‘এরিকের জন্য জীবন দিতে হলে দেব’
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : ‘এরিকের বাবা আর নেই, শুনে দেশে ছুটে এসেছি। এক নজর দেখতে পারছি না। আর বাবাকে হারিয়ে আমার মানিক এরিক কাল থেকেই প্রেসিডেন্ট পার্কের বাসায় অঝোরে কাঁদছে। বাবা নেই, কেঁদে কেঁদে মাকেই খুঁজছে বারবার। আর আমি দেশে এসেও তাকে একনজর দেখতে যেতে পারছি না। কাছেও যেতে পারছি না।’
সোমবার দুপুরে এরিকের মা বিদিশা এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘এরিকের সঙ্গে কথা বলতেও দেওয়া হচ্ছে না। মা হিসেবে আমি কি আমার ছেলেকে দেখতে পাব না? এরিকের বাবাকে দেখব না? প্রতিবন্ধী ছেলের জন্য যদি জীবন দিতে হয় তাই দেব।’
এরিকের বাবা এইচ এম এরশাদের মৃত্যুর খবর শুনে রাতেই ভারতের আজমীর শরীফ থেকে ঢাকা ফিরে আসেন বিদিশা। তিনি এরশাদকে একনজর দেখতে চান এবং এরিকের পাশে থাকতে চান।
তার অভিযোগ, প্রেসিডেন্ট পার্কে ফোন করেও তিনি ছেলের সঙ্গে কথা বলতে পারেননি। প্রতিবন্ধী ছেলেকে নিয়ে নোংরা রাজনীতি ও ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ বিদিশার।
আজ দুপুরে এসব বিষয়ে তিনি ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘বাবার মৃত্যুতে আমার ছেলে এরিকের কান্নায় দেশবাসীও কেঁদেছে। আমি পাগলের মতো ছুটে চলে এসেছি দেশে। কিন্ত দেশে এসেও বাধার শিকার। কোথায় স্বামীর লাশ? কোথায় ছেলে? আমার সঙ্গে এরিককে কথাও বলতে দেওয়া হচ্ছে না, দেখা করা তো দূরের কথা। এমনিতেই আমার ছেলে প্রতিবন্ধী। এই সময় যেখানে মাকে বেশি প্রয়োজন তখন আমার ছেলেকে নিয়েও রাজনীতি চলছে। শেষ পর্যন্ত মা হিসেবে ছেলের জন্য যদি জীবন দিতে হয় আমি তাই করব।’
বিদিশাকে বাধা দেয়ার অভিযোগ : হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মৃত্যুর পর ছেলে এরিকের সঙ্গে দেখা করতে চান মা। সোমবার সকালের দিকে প্রেসিডেন্ট পার্কে ঢুকতে চেয়েছিলেন বিদিশা। কিন্তু বাসার নিরাপত্তাকর্মী ও দলের লোকজন তাকে ভেতরে প্রবেশ করতে দেননি বলে অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমি আমার ছেলেকে দেখতে পারছি না। এরিকের বাবাকেও দেখতে দেয়া হচ্ছে না। বাবাকে হারিয়ে এরিকের অবস্থা ভালো না। সে ভালো নেই। সে একা রয়েছে। কান্নাকাটি করছে। আমি কিছুই চাই না, আমার সন্তানকে চাই।’
তবে এরশাদের বাসায় যোগাযোগ করা হলে এক কর্মচারী এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি।
সংবাদ সম্মেলন : এরিকের বাবা ও এরিককে দেখতে না দেওয়া, এরিকের কাছে যেতে না পারাসহ সব বিষয় নিয়ে যেকোনো সময় সংবাদ সম্মেলন করতে পারেন বিদিশা।
বিদিশা বলেন, ‘আমি এখন কোনো কথা বলতে পারছি না। আমার ছেলে অসহায় অবস্থায় প্রেসিডেন্ট পার্কে আছে। আমাকে যেতে দেয়া হচ্ছে না।’ কে বাধা দিচ্ছে, কেন? সব বিষয়ে তিনি সংবাদ সম্মেলন করে পরিষ্কারভাবে জানাবেন বলে জানিয়েছেন।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৫ জুলাই ২০১৯/নঈমুদ্দীন/ইভা
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন