ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

খুলনায় খাদেম হত্যায় ৭ বখাটে গ্রেপ্তার

মুহাম্মদ নূরুজ্জামান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৭:৪২, ২১ জানুয়ারি ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
খুলনায় খাদেম হত্যায় ৭ বখাটে গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা : খুলনা মহানগরীর মিস্ত্রিপাড়া বাজার এলাকার মাসুদ গাজী (৪০) হত্যা মামলার সাত আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নিহত মাসুদ গাজী মিস্ত্রিপাড়া বাজার মসজিদের খাদেম হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

হত্যাকাণ্ডের ১২ ঘণ্টার মধ্যে এজাহার নামীয় আটজন আসামির মধ্যে সাতজনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ।

শনিবার রাত ৯টার দিকে স্থানীয় বখাটেরা দুই দফায় মাসুদ গাজী ওপর হামলা করলে তিনি গুরুতর জখম হন। রাত দেড়টার দিকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। পরে রোববার নিহত মাসুদ গাজীর ভাই ইয়াসিন গাজী বাদি হয়ে মামলা করেন।

গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হচ্ছেন- নগরীর নাজিরঘাট এলাকার মো. সগির হোসেনের পুত্র মো. সাগর হোসেন (২১), লবণচরার কৃষ্ণনগর এলাকার জি এম মাহাতাব হোসেনের পুত্র মো. আতিয়ার রহমান আতি (২২), পশ্চিম টুটপাড়ার মৃত সোবহানের পুত্র মো. নাসির উদ্দিন (২২), মিস্ত্রিপাড়া বাজারের মো. আবুল কালাম শেখের পুত্র মো. কাওছার শেখ (২৪), একই এলাকার মো. শাহ আলম আকনের পুত্র মো. সোহাগ আকন (২০), মো. খলিল শেখের পুত্র মো. ইমামুল শেখ ইমাম (১৭) এবং বাগমারা এলাকার মো. নান্না তালুকদারের পুত্র মো. নাজমুল তালুকদার (২২)।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি সাউথ মো. এহসান শাহ বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের পরে নিহত মাসুদ গাজীর ভাই ইয়াসিন গাজী বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলার এজাহার নামীয় আটজন আসামির মধ্যে সাতজনকে ঘটনার ১০ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’

নিহত মাসুদ গাজী মসজিদের খাদেমের সঙ্গে রং মিস্ত্রি ও বিদ্যুতের কাজও করতেন। তিনি মহানগরীর পূর্ব বানিয়া খামার লোহারগেট নবম গলির বাসিন্দা মুনসুর রহমান গাজীর ছেলে।

পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, খাদেম মাসুদ গাজী শনিবার রাতে এশার নামাজ আদায় করে মিস্ত্রিপাড়া বাজার মসজিদ থেকে বের হয়ে দধি কিনে নিয়ে বাসায় ফিরছিলেন। পথিমধ্যে সড়কের পাশে বসে থাকা আসামিদের সঙ্গে কোনো একটি বিষয় নিয়ে তার কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে বখাটেরা তাকে মারধর করে। তিনি আহত হয়ে বাসায় ফিরে যান। বাসায় গিয়ে ঘটনা বলার পর ভাই ইয়াসিন গাজীকে সঙ্গে নিয়ে পুনরায় ঘটনাস্থলে যান। এ সময় বখাটেরা স্থানীয় স্কুল গলির মুখে নিয়ে তার মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করে এবং মুখ ও বুকসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি আঘাত করে। তার ভাই ইয়াসিন গাজী ঠেকাতে গেলে তাকেও মারধর করা হয়। এক পর্যায় মাসুদ গাজী অচেতন হয়ে পড়লে তারা পালিয়ে যায়।




রাইজিংবিডি/খুলনা/২১ জানুয়ারি ২০১৯/মুহাম্মদ নূরুজ্জামান/সাইফুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়