ঢাকা     বুধবার   ১৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৪ ১৪৩১

খালেদা জিয়ার অসুস্থতা আশঙ্কাজনক : বিএনপি

এসকে রেজা পারভেজ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:২৬, ২২ মে ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
খালেদা জিয়ার অসুস্থতা আশঙ্কাজনক : বিএনপি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অসুস্থতা আশঙ্কাজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে বলে দাবি করেছেন দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

বুধবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘এক বছরের বেশি সময় ধরে নাজিমউদ্দিন রোডের স্যাঁতসেঁতে পরিত্যক্ত বসবাসের অযোগ্য ছায়ান্ধকার প্রকোষ্ঠে বেগম জিয়াকে রাখা হয়েছে শুধু মানসিক ও শারীরিকভাবে কষ্ট দেওয়ার জন্য। নির্জন কক্ষে একাকি তাকে থাকতে হয়। কারা নির্যাতনের কারণে তিনি চরম অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।’

‘এখন নতুন করে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে হাসপাতাল থেকে কেরানীগঞ্জের কারাগারে নিয়ে যাওয়ার যাবতীয় আয়োজন চালানো হচ্ছে চক্রান্তমূলকভাবে। কেরানীগঞ্জের মতো একটা উপজেলায় দেশনেত্রীর নামে দায়ের করা মিথ্যা মামলাগুলো পরিচালনার জন্য আদালত স্থাপন করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ সংবিধান পরিপন্থী,’ বলেন রুহুল কবির রিজভী।

বিএনপির এই নেতার দাবি, সংবিধানে একজন নাগরিককে যে মৌলিক অধিকার দেওয়া হয়েছে বেগম জিয়ার সেই অধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে। সংবিধানের ৩৫ অনুচ্ছেদে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা আছে, যেকোনো বিচার হতে হবে উন্মুক্তভাবে। কারাগারের একটি কক্ষে বিচার হতে পারে না। কেরানীগঞ্জ উপজেলায় কারাগারের মধ্যে আদালত নিয়ে যাওয়া সংবিধানবিরোধী। ফৌজদারি কার্যবিধিতে (সিআরপিসি) স্পষ্টভাবে বলা আছে যে, কোথায় কোথায় আদালত স্থানান্তরিত হতে পারে। তাতে উল্লেখ নাই, কারাগারে কোর্ট স্থাপিত হতে পারে। সেজন্য সরকারকে বলব, দ্রুত এইসব হঠকারী ও হিংসাত্মক সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করুন। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে এই মুহূর্তে মুক্তি দিন।’

শ্রমিক তার শ্রমের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে না, উল্লেখ করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ধান-আলু-পেঁয়াজ-রসুন-টমেটো উৎপাদন করছেন। কিন্তু ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না। ন্যায্যমূল্য দেওয়ার কোনো পরিকল্পনাই এই অবৈধ সরকারের নীতিতে নেই। ধান কিনে ভর্তুকি দেওয়ার যে হিসাব সরকার করেছে, তা কৃষকের জন্যে নয়। ধান কেনার ভর্তুকির টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে মিল মালিকদের জন্যে। মিল মালিকরা ফড়িয়াদের দিয়ে কৃষকের কাছ থেকে ৪০০ বা ৫০০ টাকা মণ দরে ধান কেনে, সরকারি বিক্রয়কেন্দ্রে এনে তা ১ হাজার ৪০ টাকা দরে বিক্রি করছে। ফড়িয়া এবং মিল মালিকরা সরকারি দলের লোক। সুতরাং রাষ্ট্রের ভর্তুকির টাকা কৃষকের নামে খরচ হলেও পাচ্ছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।’

তিনি বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের মহাদুর্নীতি, এর আগে বড় পুকুরিয়া থেকে লাখ লাখ টন কয়লা উধাও, ‘বালিশ-কেটলি’ দুর্নীতিসহ নানা সেক্টরের দুর্নীতির সাগরচুরি এখন মহাসাগরচুরিতে পরিণত হয়েছে। এতে জনমনে আলোড়ন সৃষ্টি হলেও দুদক চোখ-কান বন্ধ করে বোবা-কালার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। র‌্যাব-পুলিশের মতো দুদকও বিরোধী দল দমনে সরকারের একটি মারণাস্ত্র হিসেবে কাজ করছে।





রাইজিংবিডি/ঢাকা/২২ মে ২০১৯/রেজা/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়