নারী-শিশু নির্যাতন দমনে শিখা চিরন্তনে শপথ

স্বাধীনতা সংগ্রামের জ্বলন্ত স্মারক শিখা চিরন্তনে মুজিববর্ষ থেকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমনে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার শপথ নেবেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

বুধবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই কর্মসূচি নিয়েছে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট।

‘শেখ হাসিনার নির্দেশ, নারী ও শিশু নির্যাতনে রুখে দাঁড়াও বাংলাদেশ’ স্লোগানকে সামনে রেখে স্বাধীনতার পক্ষের সকল শক্তিকে এই কর্মসূচিতে শরিক হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে জোট থেকে।   

জোটের সমন্বয়ক এবং আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘নারী ও শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য মুজিববর্ষের সেই মুহূর্তকে বেছে নিয়েছি। মহান স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রথম দিন ১ মার্চ স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি, পেশাজীবী মানুষ, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবাই বিকেল ৩টায় শিখা চিরন্তনের সামনে আসুন।’

‘এই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই ৭ মার্চের ভাষণ দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। এখানে পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পণ করেছিল। এখান থেকে অঙ্গীকার করবো, এই স্বাধীন বাংলাদেশে একটাও নারী নির্যাতন আমরা হতে দেবো না। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তাদের বিচার করা হবে। চরম দণ্ড কার্যকর করা হবে।’

তিনি বলেন, ‘শিল্প, স্বাস্থ্য, নারীর ক্ষমতায়নসহ সর্বক্ষেত্রে বাংলাদেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে, তাহলে কেন আমরা একটি পাশবিক শক্তি দানবীয় শক্তিকে দমন করতে পারবো না। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশে আমরা কোনো নারী নির্যাতন, কোনো শিশু নির্যাতন, দুর্বৃত্তায়ন দেখতে চাই না। অপরাধী যেই হোক তাকে ছাড় দেয়া হচ্ছে না। নিজের দল হলেও তিনি (শেখ হাসিনা) খাতির করেন না।’

নারী ও শিশু নির্যাতনকারীদের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে শাস্তি নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়ে ১৪ দলীয় জোটের এই মুখপাত্র বলেন, ‘দ্রুত বিচার টাইব্যুনাল আছে, এরপরও আমরা চাইবো আরো সংক্ষিপ্ত করে, আরো কম সময়ের মধ্যে দ্রুত বিচার করে এই দানবদের মৃত্যুদণ্ড দিতে হবে। এটা দাবি, এটা প্রস্তাব আমাদের।’

‘কারণ এদের হাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী রেহাই পাচ্ছে না, শিশু রেহাই পাচ্ছে না, গৃহবধূ, শ্রমিকরা রেহাই পাচ্ছে না, তাহলে কেন আমরা এটা দমন করতে পারবো না। এজন্য সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। সংসদে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, পশুর চেয়ে অধম হচ্ছে এসব শিশু ও নারী নির্যাতনকারীরা। এদের কোনো ছাড় দেয়া হবে না।’

১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে সন্ধ্যা ৬টায় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ থেকে ১৪ দলের আয়োজনে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করার মাধ্যমে স্বাধীনতার বিরোধী শক্তির অন্ধকারকে দূর করার কর্মসূচি নেয়া হয়েছে বলেও জানান মোহাম্মদ নাসিম।

এ সময় আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা ও ১৪ দলীয় জোটের শরিক দলগুলোর শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।



ঢাকা/পারভেজ/টিপু