ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

বেনাপোল স্থলবন্দরের গতি বাড়াতে নতুন প্রকল্প

হাসিবুল ইসলাম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৪২, ২৫ আগস্ট ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বেনাপোল স্থলবন্দরের গতি বাড়াতে নতুন প্রকল্প

হাসিবুল ইসলাম মিথুন : বেনাপোল স্থলবন্দরে আমদানি- রপ্তানিকাজে গতি বৃদ্ধি এবং স্থলবন্দর ও তৎসংলগ্ন এলাকার যানজট নিরসনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। সে লক্ষ্যে ২৮৯ কোটি ৬৮ লাখ ১৫ হাজার টাকার ‘বেনাপোল স্থলবন্দর কার্গো ভেহিকল টার্মিনাল নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে।

পরিকল্পনা কমিশন থেকে জানা যায়, প্রকল্প প্রস্তাব পাওয়ার পর চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা হয়। ওই সভায় দেয়া সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন করে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) পুনর্গঠন করা হয়। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) আগামী সভায় তা উপস্থাপন করা হতে পারে।

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবিত প্রকল্পটি অনুমোদন হলে তা বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ। প্রকল্পটির মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০১৯ সালের জুলাই  থেকে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত।

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় থেকে প্রকল্পটি সম্পর্কে জানা যায়, স্থলপথে আমদানি-রপ্তানি তথা বাণিজ্যিক কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য বেনাপোল স্থলবন্দর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর।  তাই দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির দিক দিয়ে এ প্রকল্পটি খুব গুরুত্ব বহন করবে। এ স্থলবন্দর ব্যবহার করে স্থলপথে প্রায় ৮০ শতাংশ আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। এ বন্দরের মাধ্যমে প্রতি বছর প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকার মালামাল আমদানি-রপ্তানি হয়। এতে সরকার প্রতি বছর প্রত্যক্ষভাবে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা আয় করে থাকে। প্রতিদিন প্রায় ৪০০ থেকে ৫০০ ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাক এবং ৫০০ -৬০০টি বাংলাদেশি ট্রাক বন্দরে আসে।

প্রকল্পটির প্রধান কার্যক্রম সম্পর্কে মন্ত্রণালয় আরো জানায়, প্রকল্পটির জন্য জমি অধিগ্রহণ, ভূমি উন্নয়ন, সীমানা প্রাচীর নির্মাণ, অভ্যন্তরীণ রাস্তা নির্মাণ, টয়লেট কমপ্লেক্স, মেইন গেট, গেস্ট হাউজ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা, পুকুর খনন, ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ ও ড্রেন নির্মাণ করা হবে।

এ প্রকল্পের বিষয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সুপারিশ সম্পর্কে মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে বেনাপোল স্থলবন্দরের মাধ্যমে বাংলাদেশে আসা পণ্যবাহী গাড়ি সংরক্ষণ করা যাবে ও আমদানি-রপ্তানি কাজে গতিশীলতা আসবে। ভারতের সঙ্গে স্থল বাণিজ্যের ক্ষেত্রে এ বন্দর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে। তাই এটি বিবেচনা করা যেতে পারে।


রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৫ আগস্ট ২০১৯/হাসিবুল/রফিক  

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়