মনিরামপুরে মুফতি ওয়াক্কাসের দলের তেমন প্রভাব নেই। তারপরও প্রেক্ষাপট হিসেবে ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত একাট্টা হয়ে তাকে নিয়ে নির্বাচনী বৈতরণী পার করে বিজয়ী হন। তবে স্থানীয় জোটের সাথে তার সম্পর্ক অত্যন্ত শীতল হওয়া এবং প্রেক্ষাপট হিসেবে ২০০৮ সালে তিনি ২০ দলীয় জোটের প্রার্থী হলেও শেষ পর্যন্ত পরাজিত হন।

অভিযোগ রয়েছে, ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর মুফতি ওয়াক্কাস মনিরামপুরে ২০ দলীয় জোটের সাথে তেমন কোনো সম্পর্ক রাখেননি। এ ছাড়া, বিগত ১০ বছরে বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীদের কোনো খোঁজখবর নেননি মুফতি ওয়াক্কাস। তার ওপর মুফতি ওয়াক্কাসের নামে থানায় নাশকতার চারটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকায় তিনি বর্তমান আত্মগোপনে রয়েছেন।

২০ দলীয় জোটের পক্ষ থেকে জনপ্রিয় নেতা অ্যাডভোকেট শহীদ ইকবাল হোসেনের পরিবর্তে এবারও মুফতি ওয়াক্কাসকে প্রার্থী করায় বিএনপির নেতা-কর্মীরা ফুঁসে উঠেছেন। রোববার উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট শহীদ ইকবাল হোসেনের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন পৌর বিএনপির সভাপতি খাইরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আবদুল হাই, উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আখতার হোসেন খান, আলাউদ্দিন আলা, সাধারণ সম্পাদক এস এম মশিউর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মকবুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, উপজেলা যুবদলের সভাপতি আসাদুজ্জামান মিন্টু, সাধারণ সম্পাদক নিস্তার ফারুক, উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি মোতাহারুল ইসলাম রিয়াদ, সাধারণ সম্পাদক নবিরুজ্জামান আজাদ, পৌর ছাত্রদলের সভাপতি মুক্তার হোসেন, এ কে আজাদ, কলেজ শাখার সভাপতি মহিবুল আলম মামুন, সাধারণ সম্পাদক ইমরান নাজিরসহ প্রায় ২ হাজার নেতা-কর্মী।

পদত্যাগপত্র গ্রহণের সত্যতা স্বীকার করে শহীদ ইকবাল হোসেন জানান, গণবিচ্ছিন্ন প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়ায় বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীদের মধ্যে পদত্যাগের হিড়িক পড়েছে।

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু জানান, পদত্যাগের বিষয়টি তিনি শুনেছেন, তবে এখনো পদত্যাগপত্র হাতে পাননি।




রাইজিংবিডি/যশোর/১০ ডিসেম্বর ২০১৮/বি এম ফারুক/সাইফুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়