ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

শীতকালে হাইড্রেটেড থাকার উপকারিতা

এস এম গল্প ইকবাল || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:৫৩, ৮ ডিসেম্বর ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
শীতকালে হাইড্রেটেড থাকার উপকারিতা

প্রতীকী ছবি

এস এম গল্প ইকবাল : শীত চলে এসেছে। এ সময়ে উষ্ণ থাকার পাশাপাশি স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়াও গুরুত্বপূর্ণ। মনে হতে পারে যে, শীতকালে হাইড্রেটেড থাকা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়, কারণ ঠান্ডা আবহাওয়ায় আমরা প্রচুর ঘামাই না। কিন্তু গ্রীষ্মের মতো শীতকালেও পর্যাপ্ত পানি পান করা এবং শরীরে পানি ধরে রাখা গুরুত্বপূর্ণ।

হাইড্রেটেড থাকা একটি সহজ কাজ হলেও শীতকালে বিভিন্ন কারণে আপনি পর্যাপ্ত পানি পান নাও করতে পারেন। একটি কারণ হচ্ছে, শীতে ডিহাইড্রেশন গ্রীষ্মকালের তুলনায় কম লক্ষণীয়- কারণ আমাদের শরীর থেকে খুব একটা ঘাম বের হয় না। অন্য একটি কারণ হচ্ছে, বাতাসের শুষ্কতা আমাদের শরীরকে ধারণার চেয়েও বেশি ডিহাইড্রেট করে এবং প্রায়সময় আমরা তৃষ্ণা অনুভব করি না- তাই আমাদের যে পর্যাপ্ত পানি পান করা প্রয়োজন তা আমরা বুঝতে পারিনা। কিন্তু ভবিষ্যতে যেকোনো শারীরিক অসুস্থতা এড়াতে শীতকালেও শরীরে পানির ঘাটতি পূরণে সচেষ্ট থাকতে হবে এবং পর্যাপ্ত পানি পান নিশ্চিত করতে হবে।

শীতে পর্যাপ্ত পানি পানের চার উপকারিতা
* তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে : পানি গ্রীষ্ম ও শীত উভয় ঋতুতে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। শরীরের ভেতরকে উষ্ণ রাখতে এবং হাইপোথারমিয়ার মতো কন্ডিশন প্রতিরোধ করতে হাইড্রেটেড থাকা একটি নিশ্চিত উপায়।

* ইমিউনিটি বৃদ্ধি করে : ঠান্ডা ও শুষ্ক বাতাস আপনার শরীরের শক্তি হ্রাস করতে পারে, যার ফলে আপনি অলসতা অনুভব করবেন এবং আপনার কোল্ড ও ফ্লু হওয়ার প্রবণতা বেড়ে যাবে। হাইড্রেটেড থাকা ইমিউনিটি বাড়ায় এবং আপনার শরীরকে অসুস্থতা থেকে রক্ষা করে।

* ওজন নিয়ন্ত্রণ করে : যখন আপনি হাইড্রেটেড থাকেন তখন আপনার শরীর চর্বি ভাঙতে অধিক সমর্থ, যা কার্যকরভাবে শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ করে।

* ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নত করে : আপনার ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য যেকোনো সৌন্দর্য বিশেষজ্ঞ যে বিষয়ে পরামর্শ দেবেন তা হচ্ছে, পর্যাপ্ত পানি পান করা। শীতের সময় শুষ্ক ও নিষ্প্রাণ ত্বক প্রতিরোধ করতে হাইড্রেটেড থাকা গুরুত্বপূর্ণ।

শীতকালে কিভাবে হাইড্রেটেড থাকবেন
* কুসুম কুসুম গরম পানি/কক্ষ তাপমাত্রার পানি পান করুন : শীতকালে ব্যায়ামের পর অথবা অন্যান্য সময়ে কক্ষ তাপমাত্রা বা কুসুম কুসুম গরম পানীয় বা পানি পান করা উচিৎ। এর কারণ হচ্ছে, ঠান্ডা পানি/তরল শরীরে তুলনামূলক দ্রুত শোষিত হয়।

* পানি সমৃদ্ধ ফল/শাকসবজি খান : পানি উপাদান সমৃদ্ধ প্রচুর তাজা ফল ও শাকসবজি খাওয়া হচ্ছে হাইড্রেটেড থাকার অন্যতম চমৎকার উপায়। আপনার ডায়েটে প্রচুর স্ট্রবেরি, কমলা, আনারস, লেটুস, সেলেরি, টমেটো, গাজর, পালংশাক ও শসা রাখুন।

* অ্যালকোহল/ক্যাফেইন পান সীমিত করুন : যদিও শীতকালে গরম চা, কফি ও অ্যালকহল পানের প্রবণতা বেশি, কিন্তু অ্যালকোহল ও ক্যাফেইন উভয়েই আপনার শরীরকে ডিহাইড্রেট করতে পারে। তাই ক্যাফেইন ও অ্যালকোহল অতিরিক্ত পান না করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

* বেশি করে স্যুপ/ব্রোথ খান : স্যুপ ও ব্রোথের মতো লবণাক্ত খাবার স্বাস্থ্যকর এবং শরীরে পানি ধরে রাখতে সাহায্য করে। এসব খাবার আপনার শরীরের ভেতরটাকে উষ্ণ রাখতেও সাহায্য করে।

তথ্যসূত্র : এনডিটিভি



রাইজিংবিডি/ঢাকা/৮ ডিসেম্বর ২০১৮/ফিরোজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়