ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

নামের আগে অধ্যাপক : আবু সাঈদের বিরুদ্ধে মামলা

মামুন খান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:২১, ১০ ডিসেম্বর ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
নামের আগে অধ্যাপক : আবু সাঈদের বিরুদ্ধে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক : নামের আগে অধ্যাপক পদবী ব্যবহার করার অভিযোগে প্রাক্তন প্রতিমন্ত্রী আবু সাঈদের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সহকারী অধ্যাপক।

সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন প্রাক্তন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকুর ছেলে ড. এস এম নাসিফ শামস।

আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে শেরেবাংলা নগর থানার অফিসার ইনচার্জকে (ওসি) মামলার অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে আগামী ১০ জানুয়ারির মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

মামলায় বাদী অভিযোগ করেন, আবু সাঈদ কোনো কলেজে কখনো অধ্যাপনা করেছেন বলে সমাজের মানুষ বা তার জানান নেই। তবে খণ্ডকালীন প্রভাষক হিসেবে আসামি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অল্প সময়ের জন্য কর্মরত ছিলেন বলে জনশ্রুতি আছে। আসামি অধ্যাপক না হয়েও বিভিন্ন জায়গায়, বই-পুস্তকে এবং নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের হলফনামায় অধ্যাপক পদবি ব্যবহার করেন। যার দ্বারা সমাজের মানুষের নিকট প্রচার করে ভোট পাওয়ার পাঁয়তারাসহ সাধারণ জনগণকে বিভ্রান্ত করে চলছেন।

নিয়মিতভাবে ১৫ বছর কোনো কলেজে অধ্যাপনা না করলে অধ্যাপক হওয়া যায় না বলে দাবি করেন বাদী। তিনি বলেন, বর্তমানে আসামি গণফোরামের নেতা। তিনি ঐক্যফ্রন্ট থেকে ধানের শীষ প্রতীকে এমপি পদপ্রার্থী হয়েছেন। এমপি পদে নির্বাচন করতে হলে তিন বছর পূর্বে চাকরি ছেড়ে দিতে হয়, তাহলে প্রার্থী হওয়া যায়। আসামি বিভিন্ন বই লিখেছেন। কোনো বইয়ে কোন কলেজে অধ্যাপনা করেছেন, তা লিখেন না।

আসামি অধ্যাপক না হয়ে অধ্যাপকের পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করে আসছেন এবং জনগণের কাছে ভুল তথ্য প্রচার করে জনগণকে  বিভ্রান্ত করছেন। যা দ্বারা আসামি দণ্ডবিধি ৪১৯/৪২০ ধারায় অপরাধ করেছেন।

আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার জারির আবেদন করেন বাদী।

উল্লেখ্য, বাদীর বাবা প্রাক্তন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু (আওয়ামী লীগ) এবং আসামি অধ্যাপক আবু সাঈদ (ঐক্যফ্রন্ট) পাবনার বেড়া আসনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। অধ্যাপক আবু সাঈদ ১৯৭০ সালের নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে রাজনীতিতে সক্রিয় থাকেন এবং বাকশালের কেন্দ্রীয় নেতা হন। ১৯৮৬ সালে বিএনপির সাথে থেকে নির্বাচন বর্জন করেন। ১৯৯১ সালে বাকশাল থেকে আওয়ামী লীগে যোগদান করে সংসদ নির্বাচন করে পরাজিত হন। ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচন করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে তথ্য প্রতিমন্ত্রী হন। ২০০১ সালের নির্বাচনে পরাজিত হন। ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচন করে পরাজিত হন।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১০ ডিসেম্বর ২০১৮/মামুন খান/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়