ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পাচ্ছে সচিবালয়

আসাদ আল মাহমুদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৬:০৭, ২ এপ্রিল ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পাচ্ছে সচিবালয়

ফাইল ফটো

প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়। প্রতিদিন এখানে হাজারো মানুষের আনাগোনা। অথচ একটু ভারি বৃষ্টি হলেই এখানে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়তে হয় মানুষকে।

গত মৌসুমেও একটানা এক থেকে দুই ঘণ্টা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে সচিবালয় এলাকায়। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে সচিবালয়ের জলাবদ্ধতা নিরসনে একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। ইতোমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে, কাজটি শেষ হলে আসন্ন বর্ষা মৌসুমে সচিবালয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হবে না।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, সচিবালয়ের জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য গত ২৪ ফ্রেব্রুয়ারি স্থানীয় সরকার বিভাগ, ঢাকা ওয়াসা, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে জলাবদ্ধতা নিরসনে বেশকিছু পরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়নের নির্দেশ দেওয়া হয়।

বৈঠকে আসন্ন বর্ষা মৌসুমের আগে ধোলাইখাল, টিটিপাড়া ও সেগুনবাগিচার খাল দ্রুত পরিষ্কার করে সচিবালয়ের পানি বের করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়।

এছাড়াও রাজধানীর গোপীবাগ পানির পাম্প স্টেশনে ওয়াসার তিনটি পাম্প রয়েছে। এগুলোর প্রতিটি পাম্প প্রতি ঘণ্টায় ১৮ হাজার কিউবিক মিটার বৃষ্টির পানি অপসরাণ করতে পারে । সচিবালয়, গুলিস্তান এলাকায় প্রতি ঘণ্টায় ২৮ থেকে ৩৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হলেও এ পাম্প দিয়ে পানি অপসারণ করা যাবে। পাশাপাশি ওয়াসার পাম্পগুলো উন্নত বিশ্বের মতো আধুনিক করে সক্ষমতা বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘সচিবালয়ের সামনের রাস্তা উঁচু হওয়ায় বৃষ্টি হলে পানি ভিতরে আসে। বৃষ্টির পানি যাতে ভিতরে (সচিবালয়ে) না আসতে পারে সেজন্য সচিবালয়ের চারদিকের গভীর ড্রেন নির্মাণ করা হচ্ছে। এছাড়া সচিবালয়ের পানি ওসমানী উদ্যানের পুকুরে নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। ফলে সচিবালয়ে আর পানি আর জমবে না।’

ঢাকা দক্ষিণ সিটির করপোরেশন অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান বলেন বলেন, ‘সচিবালয় এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনের কাজ শুরু হয়েছে। পানি সচিবালয়ের ভিতরে যেন না আসতে পারে, সেজন্য সচিবালয়ের চারদিকের গভীর ড্রেন নির্মাণ করা হচ্ছে। এছাড়া গোপীবাগ পাম্পিং স্টেশনের সক্ষমতা বাড়ানো হবে।’

ঢাকা দক্ষিণ সিটির করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেন, ‘প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয় জলাবদ্ধতা নিরসনের পরিকল্পনাসহ কাজ শুরু হয়েছে। বর্ষা মৌসুমে সচিবালয় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হবে না।’

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘অল্প বৃষ্টিতেই রাজধানী ঢাকার অনেক এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। জলাবদ্ধতা নিরসনে উত্তরোত্তর আমাদের উন্নতি হচ্ছে। তবে রাজধানী থেকে জলাবদ্ধতা একেবারেই শেষ হয়ে যায়নি। শন্তিনগরে রিকশা বা গাড়ি সবই ডুবে যেতো। বৃষ্টি হলে গুলশান, তেজগাঁওয়ের মতো জায়গায় আমরা গাড়ি চলাতে পারতাম না। এ অবস্থা থেকে উত্তরণ হয়েছে। আসছে বর্ষা মৌসুমে সচিবালয়ে আর জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হবে না।’

 

ঢাকা/আসাদ/সনি

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়