ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি দেবেন ছাত্রলীগের পদবঞ্চিতরা

আবু বকর ইয়ামিন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:১৯, ১৮ জুন ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি দেবেন ছাত্রলীগের পদবঞ্চিতরা

নিজস্ব প্রতিবেদক: ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত ও কাঙ্খিত পদ না পাওয়া নেতারা দাবি আদায়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর স্মারকলিপি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সংবাদ সম্মেলন করে তারা এ কথা জানান। গত ২৬ মে থেকে টানা ২৩ দিন ধরে সেখানে অবস্থান করছেন আন্দোলনকারীরা।

সংবাদ সম্মেলনে তারা জানান, কমিটি থেকে বিতর্কিতদের বাদ দেওয়া ও যোগ্যদের পদ দেওয়াসহ চার দফা দাবিতে এ স্মারকলিপি দেবেন ছাত্রলীগের বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা। আন্দোলনকারীরা ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের দপ্তর সেলে ওই স্মারকলিপি দেবেন বলে জানিয়েছেন।

লিখিত বক্তব্যে ছাত্রলীগের সাবেক কর্মসূচি ও পরিকল্পনাবিষয়ক সম্পাদক রাকিব হোসেন বলেন, ‘যারা সক্রিয়ভাবে ছাত্রলীগের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তাদের বড় অংশকে বাদ দেওয়া হয়েছে, সঠিক মূল্যায়ন করা হয়নি। যাদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে তাদের কমিটিতে পদায়ন করা হয়েছে। পদ পাওয়া নেতাকর্মীদের একটি পরিচয় আছে, সেটি হলো তারা সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের নিজস্ব লোক। এত বড় অনিয়ম ও গঠনতন্ত্র লঙ্ঘনের নজির শুধু ছাত্রলীগের ইতিহাসে নয়, পৃথিবীর ইতিহাসেও নেই।

আরো বলা হয়, ছাত্রলীগের কমিটি হওয়ার পর পদবঞ্চিত বিক্ষুব্ধ কর্মীরা প্রতিবাদে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল করেছিলেন। কিন্তু সেই মিছিলে হামলা চালানো হয়। হামলার প্রতিবাদে মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন করতে গেলে সেখানেও দেশিয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে কয়েকজনকে আহত করা হয়। ওই ঘটনায় ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক প্রহসনমূলক, হাস্যকর ও একপাক্ষিক তদন্ত কমিটি করেন। পরে টিএসসিতে লিখিত অভিযোগ দিতে গেলে আমাদের ওপর ফের হামলা হয়।

আন্দোলনকারীদের দাবি, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের মাধ্যমে ছাত্রলীগের কমিটি থেকে বিতর্কিতদের বাদ দেওয়ায় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর কাছে এই আন্দোলনের যৌক্তিকতা প্রমাণ করা হয়েছে। কিন্তু যেসব বিতর্কিত নেতার নাম প্রকাশ করা হয়েছিল, তাঁদের বাদ না দিয়ে উল্টো পৃষ্ঠপোষকতা করছেন। এটিকে 'অপরাজনীতি' হিসেবেও অভিহিত করেছেন তারা।

সংবাদ সম্মেলন থেকে চার দফা দাবি জানানো হয়। দাবিগুলো হলো- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ, ছাত্রলীগের কমিটির যে ১৯ জন বিতর্কিত নেতার পদ শূন্য ঘোষণা করা হয়েছে তাঁদের নাম ও পদের নাম প্রকাশ, কমিটিতে যত বিতর্কিত রয়েছে, সবার পদ শূন্য ঘোষণা, শূন্য হওয়া পদগুলোতে পদবঞ্চিতদের মধ্য থেকে যোগ্যতার ভিত্তিতে পদায়ন এবং মধুর ক্যান্টিন ও টিএসসিতে আমাদের ওপর হামলার সুষ্ঠু বিচার।

এসময় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য তানভীর হাসান সৈকত, সাবেক কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক সাঈফ বাবু, কবি জসীম উদদীন হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহেদ খান উপস্থিত ছিলেন।

ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি থেকে বিতর্কিতদের বাদ দিয়ে কমিটি পুনর্গঠন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন পদ বঞ্চিতরা। ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ ৩০১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি থেকে বিতর্কিতদের বাদ না দেওয়া পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য চত্ত্বরে অবস্থান করবেন তারা।

অবশ্য ঘোষিত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি থেকে ১৯ জন ‘বিতর্কিত’ নেতাকে বাদ দেয়া হয়েছে। তবে বিজ্ঞপ্তিতে কমিটি থেকে বাদ পড়া ১৯ জনের নাম প্রকাশ করা হয়নি। নাম প্রকাশ না করার বিষয়টিকে ছাত্রলীগের পদ বঞ্চিত ও প্রত্যাশিত পদ না পাওয়া অংশের নেতা কর্মীরা ‘প্রহসন’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।




রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৮ জুন ২০১৯/ইয়ামিন/শাহনেওয়াজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়