ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

মাজার জিয়ারতের বিরোধিতাকারীদের শাস্তি দাবি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৬:০১, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
মাজার জিয়ারতের বিরোধিতাকারীদের শাস্তি দাবি

মাজার জিয়ারতের বিরুদ্ধে হেফাজতের আমির আহমদ শফীসহ যারা বিতর্কিত বক্তব্য দেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ ত্বরীকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সংসদ সদস্য সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী।

বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ওহাবী, খারেজী, সালাফী হেফাজত ও এর আমির আহমদ শফী কর্তৃক ইসলামের বিভিন্ন বিষয়ে বিতর্কিত লিখনি ও বক্তব্যের প্রতিবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি জানান।

ধর্মীয় বিষয়ে এভাবে বিতর্কিত বক্তব্য যারা দেন তাদেরকে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের উলামাদের সাথে প্রকাশ্য যুক্তিতর্কের মাধ্যমে সুষ্ঠু সমাধানের জন্য সরকারকে সেই ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছেন তিনি।

আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত ও ত্বরীকত ফেডারেশনের আয়োজনে সংবাদ সম্মেলনে সৈয়দ নজিবুল বশর বলেন, ‘শাহজালাল, শাহপরান মাজার জিয়ারতের মাধ্যমে বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল ভোটের আগে নির্বাচনী প্রচার শুরু করে। আবার হেফাজতে ইসলামসহ মওদুদীবাদীরা বলে শাহজালাল মাজারের লাথি মারতে। মাজারে ওরশ নিয়ে নানা উস্কানীমূলক বক্তব্য দেওয়া হয়। এইসব বক্তব্যের দিকে সরকারের চোখ নেই। তাদের এসকল বক্তব্যের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। এদের বিচারের আওতায় আনা হয় না, বরং তাদের দিকে টান আরও বেশি।’

যদি হেফাজত মওদুদীদের প্রতি এতো টান থাকে তাহলে ভোটের আগে শাহজালাল মাজারে না গিয়ে কোনো একটা কওমি মাদ্রাসা থেকে দোয়া নিয়ে মোনাজাত করে সেসব রাজনৈতিক দলকে নির্বাচন যাত্রা শুরু করার পরামর্শ দেন তিনি।

মাজারের বিরুদ্ধে এভাবে বিতর্কিত বক্তব্য দেওয়া অব্যাহত থাকলে এবং সরকার কোনো ব্যবস্থা না নিলে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত বাংলাদেশ ও তরিকত ফেডারেশন তাদের বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নিবে বলে হুঁশিয়ারী দেন নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী।

তিনি বলেন, ‘‘স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি সামনে রেখে স্বাধীনতা পক্ষের শক্তি হিসেবে আমরা হেফাজতে ইসলাম ও মওদুদীবাদিদের এসব বক্তব্য মেনে নিতে পারি না।

‘আমরা চাই সরকার তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক। যদি সরকার ব্যবস্থা না নেয় তাহলে মাজার শরিফ ওরশ শরিফ থেকে হেফাজতীদের কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের বিরুদ্ধে প্রতিদিন একটি করে মামলা করা হবে।”

দেশে ধর্মের শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য সরকারের উদ্যোগে আলোচনার ব্যবস্থা করতে আহ্বান জানিয়ে নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী বলেন, ‘‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুধু বঙ্গবন্ধুর কন্যাই নন, তিনি একজন সুফি পরিবারের সন্তান। শেখ হাসিনা সুফি বায়জিদ বোস্তামির বংশধর। সুতরাং আমরা শান্তি চাই ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি বন্ধ করতে।

‘এই হেফাজতে ইসলাম ও মওদুদিবাদিদের সঙ্গে সরকার বাহাসের ব্যবস্থা করে দিক। বাহাসের ব্যবস্থা হলে বাহাসের পর থেকে ধর্ম নিয়ে আর কোনো বিবেধ থাকবে না।”

সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের মহাসচিব আবুল কাশেম নুরী, ত্বরীকত ফেডারেশনের মহাসচিব সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী, সংগঠনটির প্রেসিডিয়াম সদস্য তৈয়বুল বশর মাইজভান্ডারী, যুগ্ম যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম ভূঁইয়াসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।


ঢাকা/পারভেজ/সনি

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়