ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

পাটশিল্পকে গলা টিপে মারার পথ থেকে সরে আসুন: জাসদ

নিউজ ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:০৫, ৫ জুলাই ২০২০   আপডেট: ১০:৩৯, ২৫ আগস্ট ২০২০
পাটশিল্পকে গলা টিপে মারার পথ থেকে সরে আসুন: জাসদ

দেশের ২৫টি রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল বন্ধ করে দেওয়ার উদ‌্যোগকে ‘গলা টিপে মেরে সৎকার’ করার সঙ্গে তুলনা করেছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)। এ  পথ থেকে সরে আসতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু এমপি ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার এমপি।

রোববার (৫ জুলাই) এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানিয়েছেন জাসদের নেতারা।

তারা বলেন, ‘পাটশিল্পকে লোকসানি খাতে পরিণত করার দায় শ্রমিকের না, বরং যখন যারা দায়িত্বে ছিলেন তাদের। অত্যন্ত সুপরিকল্পিত ও ষড়যন্ত্রমূলকভাবে পাটশিল্পকে লোকসানি খাতে পরিণত করা হয়েছে। পাটশিল্পের আধুনিকায়ন ও  বহুমুখীকরণ না করে, পাট কেনায় যথাসময়ে টাকা বরাদ্দ না দিয়ে, দুর্নীতি ও চুরি বন্ধ না করে পাটশিল্পকে লোকসানি খাতে পরিণত করা হয়েছে। পাটশিল্পের লোকসানকে অর্থনীতির রক্তক্ষরণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। গত ৪৪ বছরে পাটশিল্পে পুঞ্জিভূত লোকসান ১০ হাজার ৫০০ কোটি টাকাসহ ব্যাংক ঋণের পরিমাণ ৫০ হাজার কোটি টাকা। কিন্ত বিমান বা বিদ্যুতের কুইক রেন্টালসহ বড় লোকসানি খাতে প্রতি বছর অর্থাৎ এক বছরে যে পরিমাণ লোকসান হচ্ছে তা পাটশিল্পের ৫০ বছরের পুঞ্জিভূত লোকসানের চেয়েও বেশি। ২৫টি কারখানা মানে বিশাল পাট অর্থনীতি। ১ কোটি পাটচাষি থেকে শুরু করে চট উৎপাদনের মাঝখানে, অগ্র ও পশ্চাতে আরো ১ কোটি মানুষ পাটকেন্দ্রিক অর্থনীতি-জীবন-জীবিকার সাথে যুক্ত।’

জাসদ নেতারা বলেন, ‘আদমজী বন্ধ হওয়ার পর সেখানে আধুনিক পাট কারখানা গড়ে তোলার কথা ছিল। কিন্তু তা হয়নি। আদমজীর জমি শিল্প প্লট করে এবং কারখানার সবকিছু স্ক্র্যাপ করে জমি আর স্ক্র্যাপের হরিলুট হয়েছে। সরকারের পিপিপির অধীনে পাটকলগুলো চালু করার সদিচ্ছাও আদমজীর মতো হরিলুটের খেলায় হারিয়ে যাবে। তারা পাটকলগুলো বন্ধ করার আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে প্রতিটি পাট কারখানাকে একটি এন্টারপ্রাইজ হিসেবে পরিচালনার জন্য পাইলট প্রজেক্ট গ্রহণ করতে হবে। ২৫টি পাটকল বন্ধের জন্য যে ৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে তা থেকে মাত্র ১২৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে ২৫টি পাটকল আধুনিকায়ন করে ২৫ হাজার শ্রমিককে মাসে ২৫ হাজার টাকা মজুরি দিয়ে লাভজনকভাবে পরিচালনা করা সম্ভব।’

হাসানুল হক ইনু ও শিরীন আখতার বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর উৎসাহে যখন পাটের জেনম সিকোয়েন্স উদঘাটন হয়েছে, পাটের পুনর্জাগরণের প্রচেষ্টা চলছে, তখন পাটকল বন্ধ করে দেওয়া এবং পাট অর্থনীতিকে পরিত্যক্ত করার আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা প্রয়োজন।’ বিজ্ঞপ্তি


ঢাকা/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়