ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

সবচেয়ে শক্তিশালী এআই প্রসেসর

মনিরুল হক ফিরোজ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:০৭, ২৪ আগস্ট ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
সবচেয়ে শক্তিশালী এআই প্রসেসর

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ডেস্ক : তথ্যপ্রযুক্তি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) প্রসেসর অ্যাসসেন্ড ৯১০ এবং এআই কম্পিউটিং ফ্রেমওয়ার্ক মাইন্ডস্পোর উন্মোচন করেছে। চীনের গুয়াংডং প্রদেশের শেনজেনে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হুয়াওয়ের রোটেটিং চেয়ারম্যান এরিক ঝু সহ কোম্পানির উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

অ্যাসসেন্ড ৯১০ দ্য ভিঞ্চি সিস্টেম আর্কিটেকচারের উপর নির্মিত এআই প্রসেসর এবং অসামান্য পারফরম্যান্স সত্ত্বেও এর সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ ব্যবহারের মাত্রা ৩১০ ওয়াট, যা আগের পরিকল্পিত বিদ্যুৎ ব্যবহারের ধারণাকৃত মাত্রার (৩৫০ ওয়াট) চেয়ে অনেক কম।

অন্যদিকে এআই কম্পিউটিং ফ্রেমওয়ার্ক মাইন্ডস্পোর এমন একটি এআই কম্পিউটিং অবকাঠামো, যা সব ডিভাইস, এজ এবং ক্লাউড এনভাইরনমেন্টসহ সকল পরিস্থিতিতে এআই অ্যাপ্লিকেশনের বিকাশকে সমর্থন করে। এছাড়াও, বাজারে বিদ্যমান নেতৃস্থানীয় ফ্রেমওয়ার্কে ন্যাচারাল ল্যাংগুয়েজ প্রসেসিং (এনএলপি) এর জন্য একটি সাধারণ নিউরাল নেটওয়ার্কে যে পরিমানে মূল কোড রয়েছে, সে তুলনায় মাইন্ডস্পোরের কোডের পরিমান ২০ শতাংশ কম। এর ফলে এটি ডেভেলপারদের কর্মদক্ষতাকে ৫০ শতাংশ বাড়িয়ে দেয়। 

অ্যাসসেন্ড ৯১০ প্রসেসর এআই মডেল ট্রেনিং ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। এর একটি পরীক্ষা হিসেবে শুক্রবারের অনুষ্ঠান উপলক্ষে একটি ট্রেনিং সেশনের আয়োজন করা হলে সেখানে দেখা যায় যে, অ্যাসসেন্ড ৯১০ এবং মাইন্ডস্পোর সিস্টেমকে একত্রীকরণ করে এআই মডেল ট্রেনিং এর ক্ষেত্রে যে গতি পাওয়া যায়, তা টেনসরফ্লো এর গতির তুলনায় দ্বিগুণ গতি সম্পন্ন।

এ প্রসঙ্গে হুয়াওয়ের রোটাটিং চেয়ারম্যান এরিক ঝু বলেন, ‘অ্যাসসেন্ড ৯১০ আমাদের প্রত্যাশার চেয়ে অনেক বেশি ভালো পারফর্ম করেছে। নিঃসন্দেহে, বিশ্বের অন্য এআই প্রসেসরের তুলনায় এর আরো বেশি কম্পিউটিং শক্তি রয়েছে।’

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই অ্যাপ্লিকেশন বিকাশকে আরো সহজ, বিস্তৃত এবং প্রাইভেসি প্রোটেকশন নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে এআই কম্পিউটিং অবকাঠামো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ২০১৮ সালে, হুয়াওয়ে এআই কাঠামোর উন্নয়নের জন্য লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করে। লক্ষ্যগুলো ছিল সহজ বিকাশ, কার্যদক্ষতা এবং যেকোনো পরিস্থিতিতে মানিয়ে নেয়ার ক্ষমতা। মাইন্ডস্পোর, এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণে হুয়াওয়ের উল্লেখযোগ্য কাজ।

বিংশ শতাব্দীর রেলরোড ও বিদ্যুৎ এবং একবিংশ শতাব্দীর গাড়ি, কম্পিউটার ও ইন্টারনেটের মতোই এআইকে শতাব্দীর একটি অন্যতম প্রযুক্তি হিসেবে সংজ্ঞায়িত করছে হুয়াওয়ে। ঝু এর মতে, এআই এখনো বিকাশের প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে এবং সত্যিকারের সাধারণ প্রযুক্তিতিতে পরিণত করতে হলে এআই প্রযুক্তিতে বিদ্যমান ব্যবধানগুলো দূর করতে হবে। হুয়াওয়ের এআই স্ট্র্যাটেজিটি এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যেন, এই ব্যবধানগুলো দূর করার মাধ্যমে অতি দ্রুত বিশ্বে এই নতুন প্রযুক্তি ছড়িয়ে দেয়া যায়।


রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৪ আগস্ট ২০১৯/ফিরোজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়