ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

প্যারিস কল-এ যোগ দিল হুয়াওয়ে

মনিরুল হক ফিরোজ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:০৮, ৩ আগস্ট ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
প্যারিস কল-এ যোগ দিল হুয়াওয়ে

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ডেস্ক : সম্প্রতি প্যারিস কল-এ যোগ দিয়েছে হুয়াওয়ে। প্যারিস কল এমন একটি ঘোষণাপত্র, যার মাধ্যমে চুক্তিবদ্ধ সকলেই একটি নিরাপদ সাইবারস্পেস প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সম্মিলিতভাবে কাজ করে।

প্যারিস কল এর সদস্য হওয়ার জন্য আরো ৫৬৪টি সংস্থার সঙ্গে নিজেদেরকে যুক্ত করেছে এবং এই ৫৬৪টি সংস্থার সকলেই ডিজিটাল পণ্য এবং ডিজিটাল সিস্টেমগুলোর সুরক্ষা জোরদার করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। গ্রুপের সদস্যদের মধ্যে রয়েছে ৬৭টি স্টেট, ১৩৯টি আন্তর্জাতিক ও সামাজিক সংস্থা এবং ৩৫৮টি বেসরকারি কোম্পানি।

২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে ফরাসি সরকার প্যারিস কল এর প্রবর্তন করে, যার মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জিং ইস্যুগুলো সমাধানের লক্ষ্যে সমন্বিতভাবে কাজ করা হবে। ডিজিটাল পণ্যগুলোকে আরো নিরাপদ, সাইবার ক্রাইমের বিরুদ্ধে যৌথ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করা এবং সীমানার বাইরে থাকা অংশীদারদের সাহায্য করার প্রয়াস নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে চুক্তিবদ্ধ সকল সদস্যরা।

তথ্য এবং যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক পণ্যের একটি শীর্ষস্থানীয় সরবরাহকারী হিসেবে হুয়াওয়ে তাদের তৈরিকৃত পণ্য এবং সরবরাহকৃত সল্যুশনসগুলোকে যতটা সম্ভব সুরক্ষিত করার লক্ষ্যে প্রচুর গবেষণা করে এবং এই খাতে তাদের বিনিয়োগও প্রচুর। বর্তমানে প্রায় ১৭০ এর অধিক দেশে হুয়াওয়ের কার্যক্রম চলছে এবং সেখানে কাজ করছে প্রায় ১ লাখ ৮৮ হাজার কর্মী, যারা প্রতিনিয়ত সেবা দিয়ে যাচ্ছে তিন বিলিয়নেরও অধিক মানুষকে।

এ প্রসঙ্গে হুয়াওয়ের গ্লোবাল সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড প্রাইভেসি অফিসার জন সাফল্ক বলেন, ‘আমাদের অস্তিত্বের মূল ভিত্তি হচ্ছে উন্নতর সুরক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে কাজ করা। সরকার, গ্রাহক এবং তাদের গ্রাহকদের জন্য পণ্য এবং পরিসেবাগুলোর স্থিতিস্থাপকতা এবং সুরক্ষা বৃদ্ধি করতে পারে এমন যেকোনো প্রচেষ্টা, ধারণা বা পরামর্শকে আমরা সমর্থন করি। এছাড়াও, আমরা ওপেননেস, ট্রান্সপারেন্সি এবং আন্তর্জাতিকভাবে সম্মত মানদন্ড মেনে চলাসহ সাইবার ক্রাইম থামানোর ক্ষেত্রে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য বিশ্বব্যাপী সহযোগিতামূলক পদক্ষেপগুলোকে সমর্থন করি।’

প্যারিস কলের সদস্য হিসেবে, হুয়াওয়ে সমস্ত প্রযুক্তিপণ্যের সরবরাহকারীদের উদ্দেশ্যগত পরীক্ষা এবং মান যাচাইকরণের ক্ষেত্রে পরামর্শ প্রদান করবে। যেকোনো ভেন্ডরের তৈরিকৃত প্রযুক্তিপণ্যের নিরাপত্তা নিরীক্ষণে তৃতীয় পক্ষ নিয়োগ করার ফলে এটা নিশ্চিত করা যাবে যে, নিরাপত্তা বিষয়ে দেয়া সিদ্ধান্তগুলো পুরোটাই তথ্য এবং উপাত্তের ভিত্তিতে নেয়া। এর মধ্যে থাকবে না কোনো আবেগ কিংবা রাজনৈতিক প্রভাব।

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/৩ আগস্ট ২০১৯/ফিরোজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়