ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

দশ বছরে রপ্তানি আয় বেড়েছে সাড়ে তিন গুণ

কেএমএ হাসনাত || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০২:০৩, ২০ ডিসেম্বর ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
দশ বছরে রপ্তানি আয় বেড়েছে সাড়ে তিন গুণ

কেএমএ হাসনাত: বর্তমান সরকারের শাসনামলের ১০ বছরে জামায়াত-বিএনপি জোট সরকারের শাসনামলের চেয়ে রপ্তানি আয় প্রায় সাড়ে ৩ গুণ বেড়েছে। ২০০৫ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের রপ্তানি আয় ছিল ১০ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের শাসনামলে দেশের রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে ৩৬ দশমিক ৬৬ বিলিয়ন ডলার।

গত এক দশকে দেশে রপ্তানি আয় যে হারে হওয়ার কথা ছিল দশকের শুরুর দিকে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি হওয়ায় তা হয়নি। পরবর্তী সময়ে সরকার দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করলে ব্যবসায়ীরা স্বাচ্ছন্দে পণ্য রপ্তানি শুরু করেন এবং দেশের রপ্তানি আয়ে গতি সঞ্চার হয়।

বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে বেড়ে হয়েছে তিন হাজার ৬৬৬ কোটি ডলার বা ৩৬ দশমিক ৬৬ বিলিয়ন ডলার যা ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরের পণ্য রপ্তানির চেয়ে ৫ দশমিক ৮১ শতাংশ বেশি। বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)- এর পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি করে ২০১২-২০১৩ অর্থবছরে দুই হাজার ৭০১ কোটি ডলার, ২০১৩-২০১৪ অর্থবছরে তিন হাজার ১৮ কোটি ডলার, ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরে তিন হাজার ১২০ কোটি ডলার, ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরে তিন হাজার ৪১০ কোটি ডলার, ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে তিন হাজার ৪৬৫ কোটি ডলার আয় হয়েছে।

২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে চার হাজার ৪০০ কোটি ডলার। এরমধ্যে তিন হাজার ৯০০ কোটি ডলার রপ্তানি খাতে এবং সেবা খাতে ধরা হয়েছে ৫০০ কোটি ডলার। এ লক্ষ্য পূরণের জন্য আরও ৯টি পণ্যে ১০ শতাংশ হারে নগদ আর্থিক সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ফলে রপ্তানি খাতে নগদ সহায়তা পাওয়া পণ্য সংখ্যা দাঁড়াবে ৩৬টি। নতুন করে যে ৯টি পণ্যে নগদ আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে সেগুলো হচ্ছে হিমায়িত সফট সেল, কাঁকড়া, ফার্মাসিউটিক্যালস বা ওষুধপণ্য ও কাঁচামাল, সিরামিক পণ্য, গ্যালভানাইজড সিট বা কয়েলস, ফটো ভলটাইক মডুল, শেভিং রেজার, ব্লেড, ক্লোরিন, হাইড্রোক্লোরিক এসিড, কস্টিক সোডা ও হাইড্রোজেন পার অক্সাইড, টুপি ও মোটর সাইকেল। গত অর্থবছরে সেবা ও রপ্তানি খাত মিলিয়ে আয় ছিল চার হাজার ১০০ কোটি ডলার।

২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে কৃষিতে প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ৮ দশমিক ৭৩ শতাংশ, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যে ৬ দশমিক ৭০ শতাংশ, চামড়ার জুতা ১১ দশমিক ২৫ শতাংশ, পাটজাত পণ্যে ৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ এবং পোশাক খাতে ৮ দশমিক ৬৬ শতাংশ। ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে মোট পণ্য রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ৮ দশমিক ২১ শতাংশ। এ ছাড়া ২০২১ সালের মধ্যে রপ্তানি আয় ৬০ বিলিয়ন ডলার হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

**




রাইজিংবিডি/ঢাকা/২০ ডিসেম্বর ২০১৮/হাসনাত/শাহনেওয়াজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়