ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

আমন্ড মিল্কের চার স্বাস্থ্য উপকারিতা

এস এম গল্প ইকবাল || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:৪৪, ৫ অক্টোবর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
আমন্ড মিল্কের চার স্বাস্থ্য উপকারিতা

প্রতীকী ছবি

রেগুলার মিল্কের পরিবর্তে আমন্ড মিল্ক পানের কথা ভাবছেন? এটা একটি ভালো সিদ্ধান্ত হতে পারে। ‘মাই ইন্ডিয়ান টেবল: কুইক অ্যান্ড টেস্টি ভেজিটারিয়ান রেসিপিস’ বইয়ের লেখক, ডায়াবেটিস এডুকেটর, ডায়েটিশিয়ান ও ক্যালিফোর্নিয়ার র‍্যাঞ্চো পালোস ভার্ডিসে অবস্থিত অ্যাকাডেমি অব নিউট্রিশন অ্যান্ড ডায়েটেটিক্সের মুখপাত্র বন্দনা শেঠ বলেন, ‘আমন্ড মিল্ক তাদের জন্য ভালো বিকল্প হতে পারে যারা প্রাণীজ দুগ্ধজাত খাবারের প্রতি অ্যালার্জিক বা সেনসিটিভ, যারা ডায়েট থেকে ক্যালরি কমাতে চান ও যাদের প্রিডায়াবেটিস/ডায়াবেটিস রয়েছে। আমন্ড মিল্কে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ গরুর দুধের তুলনায় অনেক কম, ফলে এটি ব্লাড সুগারের ওপর তেমন প্রভাব ফেলে না। কিন্তু এটিতে প্রোটিন কম থাকে বলে আপনাকে অন্যান্য খাবার থেকে প্রোটিন গ্রহণের ব্যাপারে মনোযোগী হতে হবে।’ নিয়মিত আমন্ড মিল্ক পানে স্বাস্থ্যের প্রচুর উপকার হয়। এ প্রতিবেদনে আমন্ড মিল্ক পানের চারটি উল্লেখযোগ্য স্বাস্থ্য উপকারিতা আলোচনা করা হলো।

* ওজনকে নাগালে রাখতে সাহায্য করে

শরীরের ওজনকে নিয়ন্ত্রণে আনতে চাইলে আমন্ড মিল্ক প্রাণীজ দুধের ভালো বিকল্প হতে পারে, কিন্তু এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হলো স্কিম মিল্ক। গরুর রিডিউসড-ফ্যাট মিল্কের তুলনায় সাদামাটা অমিষ্ট আমন্ড মিল্কে ফ্যাট ও ক্যালরির পরিমাণ কম। কিন্তু মিষ্টি ও স্বাদ সংযোজিত আমন্ড মিল্কের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য নয়। আপনি কোন ধরনের আমন্ড মিল্ক বেছে নিচ্ছেন তার ওপর ভিত্তি করে ক্যালরি ও কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ ভিন্ন হতে পারে। এক গ্লাস অমিষ্ট ভ্যানিলা আমন্ড মিল্কে ১ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট ও ৩০ ক্যালরি রয়েছে, অন্যদিকে একই পরিমাণ মিষ্ট আমন্ড মিল্কে ১৬ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট ও ৯৩ ক্যালরি পাওয়া যায়।

* হাড়ের উপকার করে

ক্যালসিয়াম যে হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এটা কে না জানে? কিছু ব্র্যান্ডের আমন্ড মিল্কে ক্যালসিয়াম সংযোজন করা হয় এবং ক্যালসিয়াম-সংযোজিত আমন্ড মিল্কে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ গরুর দুধের চেয়ে বেশি থাকতে পারে। ক্যালসিয়াম-ফর্টিফায়েড আমন্ড মিল্ক সাধারণত দৈনিক প্রয়োজনীয় ক্যালসিয়ামের ৪৫-৫০% সরবরাহ করে, অন্যদিকে প্রাণীজ দুধ ৩০% ক্যালসিয়ামের যোগান দেয়। আপনার আমন্ড মিল্ক ক্যালসিয়াম-ফর্টিফায়েড কিনা নিশ্চিত হতে লেবেল পড়ুন।

* হার্টের উন্নয়ন করে

প্রাণীজ দুধকে স্কিম করা না হলে প্রায়ক্ষেত্রে কিছু স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে, যা হৃদরোগের ঝুঁকি আছে এমন মানুষদের জন্য সমস্যাপূর্ণ হতে পারে। তাদের জন্য সুখবর হচ্ছে, আমন্ড মিল্কে কোনো স্যাচুরেটেড ফ্যাট নেই, এটি হাই ব্লাড প্রেশার দমিয়ে রাখে ও হার্টের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উপকার করে। আমন্ড মিল্কে সংযোজিত ভিটামিন ই রয়েছে, যা হার্টের সামষ্টিক উন্নয়ন করে।

* রোগ প্রতিরোধের সিস্টেমকে শক্তিশালী করে

আমন্ড মিল্কে ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি ও ভিটামিন ই সংযোজন করা হয়, যার মাত্রা সাধারণত প্রাণীজ দুধের চেয়ে বেশি হয়ে থাকে (কিছু গরুর দুধে সংযোজিত ভিটামিন ডি মোটেই থাকে না)। এসবকিছু আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে সবল করে তোলে। আমন্ড মিল্কে সংযোজিত বি ভিটামিন ও আয়রনও থাকে, যা পেশিকে শক্তিশালী করে ও নিরাময় ক্ষমতা বাড়ায়। কিন্তু আপনাকে কেনার পূর্বে অবশ্যই লেবেল পড়তে হবে, কারণ সকল আমন্ড মিল্কে ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে তোলার মতো উপাদান সংযোজন করা হয় না।


ঢাকা/ফিরোজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়