ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

রাইজিংবিডির প্রতিবেদন নজরে ছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংকের

নাসির উদ্দিন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:৪৮, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
রাইজিংবিডির প্রতিবেদন নজরে ছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংকের

নাসির উদ্দিন চৌধুরী : ২০১৬ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি ‘টাকা নষ্টের মহোৎসব!’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে দেশের শীর্ষস্থানীয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল রাইজিংবিডি ডটকম। অবশেষে কেন্দ্রীয় ব‌্যাংক এ বিষয়ে জারি করেছে।

২০১৬ সালেই রাইজিংবিডি ডটকম-এর আলোচিত এ প্রতিবেদনটি বাংলাদেশ ব্যাংকের নজরে আসে। এরপরে ধারাবাহিকভাবে আরো বেশ কয়েকটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় জনপ্রিয় এ অনলাইনটিতে।

ঐ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, কারণে-অকারণে নোটের ওপর লেখা, স্ট্যাপলারের পিন মারা ও সিল মারার কারণে প্রতিনিয়ত নষ্ট হচ্ছে টাকা। কিন্তু এ বিষয়ে কারও কোনো নজরদারি নেই। গত ৯ সেপ্টেম্বর এক সার্কুলারের মাধ্যমে টাকার বৈশিষ্ট্য ও সৌন্দর্য ঠিক রাখতে তার ওপর লেখালেখি, সিল ও স্ট্যাপলারের পিন ব্যবহার না করতে নির্দেশ জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

সার্কুলারে জানানো হয়, ব্যাংকের ক্যাশ কাউন্টারে টাকা জমার পর হিসেব রাখার সুবিধার জন্য নোটের ওপর সিল-সই দেন এবং নোটের সংখ্যা লিখে থাকেন। এখন থেকে এ ধরনের কাজ আর না করতে সকল ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

কারণে-অকারণে নোটের ওপর লেখা এবং সিল বা সই করার কারণে একটি নোট বাজারে ছাড়ার অল্প কিছুদিনের মধ্যে ব্যবহারের যোগ্যতা হারাচ্ছে। ফলে ওই টাকা নষ্ট করে ফের নতুন নোট বাজারে ছাড়তে গিয়ে সরকারের নোট ছাপানোর খরচ বেড়ে যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে এ প্রবণতা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, নতুন ও পুনঃপ্রচলনযোগ্য নোট প্যাকেটকরণের সময় ব্যাংকের মুদ্রিত ফ্লাইলিফে ব্যাংক শাখার নাম, সিল, নোট গণনাকারী ও প্রতিনিধিগণের স্বাক্ষর ও তারিখ আবশ্যিকভাবে প্রদান করতে হবে।

এতে আরো বলা হয়, তফসিলি ব্যাংক কর্তৃক ১ হাজার টাকার নোট ছাড়া অন্য কোনো নোটে স্ট্যাপলারের পিন ব্যবহার করা বা ছিদ্র করা যাবে না।

এছাড়া সকল নতুন ও পুনঃপ্রচলনযোগ্য নোট ২৫ মিলিমিটার থেকে ৩০ মিলিমিটার প্রশস্ত পলিমার টেপ অথবা পলিমারযুক্ত পুরু কাগজের টেপ দ্বারা বাইন্ডিং করতে হবে।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে যেহেতু এই নির্দেশনা দেয়া হয়েছে সেক্ষেত্রে আমরা অবশ্যই আশাবাদী দেশের সকল ব্যাংক আমাদের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করবে। আর যেহেতু এটি একটি ভালো উদ্যোগ, তাই এটি পালন করতেই হবে। নির্দেশনা যথাযথভাবে পালন হচ্ছে কি না- এ বিষয়ে আমরা সবসময়ই মনিটরিং করে থাকি।

২০১৬ সালে রাইজিংবিডিতে প্রকাশিত সংবাদ অনুসন্ধানে দেখা গিয়েছিল, দেশে অব্যবহারযোগ্য মুদ্রার নেপথ্যে সবচেয়ে বেশি নেতিবাচক ভূমিকা রাখছে ব্যাংকগুলো। গ্রাহক যখন টাকা জমা দেন, তখন কোনো ধরনের পিন ব্যবহার করেন না। গ্রাহক সরাসরি ব্যাংকের কাউন্টারে টাকা জমা দেন। পরে ব্যাংকগুলো আলাদা আলাদা বান্ডিল করে বড় আকারের স্ট্যাপলারের পিন ব্যবহার করে। ঘুরেফিরে পিন মারা টাকা গ্রাহকের কাছে আসে। তখন পিন খুলতে গিয়ে অনেকেই টাকা ছিঁড়ে ফেলেন। এছাড়া হিসেব মনে রাখার জন্য টাকার ওপরে সিল, স্বাক্ষর বা হিসেব লিখে রাখা হত।

পড়ুন : 
        

রাইজিংবিডি/ঢাকা/১০ সেপ্টেম্বর ২০১৯/নাসির/নবীন/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়