ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী শনিবার

ভাবমূর্তি ফেরাতে লড়ছে ছাত্রলীগ

এসকে রেজা পারভেজ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:০৭, ৩ জানুয়ারি ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ভাবমূর্তি ফেরাতে লড়ছে ছাত্রলীগ

অব্যাহত বিতর্ক, অনিয়ম আর অভিযোগের বেড়াজাল ভেঙে সোনালী অতীত ফিরিয়ে আনতে ঘাম ঝড়াচ্ছে বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য আর সংগ্রামের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত সংগঠন ছাত্রলীগ।

বারবার নেতিবাচক কর্মকাণ্ডে খবরের শিরোনামে আসা এই সংগঠনটির নেতৃত্বে পরিবর্তন এনে ছাত্রলীগের ইতিবাচক ভাবমূর্তি ও কর্মকাণ্ডের   আমূল পরিবর্তনের আশা করছেন দায়িত্বশীলরা। সংগঠনটির বর্তমান নেতৃত্বও সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সর্বাত্মকভাবে নিজেদের উজার করছেন।

বাংলা, বাঙালির স্বাধিকার অর্জনের লক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশনায় ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগের জন্ম হয়। ছাত্রলীগ দীর্ঘ রাজনৈতিক পরিক্রমায় ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৫৪’র প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের বিজয়, ৫৮’র আইয়ুববিরোধী আন্দোলন, ৬২’র শিক্ষা আন্দোলন, ৬৬’র ৬ দফার পক্ষে গণঅংশগ্রহণের মাধ্যমে মুক্তির সনদ হিসেবে এই দাবিকে প্রতিষ্ঠা করে। এরপর ৬৯’র গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে কারাগার থেকে মুক্ত করে আনা, ৭০’র নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ জয়লাভ এবং ৭১’র মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে পরাধীন বাংলায় লাল সবুজের পতাকার বিজয় ছিনিয়ে আনতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে ছাত্রলীগ।

আগামী ৪ জানুয়ারি শনিবার ছাত্রলীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীকে সামনে রেখে কেবলই বড় ধাক্কার মধ্য দিয়ে যাওয়া সংগঠনটি গুছিয়ে উঠতে শুরু করেছে। গত সেপ্টেম্বরে দুর্নীতির অভিযোগে সংগঠন থেকে বাদ পড়েন সাবেক সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন এবং সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী। তাদের হাত ধরেই বছরজুড়েই উত্তপ্ত ছিল ছাত্রলীগ। তাদের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের আংশিক কমিটি প্রকাশের প্রায় ১০ মাস পর গত ১৩ মে সংগঠনের ৩০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটি ঘোষণার পর ওই দিনই সন্ধ্যায় কমিটিতে পদবঞ্চিত ও প্রত্যাশিত পদ না পাওয়া বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন করতে গিয়ে হামলার শিকার হন। এতে সংগঠনের কয়েকজন নারী নেত্রীসহ ১০-১২ জন আহত হন। এরপর বিতর্কিতদের বাদ দেওয়াসহ চার দফা দাবিতে কয়েক দফায় মাসব্যাপী অবস্থান কর্মসূচি ও অনশন করেন পদবঞ্চিতরা। আন্দোলনের একপর্যায়ে কমিটিতে পদ পাওয়া ৯৯ জনের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগসহ তালিকা প্রকাশ করে ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত ও প্রত্যাশিত পদ না পাওয়া নেতা-কর্মীরা। অর্থের বিনিময়ে বিতর্কিতদের কমিটিতে স্থান দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছিলেন তারা। কিন্তু আশ্বাস দিলেও তৎকালীন সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেননি। এরই মধ্যে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে শোভন-রাব্বানীর বিরুদ্ধে। গত ১৪ সেপ্টেম্বর পদ থেকে তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়।

এর তিন মাসের মাথায় বর্তমান সভাপতি আল নাহিয়ান খান ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য ৩২ জন নেতা-কর্মীকে নানা অভিযোগে ও গঠনতন্ত্র বহির্ভূত কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে বাদ দেয়। এর মধ্যে ২১ জনের বিরুদ্ধে সংগঠনের সাবেক ও বর্তমান নেতাদের আনা অভিযোগ প্রমাণ হয়েছে। আর বাকি ১১ জন পদ থেকে অব্যাহতি নিতে নিজেরাই আবেদন করেছিলেন। তাদের বিরুদ্ধেও সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছিল। তবে বাদ পড়াদের অনেকের অভিযোগ, তাদের বাদ দেয়ার আগে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেয়া হয়নি। বাদ পড়াদের মধ্যে অনেকে আছেন যারা বিতর্কিত নন। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী এভাবে বাদ দেয়ার সুযোগ নেই। বরং বর্তমান কমিটিতে আরো বিতর্কিত লোক রয়েছে, যারা পদ পড়ার মতো। তবে দলীয় সূত্র বলছে, যারা বাদ পড়েছে দলের দায়িত্বশীল মহলের সিগনালেই বাদ পড়েছেন। যদিও সম্মেলনের পর বাদ পড়াদের বিষয়ে পুন:তদন্ত হবে বলে জানা গেছে।

