ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

রাব্বানীকে ডাকসুর জিএস পদ থেকে অপসারণের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:৪৭, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
রাব্বানীকে ডাকসুর জিএস পদ থেকে অপসারণের দাবি

গতকালই পদ হারিয়েছেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী। নৈতিক স্খলনের দায়ে তাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাধারণ সম্পাদক পদ থেকেও অপসারণ করা উচিত বলে মনে করেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।

গোলাম রাব্বানীকে যদি ডাকসুর জিএস পদ থেকে অপসারণ না করা হয়, তাহলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের পদত্যাগ দাবি করেন মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।

রোববার সন্ধ্যায় মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল মুঠোফোনে এ প্রতিবেদককে বলেন, এই নৈতিক স্খলনের দায়টা একইভাবে কিন্তু এখন গিয়ে বর্তাবে ডাকসুর উপরে। কারণ, ডাকসুর সে (গোলাম রাব্বানী) নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক। নির্বাচন নিয়ে ইতোমধ্যেই নীতি-নৈতিকতার প্রশ্ন উঠেছে যে, ওটা নির্বাচন হয়নি, কারচুপি হয়েছে। সেখানে অনতিবিলম্বে ডাকসুর সভাপতি হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের উচিত সিনেটের মতামত নিয়ে ওই পদ থেকে তাকে অপসারণ করা।

তিনি বলেন, আইনগতভাবে সে সিনেটেও থাকতে পারে না। নৈতিক স্খলনের দায়ে তাকে ডাকসুর জিএস এবং সিনেট মেম্বার পদ থেকে অপসারণ করা হোক। আর যদি সেটা না করা হয়, তাহলে আমরা মনে করব যে, এই নৈতিক স্খলনের দায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের উপরও পড়ে। সে কারণে ওনারও পদত্যাগ করা উচিত।

বিএনপির এই নেতা বলেন, তারা যখন চোখের সামনে দেখে, তারা যাদের অনুসরণ করবে, তাদের সেই সিনিয়র নেতারা; সরকারে থাকুক, প্রশাসনে থাকুক, সাবেক নেতারা যদি পুলিশেও থাকে তাদের কীর্তি-কর্ম তো তারা দেখছে। দেখে সেখান থেকেই তারা উৎসাহ পেয়েছে মূলত।

দেরিতে হলেও ছাত্রলীগের ওই দুই নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা  নেয়াকে ভালো উদ্যোগ বলে মনে করেন মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি বলেন, নৈতিক স্খলনের দায়ে তাদের বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, এটা অনেক দেরিতে হলেও একটি ভালো উদ্যোগ বলে আমি মনে করি।

উল্লেখ্য, বিভিন্ন অভিযোগ ও সমালোচনার মুখে ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন এবং সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে সিনিয়র সহ-সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

শনিবার রাতে গণভবনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

২০১৮ সালের ১১ ও ১২ মে ছাত্রলীগের সম্মেলন হয়। ৩১ জুলাই আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মতিতে রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনকে সভাপতি ও গোলাম রাব্বানীকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করে ছাত্রলীগের কমিটি করা হয়।


রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯/সাওন/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়