ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

অর্থমন্ত্রীর কাছে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বাজেট প্রস্তাব পেশ

মনিরুল হক ফিরোজ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৫৬, ১৯ মে ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
অর্থমন্ত্রীর কাছে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বাজেট প্রস্তাব পেশ

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ডেস্ক : অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের কাছে তথ্যপ্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট বাজেট প্রস্তাব (২০১৯-২০) আনুষ্ঠানিকভাবে পেশ করেছেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর। আজ রাজধানীয় আগারগাঁওয়ের পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে অনুষ্ঠিত সভায় বিস্তারিত আলোচনায় এসব প্রস্তাব পেশ করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিট (সিপিটিইউ)-এর মহাপরিচালক মো. আলী নূর, বেসিসের সহ-সভাপতি (প্রশাসন) শোয়েব আহমেদ মাসুদ এবং বেসিসের সহ-সভাপতি (অর্থ) মুশফিকুর রহমান।

বাংলাদেশি তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানসমূহ সক্ষম হওয়ায়, অর্থমন্ত্রীর কাছে দেশীয় প্রকল্পে অংশগ্রহণের জন্য পিপিআর টেমপ্লেটে দেশীয় প্রতিষ্ঠানবান্ধব নীতিমালা প্রণয়নের সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়। পাশাপাশি ভ্যাট অনলাইন প্রকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশি আইটি প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতার দিকগুলো তুলে ধরা হয়।

বাজেট প্রস্তাবনা মূল দিকগুলো ছিল টিএ (টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রোজেক্ট) এর জন্য ৫০০ কোটি টাকার বরাদ্দ। যাতে উক্ত অর্থ অনুন্নত দেশে বাংলাদেশি সফল সফটওয়্যার সেবা প্রদান করে স্থানীয় তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের সক্ষমতা বাড়ানো যায়। বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সক্ষমতা বাড়ায় বাংলাদেশ অনুন্নত দেশগুলোর আইটি অবকাঠামো উন্নয়নে টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রদান করবে এ শর্তে যে, অনুদান পাওয়া দেশগুলো বাংলাদেশের আইটি প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে। পাশাপাশি, সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে পৃথকভাবে তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প উন্নয়ন তহবিল বাবদ ২০০ কোটি টাকার থোক বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করা হয়।

পাশাপাশি, ট্যাক্স এক্সেম্পশন সার্টিফিকেট প্রদান সহজীকরণ প্রসঙ্গ উত্থাপন করা হয়। যেহেতু সরকার ২০২৪ সাল পর্যন্ত কর অব্যাহতি সুবিধা ঘোষণা দিয়েছে যেহেতু আয়কর অব্যাহতি সনদ তথা ট্যাক্স এক্সেম্পশন সার্টিফিকেট ২০২৪ সাল পর্যন্ত একবারে প্রদান করার প্রস্তাব করা হয়। পাশাপাশি, জটিলতা নিরসনে বেসিস যাতে আয়কর অব্যাহতি সনদ প্রদান করতে পারে সে বিষয়টি তুলে ধরা হয়।

এছাড়াও, যেহেতু আমাদের দক্ষ জনশক্তির অভাব রয়েছে, সেহেতু কোনো প্রতিষ্ঠান যদি তাদের আইটি প্রফেশনালকে বৃত্তি প্রদান করে বিদেশে উচ্চতর প্রশিক্ষণের জন্য পাঠায়, তাহলে তাদের বৃত্তি/প্রশিক্ষণ ফি বাবদ ব্যয়িত অর্থের ওপর আয়কর রিবেট দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়।

অর্থমন্ত্রী বেসিসের প্রস্তাবসমূহ গুরুত্ব সহকারে শোনেন। বৈঠকে উপস্থিত সিপিটিইউ-এর মহাপরিচালককে জানান, এখন থেকে শুধুমাত্র আইটি খাতের জন্য পিপিআর টেম্পলেটে দেশীয় আইটি প্রতিষ্ঠানসমূহের অগ্রাধিকার নিশ্চিত করা হবে। পাশাপাশি, ভ্যাট অনলাইন প্রকল্প বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানসমূহ বাস্তাবায়ন করবে বলে নির্দেশ প্রদান করেন অর্থমন্ত্রী।

পাশাপাশি, বেসিসের বাকি প্রস্তাবনাসমূহ গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা আশ্বাস দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৯ মে ২০১৯/ফিরোজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়