এদিকে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীকে সামনে রেখে বেশ নড়বড়ে অবস্থানে রয়েছে সংগঠনটির সাংগঠনিক পরিস্থিতি। ছাত্রলীগের ১১১টি সাংগঠনিক জেলার মধ্যে তিনটি বাদে প্রায় সবগুলোরই মেয়াদোত্তীর্ণ। কোনো কোনো জেলা ইউনিটে মেয়াদ পেরিয়েছে ৭ বছর আগে। আর উপজেলা ও পৌর এলাকায় কোনো কোনো ইউনিটের মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে ১০ বছর আগে। এক বছর মেয়াদী এসব কমিটিতে নির্ধারিত সময়ে পরিবর্তন হলে অনেকের পদায়ন সম্ভব হতো। বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ চরম আকার নিয়েছে। তৃণমূলে এমন ঘটনাও আছে একই সঙ্গে ছাত্রলীগ এবং আওয়ামী লীগের অন্য সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ পদেও আছেন একই ব্যক্তি।

ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েক বছরে ছাত্রলীগের সাংগঠনিক পরিস্থিতি নাজুক হওয়ার জন্য বিগত কমিটিগুলোর শীর্ষ নেতৃত্বই দায়ী। গত ১৪ সেপ্টেম্বর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে আল নাহিয়ান খান জয় এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে লেখক ভট্টাচার্য দায়িত্ব নেয়ার পর নড়াইলে নতুন কমিটি হয়েছে। মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটিগুলো ভেঙে কাউন্সিলের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব আনার কাজ শুরু করতে যাচ্ছেন তারা।

এর আগে দুর্নীতির অভিযোগে বাদ পড়া শোভন-রাব্বানী দায়িত্ব থাকা অবস্থায় চট্টগ্রাম জেলা আর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন কমিটি দিতে পেরেছেন। এর আগের কমিটিগুলোও মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটিগুলো ভেঙে নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টিতে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন।

জানা গেছে, রাজশাহী মহানগর, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, নাটোর, বগুড়ায় ৫ বছর একই কমিটি দায়িত্ব পালন করছে। বগুড়া ছাত্রলীগের সভাপতি নাইমুর তিতাস বিবাহিত। একই সঙ্গে তিনি জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এবং জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক! কমিটির মেয়াদ ফুরিয়েছে ৫ বছর আগে। জয়পুরহাট জেলার কমিটির মেয়াদ নেই ৫ বছর। এমনভাবে সারা দেশে সবগুলো ইউনিটের মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে অনেক আগে। মেয়াদোত্তীর্ণ এসব কমিটিতে যারা শীর্ষ পদের দায়িত্বে রয়েছেন তারাও সুযোগ কাজে লাগিয়ে ত্যাগী ও নিবেদিতপ্রাণ কর্মীদের পদ না দিয়ে টাকার বিনিময়ে কমিটিতে পদ দিচ্ছেন। এ নিয়ে বেশ কয়েক জায়গায় কমিটি স্থাগিত, তদন্ত কমিটি গঠন এবং অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পর সেই কমিটি বাতিলের ঘটনা ঘটেছে। বগুড়ায় ২ বছর আগে ৪টি উপজেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন হলেও নতুন কমিটি এখন পর্যন্ত হয়নি। কিশোরগঞ্জে ৩টি উপজেলায় কমিটি স্থগিত করা হয়েছে। দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে টাকার বিনিময়ে কমিটি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। নীলফামারীর একটি উপজেলায় টাকার বিনিময়ে কমিটি দেয়ার অভিযোগ তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় কমিটি। সিলেটের জুড়ি উপজেলায় কমিটিতে টাকার বিনিময়ে বিএনপি-জামায়াত পরিবারের সদস্যদের পদ দেয়া প্রমাাণিত হওয়ায় কমিটি স্থগিত করা হয়েছে। এসব কারণে ছাত্রলীগের তৃণমূল পর্যায়ে সাংগঠনিক পরিস্থিতি যেমন নড়বড়ে হয়ে পড়েছে, তেমনি কমিটি গঠনে ত্যাগী ও দক্ষ সংগঠকের বিষয়টি বিবেচনায় না নিয়ে টাকার বিনিময়ে কমিটিতে পদ দেয়ায় বিতর্কিতদের অনুপ্রবেশ ঘটছে।

জানতে চাইলে ছাত্রলীগের দেখভালের দায়িত্বে থাকা আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মো. আব্দুর রহমান রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘মেয়াদোত্তীর্ণ যেসব কমিটি রয়েছে সম্মেলনের পর সেগুলোতে নতুন নেতৃত্ব আনতে বর্তমান সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক কাজ শুরু করবে।’

দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘ছাত্রলীগকে গুছিয়ে তুলতে কাজ শুরু হয়েছে। সংগঠনে গতি ফিরিয়ে আনতে মেয়াদ ফুরানো কমিটিগুলোতে সম্মেলন হবে। এই বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। দ্রুত এর বাস্তবায়ন শুরু হবে।’  

এদিকে তৃণমূল পর্যায়ে কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে আর্থিক লেনদেন ও অনিয়মের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতির ঘোষণা দিয়েছেন ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়। রাইজিংবিডিকে তিনি বলেন, ‘ছাত্রলীগ করতে হলে নিয়মের মধ্যেই করতে হবে। কোনো অভিযোগ পাওয়া গেলেই তদন্ত হবে। তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলেই আজীবনের জন্য ছাত্রলীগ থেকে বহিস্কৃত হবে। ছাত্রলীগ আবেগের সংগঠন, যারা এই সংগঠনকে বিতর্কিত করবে, যাদের দ্বারা এই সংগঠন ক্ষতিগ্রস্ত হবে, তারা এই সংগঠনে থাকতে পারবে না।’       

তিনি জানান, সম্মেলনের পর ধারাবাহিকভাবে মেয়াদোত্তীর্ণ জেলা কমিটিগুলোতে সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব আনা হবে। একই সঙ্গে উপজেলা, পৌরসহ সব ইউনিটে নতুন কমিটি হবে। এসব কমিটি করার ক্ষেত্রে আর্থিক লেনদেন বা কোনো ধরনের বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে যুক্ত হলে সাংগঠনিকভাবে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে না।

তবে বিভিন্ন ধরনের নেতিবাচক কর্মকাণ্ডে জড়ানো ছাত্রলীগের ভাবমূর্তি ফেরানোই এখন বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে মানছেন সাবেক ছাত্রলীগের নেতারা। তারা বলছেন, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের উচিত হবে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সর্বাত্মক সহযোগিতা করে নিরক্ষরমুক্ত বাংলাদেশ গড়ায় নিজেদের নিয়োজিত করা। একই সঙ্গে সব ধরনের বিতর্ক এড়িয়ে কাজ করা, যাতে সরকারের ভালো অর্জনগুলো নেতিবাচক কর্মকাণ্ডে চাপা না পড়ে। এজন্য সতর্ক হওয়া।

জানতে চাইলে বর্তমান সাংসদ ও ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাবু রাইজিংবিডিকে বলেন, ছাত্রলীগকে যুগোপযোগী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হয়ে সরকারের সহায়ক হিসেবে কাজ করতে হবে। শিক্ষা-দীক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা নিয়ে নিরক্ষরমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে পদক্ষেপ নিতে হবে। এই সঙ্গে যারা যারা বিতর্ক সৃষ্টি করছে তাদের ছাত্রলীগ করার কোনো অধিকার নেই। ছাত্রলীগকে সচেতন হতে হবে এবং অনুশীলনের মাধ্যমে এসব চর্চা করতে হবে।

ছাত্রলীগের সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি কামরুল হাসান রিপন মনে করেন, ছাত্রলীগের সোনালী অতীত ফিরিয়ে আনতে আদর্শিক বিষয়টি খুব গুরুত্বপূর্ণ।

রাইজিংবিডিকে তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি করলে সব ধরনের বিতর্কিত কর্মকাণ্ড থেকে দূরে থাকা সম্ভব। যারা বর্তমান প্রজন্মে ছাত্রলীগ করছে তাদের ইতিহাস ঐতিহ্য পড়তে হবে, জানতে হবে; কোন প্রেক্ষাপটে বঙ্গবন্ধু এই সংগঠন গড়েছিলেন, ছাত্রলীগের ইতিহাস কি? এসব জানলে আদর্শিক রাজনীতির চর্চা নেতিবাচক কর্মকাণ্ড থেকে দূরে থাকার প্রেরণা যোগাবে।’ 

সংগঠনটির ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী বর্ণাঢ্যভাবে পালন করতে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সংসদের পক্ষ থেকে ৩ দিনব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এ উপলক্ষে শনিবার সকাল সাড়ে ৬টায় সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সব সাংগঠনিক কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। সকাল ৭টায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং ৮টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলে কেক কাটা হবে।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শনিবার দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগ পুনর্মিলনীর আয়োজন করেছে। পুনর্মিলনীতে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।

এছাড়া ৬ জানুয়ারি সকাল ১০টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাশে বটতলায় স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি পালন করা হবে। ৭ জানুয়ারি সকাল ১০টায় কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ এবং বিকাল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বোপার্জিত স্বাধীনতার সামনে দুস্থদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হবে।


ঢাকা/পারভেজ/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়